হবিগঞ্জ ১০:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সৎ প্রশাসকদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা কোথায়? Logo চুনারুঘাটে ৩৯ বছরের বর্ণাঢ্য শিক্ষকতা পেশার অরবিন্দ দত্তের সমাপ্তি Logo ব্যারিস্টার সুমন এমপিকে সংবর্ধনা দিল চুনারুঘাট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি Logo চুনারুঘাটে ১৭ কেজি গাঁজা সহ কারবারি গ্রেপ্তার Logo ৪র্থ বারের মতো জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন চুনারুঘাট থানার এসআই লিটন রায় Logo ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার পরিকল্পনাকারী সোহাগ গ্রেফতার Logo ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় হত্যা মামলার আসামি জালাল গ্রেপ্তার Logo ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার পরিকল্পনার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন Logo চুনারুঘাটে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হলেন তৌফিক মিয়া তালুকদার Logo ব্যারিস্টার সুমনের হত্যার পরিকল্পনারকারীদের গ্রেফতারে দাবীতে চুনারুঘাটে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ 

চুনারুঘাটে মোটরসাইকেল চোর চক্রের মূল হোতা ফারুককে খুঁজছে পুলিশ ॥ দুই চোর জেল হাজতে প্রেরণ

সম্প্রতি সময়ে চুনারুঘাট উপজেলায় বেশ কয়েকজনের মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। চুরি ঘটনায় থানায় অনেকেই জিডি এন্ট্রি দায়ের করেছেন। গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় উপজেলার কাচুয়া বাজারে টিসিবি পণ্য বন্টণকালে বাজারের ব্যবসায়ী রফিক মিয়ার দোকানের সামন থেকে লাল মিয়া মেম্বারের হিরো গ্লামার ১২৫ সিসি মোটরসাইকেলটি চুরি হয়ে যায়। এরই প্রেেিত চুনারুঘাট থানা পুলিশ অভিযানে মাঠে নামে। গত শনিবার রাতে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ব্রাহ্মণগাও থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেছে চুনারুঘাট থানা পুলিশ। সাইকেলটি চুরির সাথে জড়িত মোটরসাইকেল চোর চক্রের ২ সদস্য বাপ্পি উসমান (২৪) ও কাওছার মিয়ার (৩৫) দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাইকেলটি উদ্ধার করেন চুনারুঘাট থানার ওসি তদন্ত চম্পক দাম এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ। এর আগে বিষয়ে তিনি চুনারুঘাট উপজেলার কালিচুং গ্রামের মৃত ছিদ্দিক আলীর পুত্র কাওছার মিয়াকে অভিযুক্ত করে চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি।
পুলিশ কাউছারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কাউছার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এরই প্রেক্ষিতে রাজাপুর গ্রামের মৃত চেরাগ আলীর পুত্র ফারুক মিয়া এবং নোয়াবাদ গ্রামের আনোয়ার মিয়ার পুত্র বাপ্পি উসমানও জড়িত বলে জানায়। পুলিশ বাপ্পিকেও গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। চোর চক্রের মূল হোতা ফারুক এখনও পলাতক রয়েছে। ফারুক মূলত চোরাই সাইকেল পাচার কাজ করে এবং বিভিন্ন এলাকার আন্তজেলার চোরের সাথে সাইকেল বিক্রি করে।
সূত্র জানায়, মোটরসাইকেল চোর চক্রটি হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে দেশের বিভিন্ন দূরবর্তী এলাকায় পাঠিয়ে দেয়৷ পরবর্তীতে চোর চক্রটি চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রি করে।
চুরি ঘটনায় দেওরগাও ইউপি সদস্য লাল মিয়া বাদী হয়ে তিন জনকে আসামি করে চুনারুঘাট একটি থানায় মামলা করেন।

প্রসঙ্গ, বাপ্পি ও উসমানের বিরুদ্ধে গাছ চুরি, মাদক মামলা সহ নানান অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। ফারুক এর বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। সে বিভিন্ন বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে এসব অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সৎ প্রশাসকদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা কোথায়?

চুনারুঘাটে মোটরসাইকেল চোর চক্রের মূল হোতা ফারুককে খুঁজছে পুলিশ ॥ দুই চোর জেল হাজতে প্রেরণ

আপডেট সময় ১১:৫০:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ মার্চ ২০২২

সম্প্রতি সময়ে চুনারুঘাট উপজেলায় বেশ কয়েকজনের মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। চুরি ঘটনায় থানায় অনেকেই জিডি এন্ট্রি দায়ের করেছেন। গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় উপজেলার কাচুয়া বাজারে টিসিবি পণ্য বন্টণকালে বাজারের ব্যবসায়ী রফিক মিয়ার দোকানের সামন থেকে লাল মিয়া মেম্বারের হিরো গ্লামার ১২৫ সিসি মোটরসাইকেলটি চুরি হয়ে যায়। এরই প্রেেিত চুনারুঘাট থানা পুলিশ অভিযানে মাঠে নামে। গত শনিবার রাতে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ব্রাহ্মণগাও থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেছে চুনারুঘাট থানা পুলিশ। সাইকেলটি চুরির সাথে জড়িত মোটরসাইকেল চোর চক্রের ২ সদস্য বাপ্পি উসমান (২৪) ও কাওছার মিয়ার (৩৫) দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাইকেলটি উদ্ধার করেন চুনারুঘাট থানার ওসি তদন্ত চম্পক দাম এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ। এর আগে বিষয়ে তিনি চুনারুঘাট উপজেলার কালিচুং গ্রামের মৃত ছিদ্দিক আলীর পুত্র কাওছার মিয়াকে অভিযুক্ত করে চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি।
পুলিশ কাউছারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কাউছার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এরই প্রেক্ষিতে রাজাপুর গ্রামের মৃত চেরাগ আলীর পুত্র ফারুক মিয়া এবং নোয়াবাদ গ্রামের আনোয়ার মিয়ার পুত্র বাপ্পি উসমানও জড়িত বলে জানায়। পুলিশ বাপ্পিকেও গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। চোর চক্রের মূল হোতা ফারুক এখনও পলাতক রয়েছে। ফারুক মূলত চোরাই সাইকেল পাচার কাজ করে এবং বিভিন্ন এলাকার আন্তজেলার চোরের সাথে সাইকেল বিক্রি করে।
সূত্র জানায়, মোটরসাইকেল চোর চক্রটি হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে দেশের বিভিন্ন দূরবর্তী এলাকায় পাঠিয়ে দেয়৷ পরবর্তীতে চোর চক্রটি চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রি করে।
চুরি ঘটনায় দেওরগাও ইউপি সদস্য লাল মিয়া বাদী হয়ে তিন জনকে আসামি করে চুনারুঘাট একটি থানায় মামলা করেন।

প্রসঙ্গ, বাপ্পি ও উসমানের বিরুদ্ধে গাছ চুরি, মাদক মামলা সহ নানান অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। ফারুক এর বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। সে বিভিন্ন বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে এসব অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।