হবিগঞ্জ জেলা বার সমিতির সাবেক সভাপতি ও সম্পাদক সিনিয়র আইনজীবী চুনারুঘাটের কৃতি সন্তান অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) উপজেলার বাদশারগাঁও গ্রামে জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।
জানাযায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, হবিগঞ্জ বার এসোসিয়েশনের সভাপতি এডভোকেট আবুল মনসুর সাহেব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোছাব্বির বকুল, চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আকবর হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লুৎফুর রহমান, চুনারুঘাট পৌরসভার সাবেক মেয়র নাজিম উদ্দিন সামসু, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু তাহের মহালদার, মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মানিক সরকার, সাবেক চেয়ারম্যান রমিজ উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ লিয়াকত হাসান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মীর সিরাজ, অ্যাড. মোজাম্মেল হক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ ফয়সাল আহমেদ সোহান, ছুরত আলী, লিলু সরকার সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
প্রবীন আইনজীবী আব্দুর রউফ এর মৃত্যুতে চুনারুঘাট সাংবাদিক ফোরামের সদস্যরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি খন্দকার আলাউদ্দিন, সহসভাপতি শেখ শাহজান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক রায়হান আহমেদ, যুগ্ন সম্পাদক এসএম শওকত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর জুবায়ের আলম, অর্থ সম্পাদক এসএম জিলানী আখনজী, সদস্য আজিজুল হক নাসির।
উল্লেখ্য, আব্দুর রউফ ঢাকাস্থ একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না-লিল্লাহ… রাজীউজন। গত মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় সময় তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালের তার বয়স ছিল প্রায় ৭৪ বছর।
তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের বাদশারগাঁও গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবার সরদার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার ৭৪ বছরের জীবনে অর্জন করেছেন অসংখ্য খ্যাতি ।ছাত্রজীবনে তিনি ছিলেন একজন অধম্য মেধাবী ছাত্র। ছাত্ররাজনীতিতে তার ছিল সক্রিয় অংশগ্রহণ।১৯৬৯ সালে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ চুনারুঘাট উপজেলার আহবায়ক ছিলেন।
পরবর্তীতে১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ছিল উনার সক্রিয় অংশগ্রহণ। তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) হবিগঞ্জ জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন । কর্মজীবনের শুরুতে তিনি প্রায় ১০ বছরের মত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে সিলেট ও সুনামগঞ্জে চাকুরী করেছেন।
১৯৮৪ সালের দিকে তিনি আইন পেশার সাথে সম্পৃক্ত হন ও দীর্ঘ ৪০ বছর আইন পেশার সাথে জড়িত ছিলেন।
এই সময় তিনি হবিগঞ্জ বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি গাউছিয়া কমিটির জেলা সাধারণ সম্পাদক ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের জেলা কমিটির সম্মানিত উপদেষ্টা ছিলেন ।
তিনি কোর্ট মসজিদের সহ-সভাপতি ও কোর্ট মসজিদ মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন।
ছিলেন একজন ক্রীড়াবিদও । তাছাড়া তিনি একজন পরোপকারী, নামাজী ও ধার্মিক ব্যক্তি ছিলেন। তার এক স্ত্রী ও তিন মেয়ে সহ এক ভাই ও অসংখ্য ভাতিজা রেখে গেছেন।