হবিগঞ্জ ১০:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সৎ প্রশাসকদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা কোথায়? Logo চুনারুঘাটে ৩৯ বছরের বর্ণাঢ্য শিক্ষকতা পেশার অরবিন্দ দত্তের সমাপ্তি Logo ব্যারিস্টার সুমন এমপিকে সংবর্ধনা দিল চুনারুঘাট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি Logo চুনারুঘাটে ১৭ কেজি গাঁজা সহ কারবারি গ্রেপ্তার Logo ৪র্থ বারের মতো জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন চুনারুঘাট থানার এসআই লিটন রায় Logo ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার পরিকল্পনাকারী সোহাগ গ্রেফতার Logo ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় হত্যা মামলার আসামি জালাল গ্রেপ্তার Logo ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার পরিকল্পনার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন Logo চুনারুঘাটে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হলেন তৌফিক মিয়া তালুকদার Logo ব্যারিস্টার সুমনের হত্যার পরিকল্পনারকারীদের গ্রেফতারে দাবীতে চুনারুঘাটে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ 

নবীগঞ্জ উপজেলায় পৃথক স্থানে দুই গ্রামের সংঘর্ষে আহত ৫০

নবীগঞ্জ উপজেলায় দুই গ্রামের পৃথকভাবে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্য ২জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। একদিনের ব্যবধানে দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা গ্রামে ও ইনাতগঞ্জে দুটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয় জনসাধারন এলাকার আইনশৃঙখলা পরিস্থিতি নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের বৃহত্তম কসবা একটি আলোচিত গ্রাম। বিগত প্রায় ৭/৮ বছর পূর্বে গ্রামবাসীর মধ্য বিরোধের সৃষ্টি হয়। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে কয়েক হাজার লোকের বসবাস গ্রামবাসী দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষ, হামলা,পাল্টা হামলা,নারী নির্যাতন,বাড়িঘর ভাংচু, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ ৫টি হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে উপজেলার জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যস্থ্যতায় গ্রামে শান্তি ফিরে আসে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আবারও গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।

শুক্রবার রাত ৮টায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কসবা গ্রামের ময়ুর হোসেন ও মাহমুদ আলীর পক্ষের লোকজনের মধ্য সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় ২ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষ উভয় পক্ষের প্রায় ৩০ জন আহত হন। গুরুতর আহত লিটন মিয়া(৩৮) ও রাশাহিদ মিয়া(৩২) কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অন্যান্য আহতরা হলেন ছেরাগ আলী(২৭),ছাদ্দিক মিয়া(৪৫),সাহিবুর রহমান(৩৮),মনসুর আহমেদ (২৮),তছলিম মিয়া (২৬),আহাদ মিয়া( (৪৮),ফয়েজ আহমেদ(৫০),ইমরান মিয়া(২৩),দিলবার হোসেন(৪০) কে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলেও সংঘর্ষের পর ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

অপরদিকে, শনিবার দুপুরে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের প্রজাতপুর গ্রামের মালু মিয়া ও আনসার উদ্দিনের লোকদের মধ্য গরু ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। খন্টাব্যাপী সংঘর্ষে নারীসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন মালু মিয়া(৫২),সুবায়েল মিয়া(৩০),মামুন আহমেদ(২৮),রুহেল(২৫),রিপন(২২),মহিমা বেগম(৩৫)। তাদেরকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) লোকেস দাশ বলেন, কসবা গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় আমরা ঘটনাস্থলে ছিলাম। প্রজাতপুরে সংঘটিত সংঘর্ষের ব্যাপারে জানেন না বলে তিনি জানান।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সৎ প্রশাসকদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা কোথায়?

নবীগঞ্জ উপজেলায় পৃথক স্থানে দুই গ্রামের সংঘর্ষে আহত ৫০

আপডেট সময় ০৭:২০:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ মার্চ ২০২২

নবীগঞ্জ উপজেলায় দুই গ্রামের পৃথকভাবে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্য ২জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। একদিনের ব্যবধানে দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা গ্রামে ও ইনাতগঞ্জে দুটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয় জনসাধারন এলাকার আইনশৃঙখলা পরিস্থিতি নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের বৃহত্তম কসবা একটি আলোচিত গ্রাম। বিগত প্রায় ৭/৮ বছর পূর্বে গ্রামবাসীর মধ্য বিরোধের সৃষ্টি হয়। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে কয়েক হাজার লোকের বসবাস গ্রামবাসী দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষ, হামলা,পাল্টা হামলা,নারী নির্যাতন,বাড়িঘর ভাংচু, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ ৫টি হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে উপজেলার জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যস্থ্যতায় গ্রামে শান্তি ফিরে আসে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আবারও গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।

শুক্রবার রাত ৮টায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কসবা গ্রামের ময়ুর হোসেন ও মাহমুদ আলীর পক্ষের লোকজনের মধ্য সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় ২ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষ উভয় পক্ষের প্রায় ৩০ জন আহত হন। গুরুতর আহত লিটন মিয়া(৩৮) ও রাশাহিদ মিয়া(৩২) কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অন্যান্য আহতরা হলেন ছেরাগ আলী(২৭),ছাদ্দিক মিয়া(৪৫),সাহিবুর রহমান(৩৮),মনসুর আহমেদ (২৮),তছলিম মিয়া (২৬),আহাদ মিয়া( (৪৮),ফয়েজ আহমেদ(৫০),ইমরান মিয়া(২৩),দিলবার হোসেন(৪০) কে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলেও সংঘর্ষের পর ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

অপরদিকে, শনিবার দুপুরে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের প্রজাতপুর গ্রামের মালু মিয়া ও আনসার উদ্দিনের লোকদের মধ্য গরু ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। খন্টাব্যাপী সংঘর্ষে নারীসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন মালু মিয়া(৫২),সুবায়েল মিয়া(৩০),মামুন আহমেদ(২৮),রুহেল(২৫),রিপন(২২),মহিমা বেগম(৩৫)। তাদেরকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) লোকেস দাশ বলেন, কসবা গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় আমরা ঘটনাস্থলে ছিলাম। প্রজাতপুরে সংঘটিত সংঘর্ষের ব্যাপারে জানেন না বলে তিনি জানান।