স্থলবন্দরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ১৬ মাস আগে। স্থলবন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হলেও চালুর অপেক্ষায় প্রহর গুনছে বন্দরটি। নির্মাণ কাজ শেষ করে বন্দর কর্তৃপক্ষকে অবকাঠামো বুঝিয়ে দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ।কিন্তু বন্দর চালুর বিষয়টি রয়েছে চরম অনিশ্চয়তার মাঝে।
তবে জেলা প্রশাসন বলছে স্থলবন্দরটি চালুর বিষয়ে ঊর্ধ্বতন মহলে যোগাযোগ করা হয়েছে। শিগগিরই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে। বন্দরটি বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নে অবস্থিত একটি স্থলবন্দর। এটি বাংলাদেশের ২৩তম স্থলবন্দর যার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানিসহ ইমিগ্রেশন-চেকপোস্ট সুবিধা রয়েছে।
তবে দেশের ২৩তম বাল্লা স্থলবন্দর থাকবে নাকি বাতিল হবে- এ নিয়ে কমিটি গঠন করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। কমিটি এক মাসের মধ্যে বাল্লা স্থলবন্দর পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিল করবে। এরপরই সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়। উপজেলার বাল্লা স্থলবন্দরের আমদানি রপ্তানি কারক সমিতি সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ত্রিপুরায় অনুষ্ঠিত সীমান্ত সম্মেলনে হবিগঞ্জে একটি পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত-বাংলাদেশ সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ১৩ একর জমির ওপর ৪ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বন্দরটি প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সরজমিন পরিদর্শন করে নির্মাণকাজ শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। প্রাথমিকভাবে ৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় অবকাঠামো নির্মাণে।
ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর ২০২১ সালের ৭ই অক্টোবর বন্দর নির্মাণকাজ শুরু হয়। আশা করা হয়েছিল উভয় দেশের নির্মাণকাজ সমানভাবে এগিয়ে গেলে ২০২৪ সালের মধ্যেই বন্দর চালু হবে ।কিন্তু স্থলবন্দরের বিপরীতে ভারতের ত্রিপুরা সরকার প্রহরমুড়া এলাকায় এখনো বন্দর নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারেনি।
সূত্র জানান, ত্রিপুরা সরকার ভূমি অধিগ্রহণ কাজটিই সমাপ্ত করতে পারেনি এখন পর্যন্ত। বন্দরের অবকাঠামো নির্মিত হলেও ভারতে স্থলবন্দরের অবকাঠামো নির্মিত না হওয়ায় স্থলবন্দরের সুফল কবে নাগাদ ভোগ করা যাবে তা নিয়ে এলাকার লোকজনের মাঝে সন্দেহ দানা বেঁধেছে।
এদিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কেদারাকোট পর্যন্ত দুই লেনের রাস্তা নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানালেও অদ্যাবধি সেই রাস্তা নির্মাণের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। তবে বিগত সরকারের আমলে চুনারুঘাট-বাল্লা সড়ক মেরামত করছে সওজ।
কেদারাকোট এলাকায় প্রায় ১৩ একর জমির ওপর বাল্লা স্থলবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে বন্দরের জমি অধিগ্রহণ শেষে অবকাঠামো তৈরির করা হয় কিন্তু দৃষ্টিনন্দন সেই স্থলবন্দরটি ১৬ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও চালু করা যায়নি বা আদৌ চালু হবে কিনা তা কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।