পবিত্র নগরী সৌদি আরবের মদিনা শহর। যেখানে রয়েছেন বিশ্ব নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর রওজামোবারক। এছাড়াও অসংখ্য সাহাবী সেখানে সাহিত রয়েছেন। এই শহরে নারীর একাকী’ ভ্রমণের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে। ভ্রমণবিষয়ক ব্রিটিশ কম্পানি ইনশিউর মাই ট্রিপের সমীক্ষায় নারীর একাকী’ ভ্রমণে সারা বিশ্বের নিরাপদ শহরের তালিকা প্রকাশ করে। গালফ ইনসাইডার সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ ইনসাইডারের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নারীর একাকী’ ভ্রমণের জন্য নিরাপদ শহরের তালিকার শীর্ষ পাঁচ শহরই এশিয়ায় অবস্থিত।
এ সমীক্ষায় ১০/১০ স্কোর পেয়ে প্রথমে আছে ম’দিনা।
ইনশিউর মাই ট্রিপের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুজান ম্যারো বলেন, ‘ভ্রমণের সময় সবাই নিরাপদ থাকবে, এটাই কাম্য। এই প্ল্যাটফর্মে আম’রা ভ্রমণের সব দুশ্চিন্তা দূর করার চেষ্টা করি। আম’রা চাই, সবার ভ্রমণ আনন্দদায়ক হোক। ’ তিনি আরো বলেন, ‘আম’রা আশা করি, এ গবেষণা নারীদের সঙ্গীসহ কিংবা একাকী’ ভ্রমণে আরো বেশি সহায়তা হবে। ’
ইনশিউর মাই ট্রিপ বিশ্বের শীর্ষ নিরাপদ শহরের তালিকা তৈরিতে শহরের সাম্প্রতিক সময়ের ডাটা ব্যবহার করেছে। ‘রাতে একাকী’ হাঁটার সময় নিরাপদবোধ করা’ ও ‘হা’মলার অনুপস্থিতি’সহ এ ধরনের বিভিন্ন সমীক্ষার ভিত্তিতে নিরাপদ শহরের তালিকা তৈরি করা হয়।
আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল জানায়, এ তালিকায় ৯.০৬/১০ স্কোর পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর। এর পরই ৯.০৪/১০ স্কোরে তৃতীয় স্থানে আছে আরব আমিরাতের দুবাই শহর। এদিকে দুবাইয়ের অধিকাংশ গণপরিবহনে নারীর নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে ‘শুধুমাত্র নারীদের জন্য’ সুবিধা দেওয়া হয়।
৯.০২/১০ স্কোর পেয়ে নিরাপদ শহরের এ তালিকার চতুর্থ স্থানে জা’পানের কয়োটো শহর। এরপর ৮.৭৫/১০ স্কোর পেয়ে পঞ্চ’ম স্থানে আছে চীনের ম্যাকাও শহর।
অন্যদিকে নারীর একাকী’ ভ্রমণের জন্য উচ্চ অ’প’রাধের হারে ০/১০ স্কোর পেয়ে সবচেয়ে অনিরাপদ শহরের শীর্ষে আছে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ। এরপর ২.৯৮/১০ স্কোরে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর শহর। এরপর ৩.৩৯/১০ স্কোরে ভা’রতের দিল্লি শহর। এরপর ৩.৭৪ স্কোরে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর। এর পরেই ৩.৭৮/১০ স্কোর পেয়ে তালিকার পঞ্চ’ম স্থানে আছে বিশ্বের অন্যতম পর্যটন শহর ফ্রান্সের প্যারিস।
সূত্র : গালফ ইনসাইডার ও দ্য ন্যাশনাল