হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালালসহ রোকেয়া আক্তার (১৮) নামে এক রোহিঙ্গা তরুণীকে আটক করেছে পুলিশ। ওই তরুনী তথ্য গোপন করে পাসপোর্ট করতে এসে পুলিশের হাতে ধরাশায়ী হন। এসময় হবিগঞ্জ শহরের রাজনগর এলাকার হারুনুর রশিদের ছেলে দালাল আমানুর রশীদ মাহিকে আটক করচ হয়।
গতকাল (২২ অক্টোবর) রবিবার দুপুরে তাদের আটকের পর সদর মডেল থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল সকাল ১১ টায় নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের দেউতলী গ্রামের নাজমুল হোসাইন চৌধুরীরকে পিতা পরিচয় দিয়ে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন রুহিঙ্গা তরুণী রোকেয়া আক্তার।
আবেদনের সাথে তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ছালিক মিয়ার স্বাক্ষরীত জন্মনিবন্ধন সনদ জমা দেন।
এ সময় হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মোঃ রজলুর রহমান ওই তরুণীর কাছে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে তার কথা বার্তায় সন্দেহ দেখা দেয়। খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনমুন নাহার ও সদর মডেল থানার এসআই মমিনুল ইসলাম পাসপোর্ট অফিসে যান।
পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনমুন নাহারের উপস্থিতিতে রোহিঙ্গা তরুণী জানায়, সে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ-৩ এর বাসিন্দা।
বানিয়াচং উপজেলার বাসিন্দা ও শহরের রাজনগর এলাকার ভাড়াটিয়া মোঃ আমানুর রশীদ মাহি’র মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার জন্য তিনি পাসপোর্ট তৈরী করতে এখানে আসেন। পরে পুলিশ দুজনকে আটক করে নিয়মিত মামলা দিয়েছে।
হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মোঃ বজলুর রহমান জানান, সকালে ওই রোহিঙ্গা তরুণী পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন।
এ সময় ঠিকানা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি সঠিকভাবে উত্তর দিতে পারেননি। পরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট-এর জিজ্ঞাসাবাদে ওই তরুণী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বলে স্বীকার করে। এ কাজে সহযোগিতা করায় এক দালালকেও আটক করা হয়।