হবিগঞ্জ ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ মিরাশী ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে ঈদ পূণর্মিলনী Logo ঈদযাত্রায় মহাসড়কে পুলিশের টহল জোরদার, সিলেটবাসীর নির্বিঘ্ন ঘরে ফেরা Logo ঈদে অর্ধশতাধিক এতিমদের মুখে হাসি ফোটালেন ছাত্রদল নেতা আল সাইমুম আহাদ Logo চুনারুঘাটে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালন Logo মাধবপুরে ‎হাত ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে Logo মাধবপুরে বেড়েছে, মাদক ও ছিনতাইয়ের সন্ত্রাসে জনজীবন অতিষ্ঠ Logo টানা বৃষ্টিপাতে মাধবপুরে মহাসড়কসহ বিভিন্ন জায়গা প্লাবিত Logo চুনারুঘাটে পানিতে ডুবে ভাইবোনের এক সাথে মৃত্যু Logo চুনারুঘাটে তহশিলদার মইনুল ইসলামে সততার ঈর্ষান্বিত হয়ে সংবাদ প্রকাশ Logo চুনারুঘাটে ফের ২২ বাংলাদেশীকে পুশইন করেছে বিএসএফ
বিশিষ্টজনের উদ্বেগ প্রকাশ

মাধবপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাশকতা মামলায় আসামী হলেন ৬ সাংবাদিক!

হবিগঞ্জের মাধবপুরে বিগত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হট্টগোলে ভাঙচুর ও মারামারির ঘটনায় ৬ জন সাংবাদিককে আসামী করা হয়েছে। 

খুঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৫ আগষ্ট সারাদেশব্যপী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সময় ঘটে যাওয়া ঘটনায় বর্তমানে অন্তবর্তীকালীন সরকার ঘটনের পর পূর্বের ঘটনায় রাজনৈতিক মামলায় দায়ের হচ্ছে।

ওই মামলায় উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের পদধারী প্রথম শ্রেণীর নেতাদের নাম বাদ দিয়ে ব্যক্তিগত আক্রোশে আসামি করার অভিযোগ ওঠেছে।

একই পরিবারের অরাজনৈতিক ২ সহোদরসহ আসামী করা হয়েছে মূলধারার পেশাগত সাংবাদিকদের। ওই মামলায় আসামী হয়ে আত্মগোপনে আছে ” দৈনিক সংবাদ”মাধবপুর  উপজেলা প্রতিনিধি মো: এরশাদ আলী, দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি শংকর পাল চৌধুরী, দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ অলিদ মিয়া, দৈনিক সিলেট উপজেলা  প্রতিনিধি মোঃ নাহিদ মিয়া, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম শান্ত ও হবিগঞ্জের বাণী প্রতিনিধি মো: মিজানুর রহমান।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর মাধবপুর থানায় রুজু হওয়ায় ৩০ নং মামলায় সাবেক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এড. মোঃ মাহবুব আলীকে প্রধান আসামী করে ৬ সাংবাদিক সহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী উপজেলার সীমান্তবর্তী ধর্মঘর ইউনিয়নের দেবপুর গ্রামের চান মিয়ার ছেলে আমিনুর রহমান।

এ বিষয়ে মাধবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি দৈনিক দৈনিক সংবাদ পত্রিকার  প্রতিনিধি মোঃএরশাদ আলী বলেন, রাজনৈতিক মামলায় সাংবাদিকরা আসামী এটা মেনে নেওয়া যায়না।

কারন প্রত্যেকটা সময়ই সাংবাদিকরা বিভিন্ন রাজনৈতিক হয়রানি স্বীকার হয়। এমনকি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংবাদ বিভিন্ন সময়ে তাদের আন্দোলনের সংবাদ প্রচার করার চেষ্টা করেছি। সাংবাদিকরা আসামি এটা আসলে দু:খের বিষয়!

এ ব্যাপারে মাধবপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও ওই মামলার আসামী হওয়া আমাদের সময়ের প্রতিনিধি মোহাম্মদ অলিদ মিয়া বলেন, সাংবাদকর্মিদের বরাবরই বলির পাঠা বানানো হয়।

সাংবাদিকদের মিথ্যা মামলায় উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে আসামী করে হয়রানী হীন মনমানসিকতার পরিচয় দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকদের হয়রানী ও মামলা থেকে বাদ দিয়ে মুক্ত সাংবাদিকতা বিরোধী এই বৈষম্য দূর করার দাবী জানাচ্ছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার একজন বিএনপি নেতা জানান, এই সাংবাদিকরা অনেকেই স্বৈরাচারী সরকারের বেশি সাংবাদিকতা করতো।তারপরেও তাদেরকে মামলায় আসামি করা এটি আইনগত বিষয় আমার কিছু বলার নেই।

রাজনৈতিক মামলায় ৬ সাংবাদিক আসামী! এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, যাদের কে আসামি দিয়েছে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি না, মামলা একজন দিয়েছে এজাহার নিয়েছি যদি তারা এই ঘটনায় জড়িত না থাকে নিরপরাধ কেউ জড়িত হবেনা।

যে কেউ অভিযোগ দিছে আমরা এফআইআর করেছি সাংবাদিকদের বিষয় গুলো যেহেতু বলেছেন, সাংবাদিকদের আলাদা করে দেখব বিশেষ ভাবে তদন্ত করব আমরা আশ্বস্ত করতে পারি আপনাদের।

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সুপারিন্টেন্ডেন্ট  মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন জানান-সাংবাদিকরা সমাজের আয়না। কেউই আইনের উর্ধ্বে নয় এটাও সত্য।

তবে পেশাগত সাংবাদিকদের মামলায় আসামি করার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন কাম্য।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ মিরাশী ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে ঈদ পূণর্মিলনী

বিশিষ্টজনের উদ্বেগ প্রকাশ

মাধবপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাশকতা মামলায় আসামী হলেন ৬ সাংবাদিক!

আপডেট সময় ১২:৪৮:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হবিগঞ্জের মাধবপুরে বিগত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হট্টগোলে ভাঙচুর ও মারামারির ঘটনায় ৬ জন সাংবাদিককে আসামী করা হয়েছে। 

খুঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৫ আগষ্ট সারাদেশব্যপী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সময় ঘটে যাওয়া ঘটনায় বর্তমানে অন্তবর্তীকালীন সরকার ঘটনের পর পূর্বের ঘটনায় রাজনৈতিক মামলায় দায়ের হচ্ছে।

ওই মামলায় উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের পদধারী প্রথম শ্রেণীর নেতাদের নাম বাদ দিয়ে ব্যক্তিগত আক্রোশে আসামি করার অভিযোগ ওঠেছে।

একই পরিবারের অরাজনৈতিক ২ সহোদরসহ আসামী করা হয়েছে মূলধারার পেশাগত সাংবাদিকদের। ওই মামলায় আসামী হয়ে আত্মগোপনে আছে ” দৈনিক সংবাদ”মাধবপুর  উপজেলা প্রতিনিধি মো: এরশাদ আলী, দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি শংকর পাল চৌধুরী, দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ অলিদ মিয়া, দৈনিক সিলেট উপজেলা  প্রতিনিধি মোঃ নাহিদ মিয়া, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম শান্ত ও হবিগঞ্জের বাণী প্রতিনিধি মো: মিজানুর রহমান।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর মাধবপুর থানায় রুজু হওয়ায় ৩০ নং মামলায় সাবেক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এড. মোঃ মাহবুব আলীকে প্রধান আসামী করে ৬ সাংবাদিক সহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী উপজেলার সীমান্তবর্তী ধর্মঘর ইউনিয়নের দেবপুর গ্রামের চান মিয়ার ছেলে আমিনুর রহমান।

এ বিষয়ে মাধবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি দৈনিক দৈনিক সংবাদ পত্রিকার  প্রতিনিধি মোঃএরশাদ আলী বলেন, রাজনৈতিক মামলায় সাংবাদিকরা আসামী এটা মেনে নেওয়া যায়না।

কারন প্রত্যেকটা সময়ই সাংবাদিকরা বিভিন্ন রাজনৈতিক হয়রানি স্বীকার হয়। এমনকি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংবাদ বিভিন্ন সময়ে তাদের আন্দোলনের সংবাদ প্রচার করার চেষ্টা করেছি। সাংবাদিকরা আসামি এটা আসলে দু:খের বিষয়!

এ ব্যাপারে মাধবপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও ওই মামলার আসামী হওয়া আমাদের সময়ের প্রতিনিধি মোহাম্মদ অলিদ মিয়া বলেন, সাংবাদকর্মিদের বরাবরই বলির পাঠা বানানো হয়।

সাংবাদিকদের মিথ্যা মামলায় উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে আসামী করে হয়রানী হীন মনমানসিকতার পরিচয় দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকদের হয়রানী ও মামলা থেকে বাদ দিয়ে মুক্ত সাংবাদিকতা বিরোধী এই বৈষম্য দূর করার দাবী জানাচ্ছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার একজন বিএনপি নেতা জানান, এই সাংবাদিকরা অনেকেই স্বৈরাচারী সরকারের বেশি সাংবাদিকতা করতো।তারপরেও তাদেরকে মামলায় আসামি করা এটি আইনগত বিষয় আমার কিছু বলার নেই।

রাজনৈতিক মামলায় ৬ সাংবাদিক আসামী! এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, যাদের কে আসামি দিয়েছে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি না, মামলা একজন দিয়েছে এজাহার নিয়েছি যদি তারা এই ঘটনায় জড়িত না থাকে নিরপরাধ কেউ জড়িত হবেনা।

যে কেউ অভিযোগ দিছে আমরা এফআইআর করেছি সাংবাদিকদের বিষয় গুলো যেহেতু বলেছেন, সাংবাদিকদের আলাদা করে দেখব বিশেষ ভাবে তদন্ত করব আমরা আশ্বস্ত করতে পারি আপনাদের।

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সুপারিন্টেন্ডেন্ট  মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন জানান-সাংবাদিকরা সমাজের আয়না। কেউই আইনের উর্ধ্বে নয় এটাও সত্য।

তবে পেশাগত সাংবাদিকদের মামলায় আসামি করার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন কাম্য।