হবিগঞ্জ ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চুনারুঘাটে ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী পর্যটকের মৃত্যু Logo অসুস্থ সাবেক কৃতি ফুটবলার আকছিরের পাশে চুনারুঘাট উপজেলা ফুটবল একাডেমি  Logo আহম্মদাবাদ ইউনিয়নে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন Logo শহীদ মিনারে আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের শ্রদ্ধা নিবেদন Logo সীমান্তের ত্রাস গণধর্ষণ মামলার আসামী আবুল গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাটে  স্ত্রীর যৌতুক মামলায় বিয়ে পাগল স্বামী গ্রেপ্তার Logo নবাগত ইউএনওর সাথে চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের পরিচিত সভা ও মতবিনিময় Logo মাধবপুরে বিএনপির কর্মী সভা Logo ইউএনও’র পরিচিতি সভা বর্জন করলেন চুনারুঘাটে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ Logo শায়েস্তাগঞ্জে অর্থনৈতিক শুমারির কাজে জনপ্রতিনিধি ও আ’লীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মী!

চুনারুঘাটের ৫০ শয্যা হাসপাতালে স্যালাইন ও ওষুধ সংকট

চুনারুঘাট উপজেলার ৫০ শয্যা হাসপাতালে রোগীদের ভিড় বেড়েছে। শয্যাসংকটে তাদের হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় থাকতে হচ্ছে। এদিকে হাসপাতালে স্যালাইনের সংকট রয়েছে। বাইরে থেকে বেশি দামে রোগীদের স্যালাইন কিনতে হচ্ছে। গরমে জ্বর, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও হিটস্ট্রোকসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।

সরেজমিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, টিকিট কাউন্টারের সামনে প্রচণ্ড ভিড়। টিকিট নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন রোগীরা।

হাসপাতালে শয্যা রয়েছে ৫০টি। হাসপাতালে ভর্তি আছে ৯০ জন রোগী। ৬০ শতাংশই শিশু ও বয়স্ক। প্রতিদিন ৩০- ৪০ জন রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে কেউ বাড়িতে আবার কেউ বেসরকারি হাসপাতালে গেছেন। বেশির ভাগই ডায়রিয়ার রোগী। জ্বর, নিউমোনিয়া, টাইফয়েড রোগীও আছে।

শয্যা না পেয়ে তারা বারান্দায়, করিডোরে, মেঝেতে রোগীদের ঠাঁই নিতে হয়েছে। বিছানার পাশ দিয়ে মানুষজন হেঁটে যাচ্ছে। পায়ের ধুলাবালু উড়ে রোগী ও স্বজনদের নাকেমুখে যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এদিকে রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম অবস্থা চিকিৎসক ও নার্সদের।

ডায়রিয়ায় আক্রান্ত সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন ফরিদ মিয়া। তিনি জানান, মেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। তাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। শয্যা পাইনি। মেয়ের অবস্থা ভালো না। তাকে নিয়ে কী করব ভেবে পাচ্ছি না।

নার্স জাকিয়া সুলতানা জানান, হাসপাতালে শয্যা ৫০টি। রোগী ভর্তি ৯০ জন। প্রতিদিনই নতুন করে ভর্তি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ জন। রোগীর এত চাপ যে, সেবা দিতে আমাদের হিমশিম অবস্থা।

চিকিৎসক ইশতিয়াক আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, আমরা রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে এই গরমে সবাইকে সচেতন হতে হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, রোগীর চাপে হাসপাতালে স্যালাইনসহ কিছু ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।

বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত সংকট নিরসন হবে। রোগীর চাপ বেড়েছে। পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় অনেক রোগীকে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। লোকবল সংকট থাকায় প্রত্যেকে ডাবল শিফটে সেবা দিচ্ছেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

চুনারুঘাটে ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী পর্যটকের মৃত্যু

চুনারুঘাটের ৫০ শয্যা হাসপাতালে স্যালাইন ও ওষুধ সংকট

আপডেট সময় ১১:২৩:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪

চুনারুঘাট উপজেলার ৫০ শয্যা হাসপাতালে রোগীদের ভিড় বেড়েছে। শয্যাসংকটে তাদের হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় থাকতে হচ্ছে। এদিকে হাসপাতালে স্যালাইনের সংকট রয়েছে। বাইরে থেকে বেশি দামে রোগীদের স্যালাইন কিনতে হচ্ছে। গরমে জ্বর, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও হিটস্ট্রোকসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।

সরেজমিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, টিকিট কাউন্টারের সামনে প্রচণ্ড ভিড়। টিকিট নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন রোগীরা।

হাসপাতালে শয্যা রয়েছে ৫০টি। হাসপাতালে ভর্তি আছে ৯০ জন রোগী। ৬০ শতাংশই শিশু ও বয়স্ক। প্রতিদিন ৩০- ৪০ জন রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে কেউ বাড়িতে আবার কেউ বেসরকারি হাসপাতালে গেছেন। বেশির ভাগই ডায়রিয়ার রোগী। জ্বর, নিউমোনিয়া, টাইফয়েড রোগীও আছে।

শয্যা না পেয়ে তারা বারান্দায়, করিডোরে, মেঝেতে রোগীদের ঠাঁই নিতে হয়েছে। বিছানার পাশ দিয়ে মানুষজন হেঁটে যাচ্ছে। পায়ের ধুলাবালু উড়ে রোগী ও স্বজনদের নাকেমুখে যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এদিকে রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম অবস্থা চিকিৎসক ও নার্সদের।

ডায়রিয়ায় আক্রান্ত সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন ফরিদ মিয়া। তিনি জানান, মেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। তাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। শয্যা পাইনি। মেয়ের অবস্থা ভালো না। তাকে নিয়ে কী করব ভেবে পাচ্ছি না।

নার্স জাকিয়া সুলতানা জানান, হাসপাতালে শয্যা ৫০টি। রোগী ভর্তি ৯০ জন। প্রতিদিনই নতুন করে ভর্তি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ জন। রোগীর এত চাপ যে, সেবা দিতে আমাদের হিমশিম অবস্থা।

চিকিৎসক ইশতিয়াক আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, আমরা রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে এই গরমে সবাইকে সচেতন হতে হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, রোগীর চাপে হাসপাতালে স্যালাইনসহ কিছু ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।

বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত সংকট নিরসন হবে। রোগীর চাপ বেড়েছে। পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় অনেক রোগীকে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। লোকবল সংকট থাকায় প্রত্যেকে ডাবল শিফটে সেবা দিচ্ছেন।