হবিগঞ্জ ০২:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের দামী সেগুন গাছ চুরি Logo চুনারুঘাটে দোকানের কর্মচারীকে মারধর ও লুটপাট: মামলা Logo ইসলামী আন্দোলনের মিরাশী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড শাখার সম্মেলন ও ঈদ পুনর্মিলনী Logo যুবলীগ নেতা ভূমিখেকো নাসিরের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ Logo চুনারুঘাট উপজেলা ছাত্র জমিয়তের কর্মী সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন Logo ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ, ভিড় বাস-ট্রেন-লঞ্চে Logo শেকড় সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে ৩শ’ রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ বিতরণ Logo হবিগঞ্জে বিআরটিএ অভিযানে ৬ যানবাহন চালকে জরিমানা Logo ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ মিরাশী ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে ঈদ পূণর্মিলনী Logo ঈদযাত্রায় মহাসড়কে পুলিশের টহল জোরদার, সিলেটবাসীর নির্বিঘ্ন ঘরে ফেরা

শ্রীমঙ্গলে দীর্ঘ ৬০ বছরে প্রভাবশালীদের দখল থেকে খাস জমি উদ্ধার করেছে প্রশাসন

শ্রীমঙ্গল উপজেলায় দীর্ঘ ৬০ বছর পর প্রভাবশালীদের কব্জায় থাকা বিপুল পরিমান সরকারী খাস জমি উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিশিরা মৌজা ও আশিদ্রোণ ইউনিয়নের আশিদ্রোন এবং উত্তরসূর মৌজায় অবস্থিত এসব খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এসব সরকারী জমি উদ্ধারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন মঙ্গলবার দিনব্যাপী অভিযান চালায়। এসময় প্রভাবশালীদের দখলে থাকা সদর ইউনিয়নের বালিশিরা মৌজায় ৬ একর এবং আশিদ্রোন ইউনিয়নের আশিদ্রোন এবং উত্তরসূর মৌজায় ৩ একর খাস জমি উদ্ধার করা হয়।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে জমি উদ্ধার কাজে অংশ নেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নেছার উদ্দিন, শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শামীম অর রশীদ তালুকদার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। স্থানীয়রা জানান, এসব জমির বেশীর ভাগ অংশ উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আফজল হকের দখলে ছিল। তিনি দীর্ঘদিন এসব জমি দখলে রেখে চাষাবাদ করে আসছিলেন।
জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আফজল হক বলেন, দীর্ঘ ৬০ বছরের বেশী সময় ধওে এসব জায়গায় ফসল ফলিয়ে আসছিলাম। এই জমি স্থায়ী বন্দোবস্ত নিতে মন্ত্রনালয়ে আবেদন করেছি। কিন্ত বন্দোবস্ত না দিয়ে সরকারী লোকজন এসে এসব জমি অধিগ্রহন করে নেন।
শ্রীমঙ্গলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নেছার উদ্দিন বলেন, এই সরকারী জমিগুলো দীর্ঘদিন যাবত বেদখল ছিল। প্রশাসনিক ভাবে এসব জমি উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন,
এসব জমিতে ভূমি ও গৃহহীন ৩শ’ পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ করার করা হবে। আশা করছি খুব শীঘ্রই ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন থেকে একটি মহল অবৈধভাবে এসব জমি ভোগ দখল করে আসছিল। আমরা এসব খাসজমি চিহ্নিত করে অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছি। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত এই খাস জমিতে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীনদের মাঝে বন্দোবস্ত দিয়ে গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের দামী সেগুন গাছ চুরি

শ্রীমঙ্গলে দীর্ঘ ৬০ বছরে প্রভাবশালীদের দখল থেকে খাস জমি উদ্ধার করেছে প্রশাসন

আপডেট সময় ১২:৪৫:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল ২০২২

শ্রীমঙ্গল উপজেলায় দীর্ঘ ৬০ বছর পর প্রভাবশালীদের কব্জায় থাকা বিপুল পরিমান সরকারী খাস জমি উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিশিরা মৌজা ও আশিদ্রোণ ইউনিয়নের আশিদ্রোন এবং উত্তরসূর মৌজায় অবস্থিত এসব খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এসব সরকারী জমি উদ্ধারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন মঙ্গলবার দিনব্যাপী অভিযান চালায়। এসময় প্রভাবশালীদের দখলে থাকা সদর ইউনিয়নের বালিশিরা মৌজায় ৬ একর এবং আশিদ্রোন ইউনিয়নের আশিদ্রোন এবং উত্তরসূর মৌজায় ৩ একর খাস জমি উদ্ধার করা হয়।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে জমি উদ্ধার কাজে অংশ নেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নেছার উদ্দিন, শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শামীম অর রশীদ তালুকদার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। স্থানীয়রা জানান, এসব জমির বেশীর ভাগ অংশ উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আফজল হকের দখলে ছিল। তিনি দীর্ঘদিন এসব জমি দখলে রেখে চাষাবাদ করে আসছিলেন।
জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আফজল হক বলেন, দীর্ঘ ৬০ বছরের বেশী সময় ধওে এসব জায়গায় ফসল ফলিয়ে আসছিলাম। এই জমি স্থায়ী বন্দোবস্ত নিতে মন্ত্রনালয়ে আবেদন করেছি। কিন্ত বন্দোবস্ত না দিয়ে সরকারী লোকজন এসে এসব জমি অধিগ্রহন করে নেন।
শ্রীমঙ্গলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নেছার উদ্দিন বলেন, এই সরকারী জমিগুলো দীর্ঘদিন যাবত বেদখল ছিল। প্রশাসনিক ভাবে এসব জমি উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন,
এসব জমিতে ভূমি ও গৃহহীন ৩শ’ পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ করার করা হবে। আশা করছি খুব শীঘ্রই ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন থেকে একটি মহল অবৈধভাবে এসব জমি ভোগ দখল করে আসছিল। আমরা এসব খাসজমি চিহ্নিত করে অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছি। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত এই খাস জমিতে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীনদের মাঝে বন্দোবস্ত দিয়ে গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হবে।