হবিগঞ্জ ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চুনারুঘাটে কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে যুবকের অর্থদণ্ড Logo চুনারুঘাটে ন্যাশনাল ট্রাভেলস্ ও আশরাফ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরসের উদ্যোগে পবিত্র হজ্ব সেমিনার Logo চুনারুঘাটে ৮ম শ্রেণির ছাত্রকে মারপিট করে বাইসাইকেল ছিনতাই করে একদল কিশোর গ্যাংক Logo সৃষ্টি নাকি ধ্বংস : শিক্ষাঙ্গন যাচ্ছে কোন পথে?  Logo হবিগঞ্জে ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি সারাদেশ ও হবিগঞ্জে খেলার মাঠ দখলমুক্ত-সুরক্ষার দাবি ক্রিকেটারদের Logo মাধবপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাশকতা মামলায় আসামী হলেন ৬ সাংবাদিক! Logo দৈনিক আমাদের দেশ পাঠক ফোরামের পক্ষে নির্বাসিত সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান কে সংবর্ধনা Logo সাংবাদিকতায় যদি সফলতা চান, তাহলে দিন শেষে ভাবেন-সিনিয়র সাংবাদিক আলমগীর হোসেন Logo গণবিপ্লবের মাধ্যমে আমরা মুক্ত হয়েছি- নির্বাসিত সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান Logo সহকারি শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার মাধবপুর উপজেলা শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচিত

আজ ২৫ মার্চ : সেই বর্বর গণহত্যার ‘কালরাত’

  • আলোকিত ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১২:৫৪:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০২২
  • ২০৩ বার পড়া হয়েছে
আজ ২৫ মার্চ । সেই বর্বর গণহত্যার ‘কালরাত’। ১৯৭১ সালের এই রাতে নিরপরাধ নিরস্ত্র ঘুমন্ত বাঙালির ওপর ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পৈশাচিক উল্লাসে। পৃথিবীর ইতিহাসে ভয়াবহতম গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে। এ গণহত্যা আজও বিশ্ববিবেকের কাছে মানবতার লঙ্ঘন ও বর্বরতার এক ঘৃণ্যতম দৃষ্টান্ত। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে কুখ্যাত এ গণহত্যাযজ্ঞ শুরু হয়েছিল ২৫ মার্চ রাতে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরে।
মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্যাঙ্ক আর সেনাবোঝাই লরি নিয়ে ঢুকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ইকবাল হল (বর্তমানে জহুরুল হক হল) ও জগন্নাথ হলে চালায় নির্মম হত্যাযজ্ঞ। রুমে রুমে ঢুকে ঘুমন্ত ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করে পাক জল্লাদরা। একে একে গুলি করে, বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে জগন্নাথ হলের ১০৩ ছাত্রকে। হলের কর্মচারীদের কোয়ার্টারে ঢুকে তাদের স্ত্রী-বাচ্চাসহ পুরো পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ওই রাতে মানুষরূপী শকুনীরা শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি! সেই রাতে বাবার সামনে মেয়েকে আর ছেলের সামনে মাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। সেদিন রাতে একযোগে জগন্নাথ হল ছাড়াও ইকবাল হল, রোকেয়া হলে শকুনীর দল হামলা চালায়। ড. গোবিন্দচন্দ্র দেব, ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য. ড. মনিরুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের নয় শিক্ষককে হত্যা করা হয়। ঢাকার রাজপথে ব্রাশফায়ার করে মেরে ফেলা হয় অসংখ্য নিরীহ, গরিব মানুষকে। মেডিক্যাল কলেজ ও ছাত্রাবাসে গোলা ছুড়ে হত্যা করা হয় অসংখ্য মানুষকে।
সেই রাতে রাজারবাগ পুলিশের সদর দফতরে পাকসেনাদের সাঁড়াশি অভিযানের মুখেও বাঙালী পুলিশ সদস্যরা আত্মসমর্পণের প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। কিন্তু ট্যাঙ্ক আর ভারি মেশিনগানের ক্রমাগত গুলির মুখে গুঁড়িয়ে যায় তাঁদের প্রতিরোধ। গ্যাসোলিন ছিটিয়ে আগুন দিয়ে ভস্মীভূত করা হয় পুলিশ সদর দফতর। সে রাতে ১১শত বাঙালী পুলিশকে হত্যা করেও তারা থামেনি, গুঁড়িয়ে দেয় পুরো ব্যারাক।
আমার শহর রংপুরে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নিরীহ মানুষ হত্যা করা হয় ব্রাশ ফায়ারে।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

চুনারুঘাটে কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে যুবকের অর্থদণ্ড

আজ ২৫ মার্চ : সেই বর্বর গণহত্যার ‘কালরাত’

আপডেট সময় ১২:৫৪:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০২২
আজ ২৫ মার্চ । সেই বর্বর গণহত্যার ‘কালরাত’। ১৯৭১ সালের এই রাতে নিরপরাধ নিরস্ত্র ঘুমন্ত বাঙালির ওপর ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পৈশাচিক উল্লাসে। পৃথিবীর ইতিহাসে ভয়াবহতম গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে। এ গণহত্যা আজও বিশ্ববিবেকের কাছে মানবতার লঙ্ঘন ও বর্বরতার এক ঘৃণ্যতম দৃষ্টান্ত। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে কুখ্যাত এ গণহত্যাযজ্ঞ শুরু হয়েছিল ২৫ মার্চ রাতে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরে।
মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্যাঙ্ক আর সেনাবোঝাই লরি নিয়ে ঢুকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ইকবাল হল (বর্তমানে জহুরুল হক হল) ও জগন্নাথ হলে চালায় নির্মম হত্যাযজ্ঞ। রুমে রুমে ঢুকে ঘুমন্ত ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করে পাক জল্লাদরা। একে একে গুলি করে, বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে জগন্নাথ হলের ১০৩ ছাত্রকে। হলের কর্মচারীদের কোয়ার্টারে ঢুকে তাদের স্ত্রী-বাচ্চাসহ পুরো পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ওই রাতে মানুষরূপী শকুনীরা শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি! সেই রাতে বাবার সামনে মেয়েকে আর ছেলের সামনে মাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। সেদিন রাতে একযোগে জগন্নাথ হল ছাড়াও ইকবাল হল, রোকেয়া হলে শকুনীর দল হামলা চালায়। ড. গোবিন্দচন্দ্র দেব, ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য. ড. মনিরুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের নয় শিক্ষককে হত্যা করা হয়। ঢাকার রাজপথে ব্রাশফায়ার করে মেরে ফেলা হয় অসংখ্য নিরীহ, গরিব মানুষকে। মেডিক্যাল কলেজ ও ছাত্রাবাসে গোলা ছুড়ে হত্যা করা হয় অসংখ্য মানুষকে।
সেই রাতে রাজারবাগ পুলিশের সদর দফতরে পাকসেনাদের সাঁড়াশি অভিযানের মুখেও বাঙালী পুলিশ সদস্যরা আত্মসমর্পণের প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। কিন্তু ট্যাঙ্ক আর ভারি মেশিনগানের ক্রমাগত গুলির মুখে গুঁড়িয়ে যায় তাঁদের প্রতিরোধ। গ্যাসোলিন ছিটিয়ে আগুন দিয়ে ভস্মীভূত করা হয় পুলিশ সদর দফতর। সে রাতে ১১শত বাঙালী পুলিশকে হত্যা করেও তারা থামেনি, গুঁড়িয়ে দেয় পুরো ব্যারাক।
আমার শহর রংপুরে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নিরীহ মানুষ হত্যা করা হয় ব্রাশ ফায়ারে।