হবিগঞ্জ ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাল্টে গেলো চুনারুঘাট গোল চত্বরের নাম Logo জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে আমি আবারো আপনাদের মুখে হাসি ফুটাতে চাই-বিএনপি নেতা সৈয়দ মোঃ ফয়সল Logo হবিগজ্ঞ সমিতি সিলেটের চুনারুঘাটের ৩ ইউনিয়নের দরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo চুনারুঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযানের সময় এসিল্যান্ডের উপর হামলার ঘটনায় কথিত সমন্বয়ক ফরহাদ গ্রেফতার Logo চুনারুঘাটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নয়া কমিটি Logo যৌথ বাহিনীর অভিযান; গাঁজাসহ আটক-৩ Logo চুনারুঘাটে রাতের আধাঁরে সড়কের ১৪টি গাছ কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা Logo মাধবপুরে এস এম ফয়সল মেধাবৃত্তি প্রদান ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা Logo জাহানারা চৌধুরী ইউমেন্স কলেজের নারী শিক্ষা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo চুনারুঘাট প্রেসক্লাবে ২ সমাজসেবক প্রবাসীর সাথে মতবিনিময় ও সংবর্ধনা

আজ ২৫ মার্চ : সেই বর্বর গণহত্যার ‘কালরাত’

  • আলোকিত ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১২:৫৪:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০২২
  • ২২৮ বার পড়া হয়েছে
আজ ২৫ মার্চ । সেই বর্বর গণহত্যার ‘কালরাত’। ১৯৭১ সালের এই রাতে নিরপরাধ নিরস্ত্র ঘুমন্ত বাঙালির ওপর ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পৈশাচিক উল্লাসে। পৃথিবীর ইতিহাসে ভয়াবহতম গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে। এ গণহত্যা আজও বিশ্ববিবেকের কাছে মানবতার লঙ্ঘন ও বর্বরতার এক ঘৃণ্যতম দৃষ্টান্ত। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে কুখ্যাত এ গণহত্যাযজ্ঞ শুরু হয়েছিল ২৫ মার্চ রাতে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরে।
মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্যাঙ্ক আর সেনাবোঝাই লরি নিয়ে ঢুকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ইকবাল হল (বর্তমানে জহুরুল হক হল) ও জগন্নাথ হলে চালায় নির্মম হত্যাযজ্ঞ। রুমে রুমে ঢুকে ঘুমন্ত ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করে পাক জল্লাদরা। একে একে গুলি করে, বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে জগন্নাথ হলের ১০৩ ছাত্রকে। হলের কর্মচারীদের কোয়ার্টারে ঢুকে তাদের স্ত্রী-বাচ্চাসহ পুরো পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ওই রাতে মানুষরূপী শকুনীরা শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি! সেই রাতে বাবার সামনে মেয়েকে আর ছেলের সামনে মাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। সেদিন রাতে একযোগে জগন্নাথ হল ছাড়াও ইকবাল হল, রোকেয়া হলে শকুনীর দল হামলা চালায়। ড. গোবিন্দচন্দ্র দেব, ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য. ড. মনিরুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের নয় শিক্ষককে হত্যা করা হয়। ঢাকার রাজপথে ব্রাশফায়ার করে মেরে ফেলা হয় অসংখ্য নিরীহ, গরিব মানুষকে। মেডিক্যাল কলেজ ও ছাত্রাবাসে গোলা ছুড়ে হত্যা করা হয় অসংখ্য মানুষকে।
সেই রাতে রাজারবাগ পুলিশের সদর দফতরে পাকসেনাদের সাঁড়াশি অভিযানের মুখেও বাঙালী পুলিশ সদস্যরা আত্মসমর্পণের প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। কিন্তু ট্যাঙ্ক আর ভারি মেশিনগানের ক্রমাগত গুলির মুখে গুঁড়িয়ে যায় তাঁদের প্রতিরোধ। গ্যাসোলিন ছিটিয়ে আগুন দিয়ে ভস্মীভূত করা হয় পুলিশ সদর দফতর। সে রাতে ১১শত বাঙালী পুলিশকে হত্যা করেও তারা থামেনি, গুঁড়িয়ে দেয় পুরো ব্যারাক।
আমার শহর রংপুরে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নিরীহ মানুষ হত্যা করা হয় ব্রাশ ফায়ারে।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

পাল্টে গেলো চুনারুঘাট গোল চত্বরের নাম

আজ ২৫ মার্চ : সেই বর্বর গণহত্যার ‘কালরাত’

আপডেট সময় ১২:৫৪:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০২২
আজ ২৫ মার্চ । সেই বর্বর গণহত্যার ‘কালরাত’। ১৯৭১ সালের এই রাতে নিরপরাধ নিরস্ত্র ঘুমন্ত বাঙালির ওপর ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পৈশাচিক উল্লাসে। পৃথিবীর ইতিহাসে ভয়াবহতম গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে। এ গণহত্যা আজও বিশ্ববিবেকের কাছে মানবতার লঙ্ঘন ও বর্বরতার এক ঘৃণ্যতম দৃষ্টান্ত। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে কুখ্যাত এ গণহত্যাযজ্ঞ শুরু হয়েছিল ২৫ মার্চ রাতে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরে।
মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্যাঙ্ক আর সেনাবোঝাই লরি নিয়ে ঢুকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ইকবাল হল (বর্তমানে জহুরুল হক হল) ও জগন্নাথ হলে চালায় নির্মম হত্যাযজ্ঞ। রুমে রুমে ঢুকে ঘুমন্ত ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করে পাক জল্লাদরা। একে একে গুলি করে, বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে জগন্নাথ হলের ১০৩ ছাত্রকে। হলের কর্মচারীদের কোয়ার্টারে ঢুকে তাদের স্ত্রী-বাচ্চাসহ পুরো পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ওই রাতে মানুষরূপী শকুনীরা শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি! সেই রাতে বাবার সামনে মেয়েকে আর ছেলের সামনে মাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। সেদিন রাতে একযোগে জগন্নাথ হল ছাড়াও ইকবাল হল, রোকেয়া হলে শকুনীর দল হামলা চালায়। ড. গোবিন্দচন্দ্র দেব, ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য. ড. মনিরুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের নয় শিক্ষককে হত্যা করা হয়। ঢাকার রাজপথে ব্রাশফায়ার করে মেরে ফেলা হয় অসংখ্য নিরীহ, গরিব মানুষকে। মেডিক্যাল কলেজ ও ছাত্রাবাসে গোলা ছুড়ে হত্যা করা হয় অসংখ্য মানুষকে।
সেই রাতে রাজারবাগ পুলিশের সদর দফতরে পাকসেনাদের সাঁড়াশি অভিযানের মুখেও বাঙালী পুলিশ সদস্যরা আত্মসমর্পণের প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। কিন্তু ট্যাঙ্ক আর ভারি মেশিনগানের ক্রমাগত গুলির মুখে গুঁড়িয়ে যায় তাঁদের প্রতিরোধ। গ্যাসোলিন ছিটিয়ে আগুন দিয়ে ভস্মীভূত করা হয় পুলিশ সদর দফতর। সে রাতে ১১শত বাঙালী পুলিশকে হত্যা করেও তারা থামেনি, গুঁড়িয়ে দেয় পুরো ব্যারাক।
আমার শহর রংপুরে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নিরীহ মানুষ হত্যা করা হয় ব্রাশ ফায়ারে।