ডেস্ক নিউজ:আত্মহত্যার ওই ভিডিওটি ফেসবুক লাইভে যারা দেখেছিলেন তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে বলে জানায় সিআইডি। গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করেন চিত্রনায়ক রিয়াজের শ্বশুর আবু মহসিন খান। বুধবার দুপুরে মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে আবু মহসিন খানের আত্মহত্যার প্রসঙ্গ টেনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, চিহ্নিত করা হবে কাউকে দোষারোপের জন্য নয়, মূলত সচেতন করতেই এই উদ্যোগ।যেন ভবিষ্যতে তারা এ ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হলে সিআইডি বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাতে পারেন।
সিআইডি প্রধান বলেন, মহসিন খান যখন লাইভ শুরু করেছিলেন তখন কারা কারা লাইভ দেখছিলেন, আমরা সাইবার পুলিশ থেকে তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছি। তবে চিহ্নিত করার উদ্দেশ্য কাউকে দোষারোপ করতে নয়, তাদের সচেতন করতে। যাতে ভবিষ্যতে তারা সচেতন হয়ে আমাদের জানাতে পারেন।
ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, কেন এ লাইভের ঘটনা সিআইডি জানতে পারলো না? সিআইডির সাইবার পুলিশ অফিসারদের নিয়ে আমি বসলাম। আমি কি পারতাম না এটি প্রতিরোধ করতে? এ বিষয়ে কেউ আমাকে দোষারোপ করেনি। আমি নিজে দেখে নিজেকেই দোষারোপ করেছি। এরপর বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকের সিঙ্গাপুরকেন্দ্রিক অফিসে জানতে চাইলাম। ফেসবুক আমাদের জানালো, মহসিন খান সাড়ে ১৬ মিনিটের বেশি লাইভে ছিলেন। কিন্তু প্রথম দিকে তিনি যেভাবে কথা বলছিলেন তাতে ফেসবুক বুঝতে পারেনি তিনি আত্মহত্যা করবেন। প্রথমে তিনি পরিবারিক জীবন, ব্যক্তিগত জীবন, ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন। লাইভের শেষের আড়াই মিনিট আগে ফেসবুক বুঝতে পারে মহসিন খান আত্মহত্যা করবেন। ফেসবুককে অনুরোধ জানানো হয়েছে, যেন তারা আত্মহত্যা রোধে ভবিষ্যতে আমাদের সঙ্গে কাজ করে।
অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, আত্মহত্যা রোধে কাজ করে যাচ্ছে সিআইডি। ভবিষ্যতে এর প্রসার ও জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করবে বলেও জানান তিনি।