হবিগঞ্জ ১১:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মুড়ারবন্দ তাজদারে মাদীনা সুন্নী যুব সংঘের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত Logo জুলাই শহীদ স্মৃতি গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে চুনারুঘাট ফুটবল একাদশের জার্সি উন্মোচন Logo ‘বিউটিফুল চুনারুঘাট’ এর ব্যতিক্রমি উদ্যোগ সৌন্দর্য বর্ধনে একহাজার বৃক্ষরোপণের পরিকল্পনা Logo মাধবপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার, দুই কারবারি গ্রেফতার Logo চুনারুঘাটে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান Logo আইএফআইসি ব্যাংক এবং শক্তি ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে “হার পাওয়ার” শীর্ষক স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মশালা Logo চুনারুঘাটে দিনে-দুপুরে সাদাবালু চুরির সময় জনতার হাতে আটক-১ Logo বাহুবল নবীগঞ্জের পর এবার চুনারুঘাটে বিএনপির ঝাড়ু মিছিল Logo নির্মাণ শেষের আগেই ২ বার ধসে পড়লো মডেল মসজিদের ছাদ Logo চুনারুঘাটে চুরি হওয়া কাঠ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ

আজ ২৫ মার্চ : সেই বর্বর গণহত্যার ‘কালরাত’

  • আলোকিত ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১২:৫৪:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০২২
  • ২৮৭ বার পড়া হয়েছে
আজ ২৫ মার্চ । সেই বর্বর গণহত্যার ‘কালরাত’। ১৯৭১ সালের এই রাতে নিরপরাধ নিরস্ত্র ঘুমন্ত বাঙালির ওপর ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পৈশাচিক উল্লাসে। পৃথিবীর ইতিহাসে ভয়াবহতম গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে। এ গণহত্যা আজও বিশ্ববিবেকের কাছে মানবতার লঙ্ঘন ও বর্বরতার এক ঘৃণ্যতম দৃষ্টান্ত। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে কুখ্যাত এ গণহত্যাযজ্ঞ শুরু হয়েছিল ২৫ মার্চ রাতে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরে।
মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্যাঙ্ক আর সেনাবোঝাই লরি নিয়ে ঢুকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ইকবাল হল (বর্তমানে জহুরুল হক হল) ও জগন্নাথ হলে চালায় নির্মম হত্যাযজ্ঞ। রুমে রুমে ঢুকে ঘুমন্ত ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করে পাক জল্লাদরা। একে একে গুলি করে, বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে জগন্নাথ হলের ১০৩ ছাত্রকে। হলের কর্মচারীদের কোয়ার্টারে ঢুকে তাদের স্ত্রী-বাচ্চাসহ পুরো পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ওই রাতে মানুষরূপী শকুনীরা শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি! সেই রাতে বাবার সামনে মেয়েকে আর ছেলের সামনে মাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। সেদিন রাতে একযোগে জগন্নাথ হল ছাড়াও ইকবাল হল, রোকেয়া হলে শকুনীর দল হামলা চালায়। ড. গোবিন্দচন্দ্র দেব, ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য. ড. মনিরুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের নয় শিক্ষককে হত্যা করা হয়। ঢাকার রাজপথে ব্রাশফায়ার করে মেরে ফেলা হয় অসংখ্য নিরীহ, গরিব মানুষকে। মেডিক্যাল কলেজ ও ছাত্রাবাসে গোলা ছুড়ে হত্যা করা হয় অসংখ্য মানুষকে।
সেই রাতে রাজারবাগ পুলিশের সদর দফতরে পাকসেনাদের সাঁড়াশি অভিযানের মুখেও বাঙালী পুলিশ সদস্যরা আত্মসমর্পণের প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। কিন্তু ট্যাঙ্ক আর ভারি মেশিনগানের ক্রমাগত গুলির মুখে গুঁড়িয়ে যায় তাঁদের প্রতিরোধ। গ্যাসোলিন ছিটিয়ে আগুন দিয়ে ভস্মীভূত করা হয় পুলিশ সদর দফতর। সে রাতে ১১শত বাঙালী পুলিশকে হত্যা করেও তারা থামেনি, গুঁড়িয়ে দেয় পুরো ব্যারাক।
আমার শহর রংপুরে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নিরীহ মানুষ হত্যা করা হয় ব্রাশ ফায়ারে।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

মুড়ারবন্দ তাজদারে মাদীনা সুন্নী যুব সংঘের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত

আজ ২৫ মার্চ : সেই বর্বর গণহত্যার ‘কালরাত’

আপডেট সময় ১২:৫৪:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০২২
আজ ২৫ মার্চ । সেই বর্বর গণহত্যার ‘কালরাত’। ১৯৭১ সালের এই রাতে নিরপরাধ নিরস্ত্র ঘুমন্ত বাঙালির ওপর ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পৈশাচিক উল্লাসে। পৃথিবীর ইতিহাসে ভয়াবহতম গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে। এ গণহত্যা আজও বিশ্ববিবেকের কাছে মানবতার লঙ্ঘন ও বর্বরতার এক ঘৃণ্যতম দৃষ্টান্ত। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে কুখ্যাত এ গণহত্যাযজ্ঞ শুরু হয়েছিল ২৫ মার্চ রাতে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরে।
মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্যাঙ্ক আর সেনাবোঝাই লরি নিয়ে ঢুকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ইকবাল হল (বর্তমানে জহুরুল হক হল) ও জগন্নাথ হলে চালায় নির্মম হত্যাযজ্ঞ। রুমে রুমে ঢুকে ঘুমন্ত ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করে পাক জল্লাদরা। একে একে গুলি করে, বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে জগন্নাথ হলের ১০৩ ছাত্রকে। হলের কর্মচারীদের কোয়ার্টারে ঢুকে তাদের স্ত্রী-বাচ্চাসহ পুরো পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ওই রাতে মানুষরূপী শকুনীরা শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি! সেই রাতে বাবার সামনে মেয়েকে আর ছেলের সামনে মাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। সেদিন রাতে একযোগে জগন্নাথ হল ছাড়াও ইকবাল হল, রোকেয়া হলে শকুনীর দল হামলা চালায়। ড. গোবিন্দচন্দ্র দেব, ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য. ড. মনিরুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের নয় শিক্ষককে হত্যা করা হয়। ঢাকার রাজপথে ব্রাশফায়ার করে মেরে ফেলা হয় অসংখ্য নিরীহ, গরিব মানুষকে। মেডিক্যাল কলেজ ও ছাত্রাবাসে গোলা ছুড়ে হত্যা করা হয় অসংখ্য মানুষকে।
সেই রাতে রাজারবাগ পুলিশের সদর দফতরে পাকসেনাদের সাঁড়াশি অভিযানের মুখেও বাঙালী পুলিশ সদস্যরা আত্মসমর্পণের প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। কিন্তু ট্যাঙ্ক আর ভারি মেশিনগানের ক্রমাগত গুলির মুখে গুঁড়িয়ে যায় তাঁদের প্রতিরোধ। গ্যাসোলিন ছিটিয়ে আগুন দিয়ে ভস্মীভূত করা হয় পুলিশ সদর দফতর। সে রাতে ১১শত বাঙালী পুলিশকে হত্যা করেও তারা থামেনি, গুঁড়িয়ে দেয় পুরো ব্যারাক।
আমার শহর রংপুরে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নিরীহ মানুষ হত্যা করা হয় ব্রাশ ফায়ারে।