হবিগঞ্জ ০৬:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মাধবপুরে আগুনে পুড়ে ছাই হলো মিলনের বেঁচে থাকার অবলম্বন Logo চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাচনে ১৭ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র দাখিল Logo সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন Logo বিদ্যুৎপৃষ্ঠে নিহতের পরিবারের পাশে ব্যারিস্টার সুমন-এমপি Logo টেকনাফের ব্যাবসায়ী ৫শ’ পিছ ইয়াবাসহ চুনারুঘাটে গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাটে তীব্র দাবদাহে সুপেয় পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ Logo শেখ হাসিনার আধুনিক চিন্তা ধারায় বদলে গেল কৃষিখাত, ব্যারিস্টার সুমন Logo কথায় কথায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক তাদের কাম কি? মানুষের টাকা মেরে দেয়া, ব্যারিস্টার সুমন Logo বাহুবলে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন, জরিমানা ৫০ হাজার টাকা Logo বাহুবলে রাতের আধারে প্রবাসীর ১৮ টি ফসলি গাছ কর্তন, লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি

আমি কাইয়ুমকে ভালোবাসি, আমাদের প্রেম খাঁটি ছিল-সুইসাইড নোট লিখে রুমা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:০৪:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৮৬ বার পড়া হয়েছে

বরগুনা প্রতিনিধি:

আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। বাবা ও মা তোমরা আমাকে ক্ষমা করে দিয়ো। আমি কাইয়ুমকে ভালোবাসি, আমাদের প্রেম খাঁটি ছিল- এমন সুইসাইড নোট লিখে রুমা (১৬) নামের দ্বাদশ শ্রেণির এক কলেজশিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।

গতকাল শনিবার দুপুর ১টার দিকে তালতলী থানা পুলিশ উপজেলার শিকারীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন মোল্লার বসতঘর থেকে তার কন্যা ও তালতলী সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রুমার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।

এ সময় পুলিশ একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে। ওই ঘটনার পর থেকে প্রেমিক কাইয়ুম পলাতক রয়েছে।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তালতলী সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রুমা একই গ্রামের হাফিজুর রহমান হাওলাদারের পুত্র কাইয়ুমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক করে আসছিল। বিষয়টি উভয় পরিবার জানতে পেরে ওই সম্পর্ক ভেঙে দিতে উভয়কে চাপ দেয়। কিন্তু ওই সম্পর্ক না ভাঙতে এবং ওই ছেলেকে বিয়ে করতে অনড় থাকে রুমা।

এদিকে রুমাকে বিয়ে দিতে পরিবারের লোকজন উঠেপড়ে লাগে। শনিবার বিকেলে রুমার জন্য পাত্র দেখতে যাওয়ার কথা ছিল। পরিবারের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি রুমা। ওই দিন সকালে প্রাইভেট পড়া শেষে সে বাড়িতে ফিরে এসে বাবা-মায়ের সঙ্গে ভাত খায়। কিছুক্ষণ পর রুমার বাবা-মা মাঠে ধান শুকানোর কাজে যায়। ওই সুযোগে সুইসাইড নোট লিখে রুমা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বসতঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দেয়। বাবা-মা মাঠ থেকে ফিরে এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে মেয়েকে ডাকাডাকি করতে থাকে। কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তখন তারা বসতঘরের দোতলায় রুমাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ ও একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ওই দিন বিকেলে পুলিশ তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

সুইসাইড নোটে ওই শিক্ষার্থী উল্লেখ করেছে, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। বাবা-মা তোমরা আমাকে ক্ষমা করে দিয়ো। আমি কাইয়ুমকে ভালোবাসি, আমাদের প্রেম খাঁটি ছিল। শুধু একদিন বাজার থেকে গাড়িতে করে বাড়িতে আসার পথে আমি কাইয়ুমের হাত ধরেছি। এ ছাড়া আমাদের ভেতরে আর কোনো সম্পর্ক হয়নি। ভালো থেকো বাবা, আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।

স্থানীয়রা জানায়, কলেজশিক্ষার্থী রুমা একই গ্রামের কাইয়ুম নামের একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে আসছিল। ওই সম্পর্ক উভয় পরিবার মেনে নেয়নি। রুমার পরিবার অন্য একটি ছেলের সঙ্গে রুমাকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে অভিমান করে রুমা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

নিহত রুমার বাবা আলাউদ্দিন মোল্লা বলেন, আমার মেয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। কেন করেছে তা আমি জানি না?

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু মুঠোফোনে বলেন, প্রেমের সম্পর্কের কারণে রুমা নামের এক কলেজশিক্ষার্থী ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মৃত্যুর আগে ওই মেয়ের লেখা একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। ওই নোটে মৃত্যুর কারণ লিখে গেছে।

সূত্র: দৈনিক কালেরকন্ঠ

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

মাধবপুরে আগুনে পুড়ে ছাই হলো মিলনের বেঁচে থাকার অবলম্বন

আমি কাইয়ুমকে ভালোবাসি, আমাদের প্রেম খাঁটি ছিল-সুইসাইড নোট লিখে রুমা

আপডেট সময় ১১:০৪:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বরগুনা প্রতিনিধি:

আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। বাবা ও মা তোমরা আমাকে ক্ষমা করে দিয়ো। আমি কাইয়ুমকে ভালোবাসি, আমাদের প্রেম খাঁটি ছিল- এমন সুইসাইড নোট লিখে রুমা (১৬) নামের দ্বাদশ শ্রেণির এক কলেজশিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।

গতকাল শনিবার দুপুর ১টার দিকে তালতলী থানা পুলিশ উপজেলার শিকারীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন মোল্লার বসতঘর থেকে তার কন্যা ও তালতলী সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রুমার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।

এ সময় পুলিশ একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে। ওই ঘটনার পর থেকে প্রেমিক কাইয়ুম পলাতক রয়েছে।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তালতলী সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রুমা একই গ্রামের হাফিজুর রহমান হাওলাদারের পুত্র কাইয়ুমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক করে আসছিল। বিষয়টি উভয় পরিবার জানতে পেরে ওই সম্পর্ক ভেঙে দিতে উভয়কে চাপ দেয়। কিন্তু ওই সম্পর্ক না ভাঙতে এবং ওই ছেলেকে বিয়ে করতে অনড় থাকে রুমা।

এদিকে রুমাকে বিয়ে দিতে পরিবারের লোকজন উঠেপড়ে লাগে। শনিবার বিকেলে রুমার জন্য পাত্র দেখতে যাওয়ার কথা ছিল। পরিবারের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি রুমা। ওই দিন সকালে প্রাইভেট পড়া শেষে সে বাড়িতে ফিরে এসে বাবা-মায়ের সঙ্গে ভাত খায়। কিছুক্ষণ পর রুমার বাবা-মা মাঠে ধান শুকানোর কাজে যায়। ওই সুযোগে সুইসাইড নোট লিখে রুমা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বসতঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দেয়। বাবা-মা মাঠ থেকে ফিরে এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে মেয়েকে ডাকাডাকি করতে থাকে। কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তখন তারা বসতঘরের দোতলায় রুমাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ ও একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ওই দিন বিকেলে পুলিশ তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

সুইসাইড নোটে ওই শিক্ষার্থী উল্লেখ করেছে, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। বাবা-মা তোমরা আমাকে ক্ষমা করে দিয়ো। আমি কাইয়ুমকে ভালোবাসি, আমাদের প্রেম খাঁটি ছিল। শুধু একদিন বাজার থেকে গাড়িতে করে বাড়িতে আসার পথে আমি কাইয়ুমের হাত ধরেছি। এ ছাড়া আমাদের ভেতরে আর কোনো সম্পর্ক হয়নি। ভালো থেকো বাবা, আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।

স্থানীয়রা জানায়, কলেজশিক্ষার্থী রুমা একই গ্রামের কাইয়ুম নামের একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে আসছিল। ওই সম্পর্ক উভয় পরিবার মেনে নেয়নি। রুমার পরিবার অন্য একটি ছেলের সঙ্গে রুমাকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে অভিমান করে রুমা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

নিহত রুমার বাবা আলাউদ্দিন মোল্লা বলেন, আমার মেয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। কেন করেছে তা আমি জানি না?

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু মুঠোফোনে বলেন, প্রেমের সম্পর্কের কারণে রুমা নামের এক কলেজশিক্ষার্থী ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মৃত্যুর আগে ওই মেয়ের লেখা একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। ওই নোটে মৃত্যুর কারণ লিখে গেছে।

সূত্র: দৈনিক কালেরকন্ঠ