জাফলংয়ে পর্যটকদের পেটানোর অভিযোগে ৫জন স্বেচ্ছাসেবক গ্রেফতার করা হয়েছে। সিলেটের গোয়াইনঘাটের পর্যটন এলাকা জাফলংয়ে পর্যটকদের উপর হামলা চালিয়েছেন উপজেলা প্রশাসনের নিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবকরা। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৫ মে) দুপুর ২টার দিকে জাফলং পর্যটন এলাকার টিকেট কাউন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। টিকিট কাটা নিয়ে কথা কাটাকাটি থেকে এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। ঘটনার সময়কার বেশ কিছু ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এরকম একটি ভিডিওতে দেখা যায়, স্বেচ্ছাসেবক লেখা নীল ইউনিফর্ম পরা ৩ জন ব্যক্তি হাতে লাঠি নিয়ে একদল পর্যটককে বেধড়ক পেটাচ্ছেন। এ সময় ওই দলে থাকা কিছু নারী পর্যটক তাদেরকে থামাতে গিয়ে লাঞ্চিত হন। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে লাঠি নিয়ে শিশু, নারী ও পুরুষ পর্যটকদের উপর হামলা চালান স্বেচ্ছাসেবকরা।জানা যায়, উপজেলা প্রশাসনের টোল কাউন্টার থেকে টিকেট কেনাকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের উপর এই অতর্কিত হামলা চালিয়েছেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা গেছে, সিলেট থেকে একটি পরিবার জাফলংয়ে বেড়াতে যান। টিকেট কেনাকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের সাথে কাউন্টারের লোকেদের বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে শিশু, নারী ও পুরুষসহ কমপক্ষে ৬ পর্যটকের উপর হামলা চালান কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক। পরে স্থানীয় ও অন্যান্য পর্যটকরা এগিয়ে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে দিয়ে পর্যটকদের উদ্ধার করেন।
হামলার কথা স্বীকার করে গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাহমিলুর রহমান বলেন, ‘পর্যটকদের ওই দলটি টিকিট ছাড়াই জাফলং এলাকায় ঢুকতে চাইলে টিকিট কাউন্টারের এখানে থাকা স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকরা পর্যটকদের উপর হামলা চালায়।’ এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এতে আমাদের পর্যটনের অনেক ক্ষতি হলো। যেহেতু হামলাকারীরা আমাদের নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক, তাই আমি দায় নিচ্ছি। ইতিমধ্যেই ৩ জন স্বেচ্ছাসেবককে বরখাস্ত করেছি এবং স্থানীয় পুলিশকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা হামলাকারী স্বেচ্ছাসেবকদের চিহ্নিত করে দুজনকে আটক করেছি। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।’ টুরিস্ট পুলিশের জাফলং ইনচার্জ মো. রতন শেখ বলেন, ‘ঘটনা জানার পরপরই আমাদের একটা টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছে। জাফলংয়ে পানিতে পড়ে একজন পর্যটক নিখোঁজ হয়েছেন, এমন সংবাদে আমরা অন্যদিকে ব্যস্ত থাকার অবসরে এই ঘটনা ঘটেছে।