চুনারুঘাটের এক মেয়ে হিন্দু ধর্ম ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। রবিবার (১৭ এপ্রিল) হবিগঞ্জে নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
জানা যায়, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ঈশিতা রাণী ধরের বর্তমান নাম এখন মোছাঃ কুলসুমা আক্তার লাইজুু রাখা হয়।
হলফনামায় নাম পরিবর্তনের বিষয়টি উল্লেখ করে ধর্মান্তরিত বর্তমান কুলসুমা বলে, ‘ঈশিতা রাণী ধর’ এর পরিবর্তে এখন থেকে কুলসুমা আক্তার লাইজু সংশোধন করে নেব এবং এ নামেই এখন থেকে সব জায়গায় পরিচিত হব।’
ঈশিতা হলফনামায় উল্লেখ করে, সে স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিষ্কে অন্যের বিনা প্ররোচণায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, ঈশিতা বলে ‘আমি মুসলমানদের আচার, ব্যবহার, ওয়াজ-নসিহত শুনিয়া মুগ্ধ হই এবং মনে মনে ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হই।
আমি জানতে পারি, ইসলাম ধর্মই শ্রেষ্ঠ ধর্ম। ইসলামের সকল নিয়ম-কানুন জেনে বুঝে এক মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন, তার পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন এবং তার প্রেরিত রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমি অনেক চিন্তা ভাবনা করে আমার পিতা মাতার সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি।
এদিকে, চুনারুঘাট উপজেলার ইসলামী জ্ঞানে অভিজ্ঞরা বলছেন ” বিষয়টি ইতিবাচক। তবে কুলসুমার ভরণ পোষণের দায়িত্বসহ সার্বিক কর্মসংস্থানের বিষয়টিও সমাজের মাথায় রাখা উচিত। তবে তার পরিবার ছাড়া মুসলিম অন্য কোন অভিবাবক থাকলে তাঁকে দায়িত্ব নেওয়া উচিত৷