হবিগঞ্জ ০৯:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মাধবপুরে আগুনে পুড়ে ছাই হলো মিলনের বেঁচে থাকার অবলম্বন Logo চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাচনে ১৭ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র দাখিল Logo সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন Logo বিদ্যুৎপৃষ্ঠে নিহতের পরিবারের পাশে ব্যারিস্টার সুমন-এমপি Logo টেকনাফের ব্যাবসায়ী ৫শ’ পিছ ইয়াবাসহ চুনারুঘাটে গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাটে তীব্র দাবদাহে সুপেয় পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ Logo শেখ হাসিনার আধুনিক চিন্তা ধারায় বদলে গেল কৃষিখাত, ব্যারিস্টার সুমন Logo কথায় কথায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক তাদের কাম কি? মানুষের টাকা মেরে দেয়া, ব্যারিস্টার সুমন Logo বাহুবলে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন, জরিমানা ৫০ হাজার টাকা Logo বাহুবলে রাতের আধারে প্রবাসীর ১৮ টি ফসলি গাছ কর্তন, লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি

বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে উল্লুক

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:৩৪:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ মার্চ ২০২২
  • ১৭৬ বার পড়া হয়েছে

এক সময় বিভিন্ন অনেক উল্লুক ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশের বনগুলোতে থাকা উল্লুক এখন বিপন্ন প্রজাতি হিসেবে অনেকটা বিলুপ্তির ঝুঁকিতে পড়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি বাংলা।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক একটি গবেষণার কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, চার দশক আগেও বাংলাদেশের বনে বসবাসকারী উল্লুকের সংখ্যা ছিল প্রায় তিন হাজার। কিন্তু সেখান থেকে এখন সেটি মাত্র কয়েকশোতে এসে ঠেকেছে।

বিশ্বজুড়েই এই প্রাণীটি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থা আইইউসিএনের বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা প্রাণীদের লাল তালিকায়ও রয়েছে এই প্রাণীটি।

এই বিষয়ে সাম্প্রতিক একটি গবেষণার প্রধান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক হাবিবুন নাহার বিবিসি বাংলাকে বলছেন, দেশের ২২টি বনাঞ্চলে নিবিড় গবেষণা করে আমরা ওয়েস্টার্ন হোলক গিবন বা পশ্চিমা উল্লুক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়েছি। তাতে দেখা গেছে, সরকারিভাবে সুরক্ষিত বনাঞ্চলগুলোয় এই প্রাণীটি সবচেয়ে ভালো অবস্থায় রয়েছে। আবার আগে কয়েকটি বনাঞ্চলে প্রাণীটি আগে দেখা গেলেও সুরক্ষার অভাবে সেখান থেকে হারিয়ে গেছে।

২০১৯ সালের মার্চ মাস থেকে শুরু করে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের ২২টি বনে গবেষণা করে ৪৬৮টি উল্লুকের দেখা পেয়েছেন গবেষকরা। সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে মৌলভীবাজারের রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে।

হাবিবুন নাহার আরও বলেছেন, পরিবেশের ভারসাম্যের জন্য এই প্রাণীটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এরা ফলের বীজ বনাঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করে। যার মাধ্যমে অরণ্যের বিস্তারে সহায়তা হয়।

সর্বশেষ এ গবেষণায় সিলেট ও চট্টগ্রাম এলাকার ২০৪ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ২২টি বনাঞ্চলের ওপর জরিপ করা হয়। সেখানে কিছু কিছু বন থেকে উল্লুক হারিয়ে গেছে বলে দেখা গেছে। আবার মৌলভীবাজারের রাজকান্দি, পাথারিয়া ও লাউয়াছড়া বনাঞ্চলে অনেক উল্লুক বাস করতে দেখা গেছে।

বনাঞ্চলে বড় বড় গাছ কেটে ফেলা, খাদ্য সংকট, অবৈধভাবে উল্লুক শিকারের কারণে বনগুলো থেকে এই প্রাণীর সংখ্যা কমছে বলে মনে করছেন হাবিবুন নাহার।

বানর প্রজাতির লেজবিহীন প্রাণীগুলোকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘এপ।’ গরিলা, ওরাং-ওটাং- এসব প্রাণীও ‘এপ’-এর অন্তর্ভুক্ত এবং উল্লুক হচ্ছে সবচেয়ে ছোট জাতের ‘এপ।’

বানরের সঙ্গে উল্লুকের বড় পার্থক্য হলো, এই প্রাণীটির যার লেজ নেই। পুরুষ উল্লুক কালো আর স্ত্রী উল্লুক ধুসর লোমের হয়ে থাকে

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

মাধবপুরে আগুনে পুড়ে ছাই হলো মিলনের বেঁচে থাকার অবলম্বন

বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে উল্লুক

আপডেট সময় ১২:৩৪:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ মার্চ ২০২২

এক সময় বিভিন্ন অনেক উল্লুক ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশের বনগুলোতে থাকা উল্লুক এখন বিপন্ন প্রজাতি হিসেবে অনেকটা বিলুপ্তির ঝুঁকিতে পড়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি বাংলা।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক একটি গবেষণার কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, চার দশক আগেও বাংলাদেশের বনে বসবাসকারী উল্লুকের সংখ্যা ছিল প্রায় তিন হাজার। কিন্তু সেখান থেকে এখন সেটি মাত্র কয়েকশোতে এসে ঠেকেছে।

বিশ্বজুড়েই এই প্রাণীটি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থা আইইউসিএনের বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা প্রাণীদের লাল তালিকায়ও রয়েছে এই প্রাণীটি।

এই বিষয়ে সাম্প্রতিক একটি গবেষণার প্রধান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক হাবিবুন নাহার বিবিসি বাংলাকে বলছেন, দেশের ২২টি বনাঞ্চলে নিবিড় গবেষণা করে আমরা ওয়েস্টার্ন হোলক গিবন বা পশ্চিমা উল্লুক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়েছি। তাতে দেখা গেছে, সরকারিভাবে সুরক্ষিত বনাঞ্চলগুলোয় এই প্রাণীটি সবচেয়ে ভালো অবস্থায় রয়েছে। আবার আগে কয়েকটি বনাঞ্চলে প্রাণীটি আগে দেখা গেলেও সুরক্ষার অভাবে সেখান থেকে হারিয়ে গেছে।

২০১৯ সালের মার্চ মাস থেকে শুরু করে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের ২২টি বনে গবেষণা করে ৪৬৮টি উল্লুকের দেখা পেয়েছেন গবেষকরা। সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে মৌলভীবাজারের রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে।

হাবিবুন নাহার আরও বলেছেন, পরিবেশের ভারসাম্যের জন্য এই প্রাণীটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এরা ফলের বীজ বনাঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করে। যার মাধ্যমে অরণ্যের বিস্তারে সহায়তা হয়।

সর্বশেষ এ গবেষণায় সিলেট ও চট্টগ্রাম এলাকার ২০৪ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ২২টি বনাঞ্চলের ওপর জরিপ করা হয়। সেখানে কিছু কিছু বন থেকে উল্লুক হারিয়ে গেছে বলে দেখা গেছে। আবার মৌলভীবাজারের রাজকান্দি, পাথারিয়া ও লাউয়াছড়া বনাঞ্চলে অনেক উল্লুক বাস করতে দেখা গেছে।

বনাঞ্চলে বড় বড় গাছ কেটে ফেলা, খাদ্য সংকট, অবৈধভাবে উল্লুক শিকারের কারণে বনগুলো থেকে এই প্রাণীর সংখ্যা কমছে বলে মনে করছেন হাবিবুন নাহার।

বানর প্রজাতির লেজবিহীন প্রাণীগুলোকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘এপ।’ গরিলা, ওরাং-ওটাং- এসব প্রাণীও ‘এপ’-এর অন্তর্ভুক্ত এবং উল্লুক হচ্ছে সবচেয়ে ছোট জাতের ‘এপ।’

বানরের সঙ্গে উল্লুকের বড় পার্থক্য হলো, এই প্রাণীটির যার লেজ নেই। পুরুষ উল্লুক কালো আর স্ত্রী উল্লুক ধুসর লোমের হয়ে থাকে