হবিগঞ্জ ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নির্মাণ শেষের আগেই ২ বার ধসে পড়লো মডেল মসজিদের ছাদ Logo চুনারুঘাটে চুরি হওয়া কাঠ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ Logo জেলার শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী অফিসার এসআই রিপটন Logo জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নুর আলম Logo এডভোকেট নজরুল ইসলাম চুনারুঘাট উপজেলার শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচিত Logo চুনারুঘাটে জমি-জমা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১: গ্রেপ্তার ২ Logo চুনারুঘাটে সেপ্টেম্বরে ১ লাখ শিশু-কিশোরকে টাইফয়েড ভ্যাকসিন প্রদানের সিদ্ধান্ত Logo সাংবাদিক তুহিনকে হত্যার প্রতিবাদে চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের মানববন্ধন Logo চুনারুঘাটে ট্রাক শ্রমিকের উপর হামলার ঘটনায় জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিবাদ সভা Logo চুনারুঘাটে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবসে অভিজ্ঞতা সনদ ও চেক বিতরণ

চুনারুঘাটে ক্ষিরা চাষ করে লাভবান ইউপি উদ্যোক্তা আতাউল হক ইমরান

খরচ কম লাভ বেশীর মধ্যে অন্যতম হলো রবি ফসলের ক্ষিরা চাষ। এ বছর প্রকৃতি অনুকূলে থাকায় চুনারুঘাটে ক্ষিরা চাষ করে কৃষক লাভবান হয়েছেন। চুনারুঘাট উপজেলায় কৃষকরা ক্ষিরা চাষ কম করেন অন্যান্য রবি ফসলের তুলনায়। এ বছর পবিত্র মাহে রমজান মাসে চুনারুঘাটে যখন শশার কেজি ৫০/৬০ টাকা তখন ক্ষিরার কেজি ৩০/৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের ইউপি উদ্যোক্তা আতাউল হক ইমরান অফিস কাজের পাশাাপাশি ২০ শতাংশ জমিতে ক্ষিরা প্রদর্শনী করেন। মঙ্গলবার প্রদর্শনী সরেজমিনে পর্যবেক্ষনে গিয়ে কথা হয় আতাউল হক ইমরানের সাথে।

তিনি বলেন আমি বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করি তবে ক্ষিরা চাষে খরচ কম এবং লাভ বেশী বলে আমি মনে করি। ক্ষিরা বীজ বপনের পর তেমন বেশী পরিচর্চা করতে হয় না। রোগ বালাই ও অন্যান্য ফসল থেকে কম। মাঝে মধ্যে কীট নাশক ব্যবহার করলেই হয়। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মাহিদুল ইসলাম জানান এ বছর ক্ষিরা চাষ কম হয়েছে। যারা করেছেন প্রত্যেকের ফলন ভাল হয়েছে। বেশী দামের শশা কেনা থেকে সাধারন ক্রেতা ক্ষিরা দিয়ে চাহিদা পূরন করতে পারছেন। ইমরান বলেন আমার কাছ থেকে পাইকাররা প্রতি কেজি ১৮/২০ টাকায় কিনে স্হানীয় বাজারে বিক্রি করছেন ৪০ টাকায়।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কৃষক মিজানুর রহমান বলেন উৎপাদনকারীর চেয়ে পাইকাররা লাভবান বেশী এ বিষয়টা আসলেই দুঃখ জনক। মাথার ঘাম পায় ফেলে হাজার হাজার টকা খরচ করে ফসল চাষাবাদ করে যে টাকা পাই তার সমপরিমাণ এর চেয়ে বেশী লাভ করেন দালাল পাইকাররা। এখানে কৃষক ও ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্হ হলে ও আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন পাইকারা। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে বাজার পরিচালনা কমিটি উপজেলা ভোক্তা অধিকার পরিচালনাকারীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী কৃষক ক্রেতাগন। এর সঠিক ব্যবস্হা গ্রহন করতে পারলে কৃষকদের যেমন সবজি চাষে আগ্রহ বাড়বে তেমনি সাধারণ ক্রেতা স্বল্প মূল্যে সবজি ক্রয় করতে পারবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্মাণ শেষের আগেই ২ বার ধসে পড়লো মডেল মসজিদের ছাদ

চুনারুঘাটে ক্ষিরা চাষ করে লাভবান ইউপি উদ্যোক্তা আতাউল হক ইমরান

আপডেট সময় ০২:৫৫:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

খরচ কম লাভ বেশীর মধ্যে অন্যতম হলো রবি ফসলের ক্ষিরা চাষ। এ বছর প্রকৃতি অনুকূলে থাকায় চুনারুঘাটে ক্ষিরা চাষ করে কৃষক লাভবান হয়েছেন। চুনারুঘাট উপজেলায় কৃষকরা ক্ষিরা চাষ কম করেন অন্যান্য রবি ফসলের তুলনায়। এ বছর পবিত্র মাহে রমজান মাসে চুনারুঘাটে যখন শশার কেজি ৫০/৬০ টাকা তখন ক্ষিরার কেজি ৩০/৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের ইউপি উদ্যোক্তা আতাউল হক ইমরান অফিস কাজের পাশাাপাশি ২০ শতাংশ জমিতে ক্ষিরা প্রদর্শনী করেন। মঙ্গলবার প্রদর্শনী সরেজমিনে পর্যবেক্ষনে গিয়ে কথা হয় আতাউল হক ইমরানের সাথে।

তিনি বলেন আমি বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করি তবে ক্ষিরা চাষে খরচ কম এবং লাভ বেশী বলে আমি মনে করি। ক্ষিরা বীজ বপনের পর তেমন বেশী পরিচর্চা করতে হয় না। রোগ বালাই ও অন্যান্য ফসল থেকে কম। মাঝে মধ্যে কীট নাশক ব্যবহার করলেই হয়। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মাহিদুল ইসলাম জানান এ বছর ক্ষিরা চাষ কম হয়েছে। যারা করেছেন প্রত্যেকের ফলন ভাল হয়েছে। বেশী দামের শশা কেনা থেকে সাধারন ক্রেতা ক্ষিরা দিয়ে চাহিদা পূরন করতে পারছেন। ইমরান বলেন আমার কাছ থেকে পাইকাররা প্রতি কেজি ১৮/২০ টাকায় কিনে স্হানীয় বাজারে বিক্রি করছেন ৪০ টাকায়।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কৃষক মিজানুর রহমান বলেন উৎপাদনকারীর চেয়ে পাইকাররা লাভবান বেশী এ বিষয়টা আসলেই দুঃখ জনক। মাথার ঘাম পায় ফেলে হাজার হাজার টকা খরচ করে ফসল চাষাবাদ করে যে টাকা পাই তার সমপরিমাণ এর চেয়ে বেশী লাভ করেন দালাল পাইকাররা। এখানে কৃষক ও ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্হ হলে ও আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন পাইকারা। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে বাজার পরিচালনা কমিটি উপজেলা ভোক্তা অধিকার পরিচালনাকারীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী কৃষক ক্রেতাগন। এর সঠিক ব্যবস্হা গ্রহন করতে পারলে কৃষকদের যেমন সবজি চাষে আগ্রহ বাড়বে তেমনি সাধারণ ক্রেতা স্বল্প মূল্যে সবজি ক্রয় করতে পারবে।