হবিগঞ্জ ০৫:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নির্মাণ শেষের আগেই ২ বার ধসে পড়লো মডেল মসজিদের ছাদ Logo চুনারুঘাটে চুরি হওয়া কাঠ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ Logo জেলার শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী অফিসার এসআই রিপটন Logo জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নুর আলম Logo এডভোকেট নজরুল ইসলাম চুনারুঘাট উপজেলার শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচিত Logo চুনারুঘাটে জমি-জমা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১: গ্রেপ্তার ২ Logo চুনারুঘাটে সেপ্টেম্বরে ১ লাখ শিশু-কিশোরকে টাইফয়েড ভ্যাকসিন প্রদানের সিদ্ধান্ত Logo সাংবাদিক তুহিনকে হত্যার প্রতিবাদে চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের মানববন্ধন Logo চুনারুঘাটে ট্রাক শ্রমিকের উপর হামলার ঘটনায় জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিবাদ সভা Logo চুনারুঘাটে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবসে অভিজ্ঞতা সনদ ও চেক বিতরণ

কসাই বাছিরের কাছে ছুরি-চাকু থাকে তাই ভয়ে আর মাংস আনতে যাই নি!

  • মোহাম্মদ সুমন
  • আপডেট সময় ১১:৫৫:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

চুনারুঘাটে গরুর মাংসের বাজারের দখল নিয়েছে একটি স্থানীয় সিন্ডিকেট। আড়ালে থেকেই বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে তারা। এনিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ ও অসন্তোষ। সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রশাসন কর্তৃক বেধে দেয়া নিয়মে মাংস বিক্রি হলেও চুনারুঘাটে কসাইরাই নির্ধারণ করেন মাংসের দাম। তাছাড়া এখানে নেই কোন মূল্যতালিকা।

ফলে ক্রেতাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে মাংস। বাড়তি দাম চুকিয়েও সঠিক পণ্য না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কসাইদের বিরুদ্ধে। মাংসের সাথে অতিরিক্ত হাড় এবং খাওয়ার অযোগ্য উচ্ছিষ্ট অংশ জোরপূর্বক এবং কৌশলে দিয়ে দেয়া হচ্ছে ক্রেতার ব্যাগে। এসব নিয়ে প্রতিবাদ করলেই কাস্টমারদের সাথে করা হচ্ছে দুর্ব্যবহার, নানাভাবে দেয়া হচ্ছে হুমকি। ক্রেতাদের দমিয়ে রাখতে কসাইদের সাথে এসে যোগ দেয় চারপাশে থাকা গরুর মাংসের বাজার থেকে নিয়মিত বখরা খাওয়া দালালরা। বাজার মনিটরিংয়ে থাকা চুনারুঘাট পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধেও মাংসের বাজার থেকে নিয়মিত বখরা খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ক্রেতাদের পক্ষ থেকে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, চুনারুঘাট পৌরসভায় মাংস বিক্রির লাইসেন্স রয়েছে প্রায় ১৩টি। এসব লাইসেন্সধারীরা নিয়মিত ব্যবসায়ী না হওয়া সত্ত্বেও লাইসেন্সের বলে কসাইদের সাথে আতাত করে নিয়মিত বখরা আদায় করে নিচ্ছে । ফলে মাংসে যোগ হচ্ছে অতিরিক্ত খরচ। আর এসব বাড়তি খরচের বোঝা গিয়ে পড়ছে সরাসরি ক্রেতাদের উপর।

চুনারুঘাটের নয়ানী গ্রামের বাসিন্দা মোতাব্বির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, কয়েকদিন আগে কসাই বাছিরের দোকান থেকে আমি এক কেজি মাংস ক্রয় করি, বাসায় গিয়ে দেখি কৌশলে তারা খাওয়ার অযোগ্য উচ্ছিষ্ট অংশ দিয়ে দিয়েছে। ফিরে এসে অভিযোগ করলে ক্রয়কৃত মাংস রেখে নতুন করে মাংস দেওয়ার কথা বলে আমাকে দিনের পর দিন ঘুরাতে থাকে। এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করতে গেলে কসাই বাছির এবং তার সহযোগীরা আমাকে বিভিন্নভাবে গালিগালাজ এবং প্রাণে হত্যার হুমকি দেয়। তাদের কাছে ছুরি-চাকু থাকাতে আমি আর ভয়ে মাংস আনতে যাই নি।

তিন বছর আগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে চুনারুঘাটের গরুর মাংসের বাজারের অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে সবকটি লাইসেন্স নবায়ন বন্ধ রাখে চুনারুঘাট পৌর কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি আবারো এই অসাধু চক্রটি লাইসেন্স পেতে দৌরঝাপ শুরু করে দিয়েছে। স্থানীয়দের দাবী, এসব স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের কবল থেকে মাংসের বাজার রক্ষা করতে হলে লাইসেন্স নবায়নে পৌর প্রশাসনকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে যাচাই-বাছাই করে লাইসেন্স দিতে হবে।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ রবিন বলেন, আমরা মাংস ব্যবসায়ীদের সাথে বসেছি। কিছু শর্ত ও নিয়মাবলী বেধে দেয়াসহ যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স দেয়া হবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্মাণ শেষের আগেই ২ বার ধসে পড়লো মডেল মসজিদের ছাদ

কসাই বাছিরের কাছে ছুরি-চাকু থাকে তাই ভয়ে আর মাংস আনতে যাই নি!

আপডেট সময় ১১:৫৫:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

চুনারুঘাটে গরুর মাংসের বাজারের দখল নিয়েছে একটি স্থানীয় সিন্ডিকেট। আড়ালে থেকেই বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে তারা। এনিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ ও অসন্তোষ। সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রশাসন কর্তৃক বেধে দেয়া নিয়মে মাংস বিক্রি হলেও চুনারুঘাটে কসাইরাই নির্ধারণ করেন মাংসের দাম। তাছাড়া এখানে নেই কোন মূল্যতালিকা।

ফলে ক্রেতাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে মাংস। বাড়তি দাম চুকিয়েও সঠিক পণ্য না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কসাইদের বিরুদ্ধে। মাংসের সাথে অতিরিক্ত হাড় এবং খাওয়ার অযোগ্য উচ্ছিষ্ট অংশ জোরপূর্বক এবং কৌশলে দিয়ে দেয়া হচ্ছে ক্রেতার ব্যাগে। এসব নিয়ে প্রতিবাদ করলেই কাস্টমারদের সাথে করা হচ্ছে দুর্ব্যবহার, নানাভাবে দেয়া হচ্ছে হুমকি। ক্রেতাদের দমিয়ে রাখতে কসাইদের সাথে এসে যোগ দেয় চারপাশে থাকা গরুর মাংসের বাজার থেকে নিয়মিত বখরা খাওয়া দালালরা। বাজার মনিটরিংয়ে থাকা চুনারুঘাট পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধেও মাংসের বাজার থেকে নিয়মিত বখরা খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ক্রেতাদের পক্ষ থেকে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, চুনারুঘাট পৌরসভায় মাংস বিক্রির লাইসেন্স রয়েছে প্রায় ১৩টি। এসব লাইসেন্সধারীরা নিয়মিত ব্যবসায়ী না হওয়া সত্ত্বেও লাইসেন্সের বলে কসাইদের সাথে আতাত করে নিয়মিত বখরা আদায় করে নিচ্ছে । ফলে মাংসে যোগ হচ্ছে অতিরিক্ত খরচ। আর এসব বাড়তি খরচের বোঝা গিয়ে পড়ছে সরাসরি ক্রেতাদের উপর।

চুনারুঘাটের নয়ানী গ্রামের বাসিন্দা মোতাব্বির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, কয়েকদিন আগে কসাই বাছিরের দোকান থেকে আমি এক কেজি মাংস ক্রয় করি, বাসায় গিয়ে দেখি কৌশলে তারা খাওয়ার অযোগ্য উচ্ছিষ্ট অংশ দিয়ে দিয়েছে। ফিরে এসে অভিযোগ করলে ক্রয়কৃত মাংস রেখে নতুন করে মাংস দেওয়ার কথা বলে আমাকে দিনের পর দিন ঘুরাতে থাকে। এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করতে গেলে কসাই বাছির এবং তার সহযোগীরা আমাকে বিভিন্নভাবে গালিগালাজ এবং প্রাণে হত্যার হুমকি দেয়। তাদের কাছে ছুরি-চাকু থাকাতে আমি আর ভয়ে মাংস আনতে যাই নি।

তিন বছর আগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে চুনারুঘাটের গরুর মাংসের বাজারের অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে সবকটি লাইসেন্স নবায়ন বন্ধ রাখে চুনারুঘাট পৌর কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি আবারো এই অসাধু চক্রটি লাইসেন্স পেতে দৌরঝাপ শুরু করে দিয়েছে। স্থানীয়দের দাবী, এসব স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের কবল থেকে মাংসের বাজার রক্ষা করতে হলে লাইসেন্স নবায়নে পৌর প্রশাসনকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে যাচাই-বাছাই করে লাইসেন্স দিতে হবে।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ রবিন বলেন, আমরা মাংস ব্যবসায়ীদের সাথে বসেছি। কিছু শর্ত ও নিয়মাবলী বেধে দেয়াসহ যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স দেয়া হবে।