হবিগঞ্জ ১০:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সহকারি অধ্যাপক ডাঃ হিরন্ময় দাশ লন্ডন থেকে এম,আর,সি,পি ডিগ্রি অর্জন Logo বাহুবলে গাজাবাসীর উপর ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে মিরপুর ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল Logo বাহুবলে গাজাবাসীদের উপর ইসরায়েলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo গরিব কেন সারাজীবন গরিব থাকে? জীবন বদলে যাওয়া ঘটনা Logo মসজিদুল আকসার ইতিহাস: মুসলমানদের প্রথম কিবলা Logo চুনারুঘাটে ফিতরার টাকা দেয়ার কথা বলে মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণী ছাত্রীকে ধর্ষণ Logo দেশে ৯০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ, যাচাই-বাছাই চলছে Logo বাহুবলে পুলিশ ফাঁড়ির নিকটে ডাকাতির কবলে পড়েন চুনারুঘাটের এক ব্যবসায়ীসহ শতাধিক মানুষ Logo ঈদ ফিরতি যাত্রা নিরাপদ করতে হবিগঞ্জে ভিজিলেন্স টিমের অভিযান Logo চুনারুঘাটে ইজারা বহিঃর্ভূত স্থানে বালু উত্তোলন: মেশিন, পাইপ ও বালুবাহী ট্রাক আটক

বানিয়াচং সড়কে ডাকাতের কবলে পড়লেন ইসলামি বক্তা: টাকা লুট ও গাড়ি ভাংচুর

বানিয়াচং এলাকায় ডাকাতদের হামলার শিকার হয়েছেন তরুণ ইসলামী বক্তা মুফতি আবিদ আল আহসান। এসময় তাঁর গাড়িচালক ও সফরসঙ্গীরাও আহত হন। ডাকাতরা তাঁদের ওপর হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা লুট করে নেয়। এ সময় বক্তাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হয়।

গত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে শিবপাশা ও বানিয়াচং এলাকার মাঝামাঝি আঞ্জন স্থানে এ ঘটনা ঘটে। তবে তবে এ ঘটনায় বানিয়াচং থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন মুফতি আবিদ আল আহসান।

এ ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে মুফতি আবিদ আল আহসান বলেন,“গতকাল আমার মাহফিল ছিল ইমামনগর, বৈরাটি, মিঠামইন, কিশোরগঞ্জ। এই এলাকায় যেতে হলে আজমিরীগঞ্জ দিয়ে যেতে হয়। মাহফিল শেষে ফেরার পথে আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে হঠাৎ রাস্তা ব্লকেড দেখতে পাই।

কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রায় ১০-১৫ জন ডাকাত লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার গাড়ি ঘিরে ফেলে এবং পেছনের গ্লাস ভেঙে ফেলে। এরপর আমার ড্রাইভারকে মারধর করে, সফরসঙ্গীদের মোবাইল ফোন ও টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয়। আরও টাকা আছে কি না জানতে চেয়ে তারা প্রথমে আমাকে বাঁশ দিয়ে আঘাত করে, এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে।”

তিনি আরও বলেন, “আমার শরীর থেকে রক্ত ঝরতে দেখে ডাকাতদল দ্রুত সরে পড়ে। এরপর আমরা পার্শ্ববর্তী এক নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিই। এরপর গাড়ি ঘুরিয়ে আবার আজমিরীগঞ্জ হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করি। পরবর্তী ফজর পর্যন্ত অপেক্ষা করে ফজরের পর বানিয়াচং থানায় গিয়ে জিডি করতে চাইলে পুলিশ নেয়নি।”

যদিও বিষয়টি অস্বীকার করে বানিয়াচং থানার (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, ভুক্তভোগী বক্তা কিছুক্ষণ আগে কল করেছেন, আমরা এই বিষয়ে তদন্ত করছি। সন্ধ্যায় একই বিষয়ে মিটিংও ডাকা হয়েছে। ফজরের পর কেন জিডি নেয়া হলোনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ ২৪ ঘন্টাই সেবা দেয়ায় নিয়োজিত থাকেন। যেকোনো সময় মামলা, অভিযোগ ও জিডি আমরা গ্রহণ করি। ফজরের পর কারা দায়িত্বে ছিলেন আমি খোঁজ নিচ্ছি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সহকারি অধ্যাপক ডাঃ হিরন্ময় দাশ লন্ডন থেকে এম,আর,সি,পি ডিগ্রি অর্জন

বানিয়াচং সড়কে ডাকাতের কবলে পড়লেন ইসলামি বক্তা: টাকা লুট ও গাড়ি ভাংচুর

আপডেট সময় ১০:১০:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বানিয়াচং এলাকায় ডাকাতদের হামলার শিকার হয়েছেন তরুণ ইসলামী বক্তা মুফতি আবিদ আল আহসান। এসময় তাঁর গাড়িচালক ও সফরসঙ্গীরাও আহত হন। ডাকাতরা তাঁদের ওপর হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা লুট করে নেয়। এ সময় বক্তাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হয়।

গত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে শিবপাশা ও বানিয়াচং এলাকার মাঝামাঝি আঞ্জন স্থানে এ ঘটনা ঘটে। তবে তবে এ ঘটনায় বানিয়াচং থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন মুফতি আবিদ আল আহসান।

এ ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে মুফতি আবিদ আল আহসান বলেন,“গতকাল আমার মাহফিল ছিল ইমামনগর, বৈরাটি, মিঠামইন, কিশোরগঞ্জ। এই এলাকায় যেতে হলে আজমিরীগঞ্জ দিয়ে যেতে হয়। মাহফিল শেষে ফেরার পথে আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে হঠাৎ রাস্তা ব্লকেড দেখতে পাই।

কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রায় ১০-১৫ জন ডাকাত লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার গাড়ি ঘিরে ফেলে এবং পেছনের গ্লাস ভেঙে ফেলে। এরপর আমার ড্রাইভারকে মারধর করে, সফরসঙ্গীদের মোবাইল ফোন ও টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয়। আরও টাকা আছে কি না জানতে চেয়ে তারা প্রথমে আমাকে বাঁশ দিয়ে আঘাত করে, এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে।”

তিনি আরও বলেন, “আমার শরীর থেকে রক্ত ঝরতে দেখে ডাকাতদল দ্রুত সরে পড়ে। এরপর আমরা পার্শ্ববর্তী এক নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিই। এরপর গাড়ি ঘুরিয়ে আবার আজমিরীগঞ্জ হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করি। পরবর্তী ফজর পর্যন্ত অপেক্ষা করে ফজরের পর বানিয়াচং থানায় গিয়ে জিডি করতে চাইলে পুলিশ নেয়নি।”

যদিও বিষয়টি অস্বীকার করে বানিয়াচং থানার (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, ভুক্তভোগী বক্তা কিছুক্ষণ আগে কল করেছেন, আমরা এই বিষয়ে তদন্ত করছি। সন্ধ্যায় একই বিষয়ে মিটিংও ডাকা হয়েছে। ফজরের পর কেন জিডি নেয়া হলোনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ ২৪ ঘন্টাই সেবা দেয়ায় নিয়োজিত থাকেন। যেকোনো সময় মামলা, অভিযোগ ও জিডি আমরা গ্রহণ করি। ফজরের পর কারা দায়িত্বে ছিলেন আমি খোঁজ নিচ্ছি।