হবিগঞ্জ ১২:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চুনারুঘাটে পানিতে ডুবে ভাইবোনের এক সাথে মৃত্যু Logo চুনারুঘাটে তহশিলদার মইনুল ইসলামে সততার ঈর্ষান্বিত হয়ে সংবাদ প্রকাশ Logo চুনারুঘাটে ফের ২২ বাংলাদেশীকে পুশইন করেছে বিএসএফ Logo মাধবপুরে ৪টি লাইসেন্স বিহীন করাতকল উচ্ছেদ অভিযান” Logo চুনারুঘাটের কালেঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের পুশ-ইন: নারী শিশুসহ ১৯ বাংলাদেশী Logo মাধবপুরে রমীজ খাঁন আলিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষার মান ও মাদ্রাসার উন্নয়নে আলোচনা ‎ Logo চুনারুঘাটে খেলাফত মজলিসের কর্মী ও সুধী সমাবেশ Logo মাধবপুরের হাট বাজারে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার, আইন থাকলেও প্রয়োগ নেই Logo মাধবপুরে ৪৭টি অবৈধ স’মিল, বৈধ মাত্র ১১টি, হুমকিতে বন ও পরিবেশ Logo হবিগঞ্জে নিউ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যৌথ অভিযানে মালিক ও কর্মচারীর কারাদণ্ড

বানিয়াচং সড়কে ডাকাতের কবলে পড়লেন ইসলামি বক্তা: টাকা লুট ও গাড়ি ভাংচুর

বানিয়াচং এলাকায় ডাকাতদের হামলার শিকার হয়েছেন তরুণ ইসলামী বক্তা মুফতি আবিদ আল আহসান। এসময় তাঁর গাড়িচালক ও সফরসঙ্গীরাও আহত হন। ডাকাতরা তাঁদের ওপর হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা লুট করে নেয়। এ সময় বক্তাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হয়।

গত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে শিবপাশা ও বানিয়াচং এলাকার মাঝামাঝি আঞ্জন স্থানে এ ঘটনা ঘটে। তবে তবে এ ঘটনায় বানিয়াচং থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন মুফতি আবিদ আল আহসান।

এ ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে মুফতি আবিদ আল আহসান বলেন,“গতকাল আমার মাহফিল ছিল ইমামনগর, বৈরাটি, মিঠামইন, কিশোরগঞ্জ। এই এলাকায় যেতে হলে আজমিরীগঞ্জ দিয়ে যেতে হয়। মাহফিল শেষে ফেরার পথে আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে হঠাৎ রাস্তা ব্লকেড দেখতে পাই।

কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রায় ১০-১৫ জন ডাকাত লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার গাড়ি ঘিরে ফেলে এবং পেছনের গ্লাস ভেঙে ফেলে। এরপর আমার ড্রাইভারকে মারধর করে, সফরসঙ্গীদের মোবাইল ফোন ও টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয়। আরও টাকা আছে কি না জানতে চেয়ে তারা প্রথমে আমাকে বাঁশ দিয়ে আঘাত করে, এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে।”

তিনি আরও বলেন, “আমার শরীর থেকে রক্ত ঝরতে দেখে ডাকাতদল দ্রুত সরে পড়ে। এরপর আমরা পার্শ্ববর্তী এক নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিই। এরপর গাড়ি ঘুরিয়ে আবার আজমিরীগঞ্জ হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করি। পরবর্তী ফজর পর্যন্ত অপেক্ষা করে ফজরের পর বানিয়াচং থানায় গিয়ে জিডি করতে চাইলে পুলিশ নেয়নি।”

যদিও বিষয়টি অস্বীকার করে বানিয়াচং থানার (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, ভুক্তভোগী বক্তা কিছুক্ষণ আগে কল করেছেন, আমরা এই বিষয়ে তদন্ত করছি। সন্ধ্যায় একই বিষয়ে মিটিংও ডাকা হয়েছে। ফজরের পর কেন জিডি নেয়া হলোনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ ২৪ ঘন্টাই সেবা দেয়ায় নিয়োজিত থাকেন। যেকোনো সময় মামলা, অভিযোগ ও জিডি আমরা গ্রহণ করি। ফজরের পর কারা দায়িত্বে ছিলেন আমি খোঁজ নিচ্ছি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

চুনারুঘাটে পানিতে ডুবে ভাইবোনের এক সাথে মৃত্যু

বানিয়াচং সড়কে ডাকাতের কবলে পড়লেন ইসলামি বক্তা: টাকা লুট ও গাড়ি ভাংচুর

আপডেট সময় ১০:১০:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বানিয়াচং এলাকায় ডাকাতদের হামলার শিকার হয়েছেন তরুণ ইসলামী বক্তা মুফতি আবিদ আল আহসান। এসময় তাঁর গাড়িচালক ও সফরসঙ্গীরাও আহত হন। ডাকাতরা তাঁদের ওপর হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা লুট করে নেয়। এ সময় বক্তাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হয়।

গত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে শিবপাশা ও বানিয়াচং এলাকার মাঝামাঝি আঞ্জন স্থানে এ ঘটনা ঘটে। তবে তবে এ ঘটনায় বানিয়াচং থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন মুফতি আবিদ আল আহসান।

এ ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে মুফতি আবিদ আল আহসান বলেন,“গতকাল আমার মাহফিল ছিল ইমামনগর, বৈরাটি, মিঠামইন, কিশোরগঞ্জ। এই এলাকায় যেতে হলে আজমিরীগঞ্জ দিয়ে যেতে হয়। মাহফিল শেষে ফেরার পথে আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে হঠাৎ রাস্তা ব্লকেড দেখতে পাই।

কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রায় ১০-১৫ জন ডাকাত লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার গাড়ি ঘিরে ফেলে এবং পেছনের গ্লাস ভেঙে ফেলে। এরপর আমার ড্রাইভারকে মারধর করে, সফরসঙ্গীদের মোবাইল ফোন ও টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয়। আরও টাকা আছে কি না জানতে চেয়ে তারা প্রথমে আমাকে বাঁশ দিয়ে আঘাত করে, এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে।”

তিনি আরও বলেন, “আমার শরীর থেকে রক্ত ঝরতে দেখে ডাকাতদল দ্রুত সরে পড়ে। এরপর আমরা পার্শ্ববর্তী এক নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিই। এরপর গাড়ি ঘুরিয়ে আবার আজমিরীগঞ্জ হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করি। পরবর্তী ফজর পর্যন্ত অপেক্ষা করে ফজরের পর বানিয়াচং থানায় গিয়ে জিডি করতে চাইলে পুলিশ নেয়নি।”

যদিও বিষয়টি অস্বীকার করে বানিয়াচং থানার (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, ভুক্তভোগী বক্তা কিছুক্ষণ আগে কল করেছেন, আমরা এই বিষয়ে তদন্ত করছি। সন্ধ্যায় একই বিষয়ে মিটিংও ডাকা হয়েছে। ফজরের পর কেন জিডি নেয়া হলোনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ ২৪ ঘন্টাই সেবা দেয়ায় নিয়োজিত থাকেন। যেকোনো সময় মামলা, অভিযোগ ও জিডি আমরা গ্রহণ করি। ফজরের পর কারা দায়িত্বে ছিলেন আমি খোঁজ নিচ্ছি।