হবিগঞ্জ ০৩:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মাধবপুরে ‎হাত ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে Logo মাধবপুরে বেড়েছে, মাদক ও ছিনতাইয়ের সন্ত্রাসে জনজীবন অতিষ্ঠ Logo টানা বৃষ্টিপাতে মাধবপুরে মহাসড়কসহ বিভিন্ন জায়গা প্লাবিত Logo চুনারুঘাটে পানিতে ডুবে ভাইবোনের এক সাথে মৃত্যু Logo চুনারুঘাটে তহশিলদার মইনুল ইসলামে সততার ঈর্ষান্বিত হয়ে সংবাদ প্রকাশ Logo চুনারুঘাটে ফের ২২ বাংলাদেশীকে পুশইন করেছে বিএসএফ Logo মাধবপুরে ৪টি লাইসেন্স বিহীন করাতকল উচ্ছেদ অভিযান” Logo চুনারুঘাটের কালেঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের পুশ-ইন: নারী শিশুসহ ১৯ বাংলাদেশী Logo মাধবপুরে রমীজ খাঁন আলিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষার মান ও মাদ্রাসার উন্নয়নে আলোচনা ‎ Logo চুনারুঘাটে খেলাফত মজলিসের কর্মী ও সুধী সমাবেশ
আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

হবিগঞ্জের জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সার ও ব্লগার ওয়াক্কাস আলী সেলিমের উপর নির্মম হামলা ও বাড়ি ঘরে আগুন

  • বিশেষ প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় ১২:২২:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৫০১ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার সাটিয়াজুরী ইউনিয়নে এক নির্মম হামলার শিকার হন সামাজিক সচেতনতামূলক ব্লগার, ফ্রিল্যান্সার ও “মাদক বিরোধী শক্তি” সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওয়াক্কাস আলী সেলিম। গত (১৫ জানুয়ারি ২০২২ ইং) শনিবার ভোরবেলা উপজেলার সাটিয়াজুরী ইউনিয়নে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের এবং বর্তমান পৌর মেয়র সাইফুল আলম রুবেলের নেতৃত্বে সেলিম আহমেদ (সাটিয়াজুরী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক) সহ ১৪-১৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রসহ ওয়াক্কাস আলী সেলিমের বাড়িতে হামলা চালায়। ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে মারধর করা হয়, হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে প্রহার করা হয় এবং তার বাবা এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করা হয়।

হামলাকারীরা শুধু শারীরিক নির্যাতনেই থেমে থাকেনি, তারা ওয়াক্কাসের পরিবারের সদস্যদের ঘর থেকে বের করে দিয়ে তার বসতবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এলাকাবাসী আতঙ্কে ঘর থেকে বের হয়নি কারণ হামলাকারী সেলিম আহমেদের নামে পূর্বে থেকেই ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।

ওয়াক্কাস আলীকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে চুনারুঘাট উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। কর্তব্যরত ডাক্তাররা জানান তার শরীরে মারপিটের একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

হামলার মূল কারণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে, সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নেতাদের মাদক সংশ্লিষ্ট কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে ওয়াক্কাস আলী সেলিম যে প্রতিবাদী পোস্ট ও ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন, তাতেই চটে গিয়ে এই হামলা সংঘটিত হয়। বিশেষ করে এক মাদক ডিলারের হাতে নির্যাতিত অটোরিকশাচালক মুকলেছুর রহমানের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই ওয়াক্কাস ছিলেন সরাসরি হুমকির মুখে।

হামলার শিকার ওয়াক্কাস আলীর বাবা মুঠোফোনে আমাদের জানান ওয়াক্কাস আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার চিকিৎসা চলছে। তার শারিরিক অবস্থা কিছুটা উন্নত হলে আমরা স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানাবো।

এই হামলার ঘটনাটি স্থানীয় এলাকায় চরম উত্তেজনা ও আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

ওয়াক্কাস এর পরিবার এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। খোলা আকাশের নিচে তাদের এখন দিনযাপন করতে হচ্ছে। সমাজের বৃত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন ওয়াক্কাস।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

মাধবপুরে ‎হাত ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে

আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

হবিগঞ্জের জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সার ও ব্লগার ওয়াক্কাস আলী সেলিমের উপর নির্মম হামলা ও বাড়ি ঘরে আগুন

আপডেট সময় ১২:২২:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২

হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার সাটিয়াজুরী ইউনিয়নে এক নির্মম হামলার শিকার হন সামাজিক সচেতনতামূলক ব্লগার, ফ্রিল্যান্সার ও “মাদক বিরোধী শক্তি” সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওয়াক্কাস আলী সেলিম। গত (১৫ জানুয়ারি ২০২২ ইং) শনিবার ভোরবেলা উপজেলার সাটিয়াজুরী ইউনিয়নে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের এবং বর্তমান পৌর মেয়র সাইফুল আলম রুবেলের নেতৃত্বে সেলিম আহমেদ (সাটিয়াজুরী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক) সহ ১৪-১৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রসহ ওয়াক্কাস আলী সেলিমের বাড়িতে হামলা চালায়। ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে মারধর করা হয়, হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে প্রহার করা হয় এবং তার বাবা এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করা হয়।

হামলাকারীরা শুধু শারীরিক নির্যাতনেই থেমে থাকেনি, তারা ওয়াক্কাসের পরিবারের সদস্যদের ঘর থেকে বের করে দিয়ে তার বসতবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এলাকাবাসী আতঙ্কে ঘর থেকে বের হয়নি কারণ হামলাকারী সেলিম আহমেদের নামে পূর্বে থেকেই ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।

ওয়াক্কাস আলীকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে চুনারুঘাট উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। কর্তব্যরত ডাক্তাররা জানান তার শরীরে মারপিটের একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

হামলার মূল কারণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে, সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নেতাদের মাদক সংশ্লিষ্ট কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে ওয়াক্কাস আলী সেলিম যে প্রতিবাদী পোস্ট ও ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন, তাতেই চটে গিয়ে এই হামলা সংঘটিত হয়। বিশেষ করে এক মাদক ডিলারের হাতে নির্যাতিত অটোরিকশাচালক মুকলেছুর রহমানের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই ওয়াক্কাস ছিলেন সরাসরি হুমকির মুখে।

হামলার শিকার ওয়াক্কাস আলীর বাবা মুঠোফোনে আমাদের জানান ওয়াক্কাস আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার চিকিৎসা চলছে। তার শারিরিক অবস্থা কিছুটা উন্নত হলে আমরা স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানাবো।

এই হামলার ঘটনাটি স্থানীয় এলাকায় চরম উত্তেজনা ও আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

ওয়াক্কাস এর পরিবার এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। খোলা আকাশের নিচে তাদের এখন দিনযাপন করতে হচ্ছে। সমাজের বৃত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন ওয়াক্কাস।