গাজায় নির্যাতিত মুসলিমদের উপর ইজরাইলে বর্বর হামলার প্রতিবাদে বাহুবলের মিরপুর বাজারে তৌহিদি জনতার বিক্ষোভ মিছিল”
বছরের পর বছর ইজরাইলে বর্বরতার শিকার ফিলিস্তিনি মুসলমানরা। যুদ্ধবিরতিতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার আগেই কাপুরুষিত হামলার শিকার হন শান্তিপ্রিয় গাজাবাসী।
যেখানে পুরো পৃথিবীত রমজানে এবং ইদের আনন্দে আত্মহারা সেখানে ফিলিস্তিনিদের কাধে উঠেছে শত শত লাশ এবং বাসস্থান ছাড়া হচ্ছেন হাজারো পরিবার। এই মৃত্যুর মিছিল যেনো কখনোই থামার নয়।
যুদ্ধবিরতির পর নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর হামলার প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়ে পুরো বিশ্ব। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বাদ জুম্মা মিরপুরের সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা একটি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
মিরপুর জামেয়া হোসাইনিয়া মাদ্রাসার গেইট থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্বরোড হয়ে মিরপুর চৌমুনিতে আসে।
এবং সেখানে বক্তারা বক্তব্য রাখেন এবং জাতিসংঘের নিরবতায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার আহবান জানান।
এছাড়া অতিদ্রুত আন্তঅর্জাতিক মানবাধিকার লংঘনে ইজরাইলকে বিচারের আওতায় আনার আহবান জানান। বক্তব্যর শেষে দোয়ার মাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিলটির সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।
দোয়া করেন মিরপুর জামেয়া হোসাইনিয়ার মোহতামীম মাহমুদুল হাসান সাহেব, উনি বক্তব্যর এক পর্যায়ে বলেন “আমাদের টাকায় কিনা পন্যর ভ্যাট ও ট্যাক্সের টাকায় তারা আমাদের ভাইদের উপরে হামলা করছে, তাই আমাদেরকে ইজরাইলি এবং ইন্ডিয়ান পণ্য বয়কটের আহবান জানান” এছাড়া বক্তব্য রাখেন দৌলতপুর আশরাফিয়া মাদ্রাসার পরিচালক এবং ইসলামিক বক্তা আব্দুল হাই বাহুবলী হুজুর, বক্তব্য রাখেন সানশাইন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্টাতা এম এ শামসুদ্দিন, বাহুবল উপজেলা বিএনপির সভাপতি তুষার চৌধুরী এবং ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদ।
এছাড়া বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রনেতা হেলাল মহালদার, খালিদ মোশাররফ,হাফিজুর রহমান শাওন, ফয়সল আহমেদ, কাউছার মিয়া, রাহিদ ইসলাম, মিজান আহমেদ, হাফিজুর রহমান হাফিজ,মোশাররফ উল্লাহ অনিক তালুকদার, নাহিদুল ইসলাম তানিম এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ হাজারখানেক ছাত্র-জনতা।