হবিগঞ্জ ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo লাখাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক ছাত্রকে পিটিয়ে আহত Logo বাহুবলে রশিদপুর গ্যাসফিল্ডে গাছ ফেলে ঘন্টাব্যাপী ডাকাতি Logo বাহুবলে আলোচিত তাজুল হত্যার আসামী মারুফকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব Logo দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই আমাদের মূল লক্ষ্য- সাবেক সাংসদ সৈয়দ মোঃ ফয়সল Logo হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ Logo চুনারুঘাটে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হলো ৪৪ হাজার ৩৫১ শিশুকে Logo আছিয়ার ধর্ষণ ও খুনীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের দাবীতে বাহুবলে ছাত্র-জনতার মশাল মিছিল Logo শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবে দোয়া ও ইফতার মাহফিল Logo কানাডায় টপ টোয়েন্টি অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুণ তারিফ মাহমুদ Logo চুনারুঘাটে এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে বেধরক মারপিট, ফেইসবুকে ভিডিও ভাইরাল

বাহুবলে আলোচিত তাজুল হত্যার আসামী মারুফকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব

বাহুবলে আলোচিত তাজুল ইসলাম হত্যা মামলার অন্যতম আসামী মারুফ মিয়া (৪০) কে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব ৯। গতকাল (১৬ মার্চ) শনিবার রাতে উপজেলা সদর ঢাকা সিলেট মহাসড়কের করাঙ্গী ব্রিজ এলাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে মারুফ মিয়াকে বাহুবল মডেল থানায় হস্তান্তর করা হলে রবিবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গেল বছরের সালের ৯ অক্টোবর সকালে বাহুবল উপজেলার ৭নং ভাদেশ্বর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে কবরস্থানে ছাগল ছাড়ানোকে কেন্দ্র করে ঐ গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক মিয়ার ছেলে সোনাহর আলীর সাথে প্রতিবেশী সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ তাজুল ইসলাম ও ফারুক মিয়ার কথা-কাটাকাটি হয়।

এ ঘটনার জের ধরে সোনাহর আলী, মাসুক মিয়া ও মারুফ মিয়ার সাথে একই গ্রামের প্রতিবেশী সিরাজুল ইসলামের ছেলে তাজুল ইসলাম ও ফিরোজ মিয়ার ছেলে মোঃ ফারুক মিয়ার লোকজনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রায় ঘন্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে তাজুল ইসলাম(৪০) নিহত হয়, এসময় প্রায় অন্তত ২০ জন লোক আহত হয়।

এমতাবস্থায় প্রতিবেশী লোকজন এগিয়ে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাজুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহত আনিছ মিয়াকে হবিগঞ্জ ও মতিন মিয়াকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

উল্লেখ্য যে,দীর্ঘদিন যাবত কবরস্থানের মালিকানা নিয়ে সোনাহর আলী ও ফারুক মিয়ার লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো।

এ নিয়ে গ্রামে ৩/৪টি বিচার শালিসও হয়েছে।পরবর্তীতে গ্রামের মুরুব্বিয়ানরা বসে কবরস্থানটি গ্রামবাসীর বলে সিদ্ধান্ত করেন এবং উভয় পক্ষের কেউ কবরস্থানে গরু ছাগল না ছড়ানোর জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

কিন্ত বুধবার ৯ অক্টোবর সকালে সোনাহর আলী ও তার লোকজন গরু ছাগল নিয়ে কবরস্থানে আসলে ফারুক মিয়া ও তাজুল ইসলাম প্রতিবাদ করেন।এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

লাখাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক ছাত্রকে পিটিয়ে আহত

বাহুবলে আলোচিত তাজুল হত্যার আসামী মারুফকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব

আপডেট সময় ১২:৩১:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

বাহুবলে আলোচিত তাজুল ইসলাম হত্যা মামলার অন্যতম আসামী মারুফ মিয়া (৪০) কে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব ৯। গতকাল (১৬ মার্চ) শনিবার রাতে উপজেলা সদর ঢাকা সিলেট মহাসড়কের করাঙ্গী ব্রিজ এলাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে মারুফ মিয়াকে বাহুবল মডেল থানায় হস্তান্তর করা হলে রবিবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গেল বছরের সালের ৯ অক্টোবর সকালে বাহুবল উপজেলার ৭নং ভাদেশ্বর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে কবরস্থানে ছাগল ছাড়ানোকে কেন্দ্র করে ঐ গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক মিয়ার ছেলে সোনাহর আলীর সাথে প্রতিবেশী সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ তাজুল ইসলাম ও ফারুক মিয়ার কথা-কাটাকাটি হয়।

এ ঘটনার জের ধরে সোনাহর আলী, মাসুক মিয়া ও মারুফ মিয়ার সাথে একই গ্রামের প্রতিবেশী সিরাজুল ইসলামের ছেলে তাজুল ইসলাম ও ফিরোজ মিয়ার ছেলে মোঃ ফারুক মিয়ার লোকজনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রায় ঘন্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে তাজুল ইসলাম(৪০) নিহত হয়, এসময় প্রায় অন্তত ২০ জন লোক আহত হয়।

এমতাবস্থায় প্রতিবেশী লোকজন এগিয়ে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাজুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহত আনিছ মিয়াকে হবিগঞ্জ ও মতিন মিয়াকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

উল্লেখ্য যে,দীর্ঘদিন যাবত কবরস্থানের মালিকানা নিয়ে সোনাহর আলী ও ফারুক মিয়ার লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো।

এ নিয়ে গ্রামে ৩/৪টি বিচার শালিসও হয়েছে।পরবর্তীতে গ্রামের মুরুব্বিয়ানরা বসে কবরস্থানটি গ্রামবাসীর বলে সিদ্ধান্ত করেন এবং উভয় পক্ষের কেউ কবরস্থানে গরু ছাগল না ছড়ানোর জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

কিন্ত বুধবার ৯ অক্টোবর সকালে সোনাহর আলী ও তার লোকজন গরু ছাগল নিয়ে কবরস্থানে আসলে ফারুক মিয়া ও তাজুল ইসলাম প্রতিবাদ করেন।এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।