হবিগঞ্জ ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চুনারুঘাটে সাংবাদিক নোমান কে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি Logo চুনারুঘাটে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি ও হত্যা মামলার আসামি আব্দুল হক কুটি র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার Logo ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার সময়ে প্রতিটি খুন-গুমের বিচার বাংলার মাটিতে হবে-মামুনুল হক Logo দেশকে অস্থির করার জন্য স্বৈরাচারের দোসরা নানামুখী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, সৈয়দ মোঃ শাহজাহান Logo চুনারুঘাটে টিসিবির পন্য বিক্রি না করে মজুদ: ২ ডিলারের মালিক আটক Logo মাধবপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত Logo চুনারুঘাটে পৃথক স্থান থেকে নারী সহ ৩ মরদেহ উদ্ধার Logo ফ্যাসিবাদ আজ পালিয়ে বেড়াচ্ছে! মোহাম্মদ সুমন Logo চুনারুঘাটে বেপরোয়া মোটরসাইকেলের চালকের ধাক্কায় অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট গুরুত : আহত ঢাকায় সিএমএইচে ভর্তি Logo চুনারুঘাটে ৭ বছর পর প্রশসানের সহযোগিতায় সরকারি রাস্তা দখলমুক্ত

ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় হত্যা মামলার আসামি জালাল গ্রেপ্তার

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ২০০ টাকার পাওার বিরোধের জেরে আফরোজ মিয়া (৪৬) কে  কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৩৬ ঘন্টার মধ্যে  মোঃ জালাল মিয়া (২৭) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সে চুনারুঘাট উপজেলার গনকিনপাড় হুরার টিলা এলাকার মোঃ জহুর হোসেনের পুত্র। তাকে আজ সোমবার (৮ জুলাই) বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এ তথ্য নিশ্চিত করে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হিল্লোল রায় জানান,  গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি ভারতে পালিয়ে যাবে।

এমন তথ্যের ভিত্তিতে   থানার উপপরিদর্শক এসআই লিটন রায়ের নেতৃত্বে সহকারী উপপরিদর্শক  এএসআই মনির হোসাইন সহ একদল পুলিশ দুপুরে ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে গত শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুরে ওই এলাকার ইসহাকের মেয়ের জামাই রতন মিয়া স্থানীয় শিরিনার দোকান থেকে বাকিতে ২০০ টাকার সদাই করেন। পরদিন বিকেলে টাকা চান দোকানদার শিরিনা।

ওই সময় টাকা পরিশোধ করতে অনীহা প্রকাশ করেন রতন মিয়া। এনিয়ে শিরানা ও রতনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শিরিনার দোকানে ভাঙচুর চালায় রতন। ওই সময়ে উপস্থিত ছিলেন নিহতের ভাই তাজুল মিয়া। তিনি রতনকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে শিরিনার টাকা পরিশোধ করতে বলেন।

এসময় তাদের মধ্যেও বাকবিতণ্ডা হয়। পরদিন শনিবার সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের মুরুব্বীরা বিরোধ নিষ্পত্তি করেন এবং ২০০ টাকা শিরিনা দোকানদার পাবে মর্মে সিদ্ধান্ত দেন।

এই ক্ষোভে শনিবার রাতে নিহত আফরোজের ঘরে ঢিল ছুড়ে অভিযুক্ত রতন। বিষয়টি রতনের শ্যালক রুবেলকে জানানো হয়। এনিয়ে ফের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে গত ৭ জুন গভীর রাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে  মোঃ আফরোজ মিয়াকে রাতের অন্ধকারে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

এঘটনায় নিহতর স্ত্রী শাহেনা আক্তার  জালাল সহ ৭ জনের  নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপরই পুলিশ জড়িতদের গ্রেপ্তার বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে জালালকে গ্রেপ্তার করে। এদিকে গতকাল রবিবার বিকেলে নিহত আফরোজ মিয়ার মরদেহ  ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

চুনারুঘাটে সাংবাদিক নোমান কে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি

ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় হত্যা মামলার আসামি জালাল গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৮:৫৬:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ২০০ টাকার পাওার বিরোধের জেরে আফরোজ মিয়া (৪৬) কে  কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৩৬ ঘন্টার মধ্যে  মোঃ জালাল মিয়া (২৭) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সে চুনারুঘাট উপজেলার গনকিনপাড় হুরার টিলা এলাকার মোঃ জহুর হোসেনের পুত্র। তাকে আজ সোমবার (৮ জুলাই) বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এ তথ্য নিশ্চিত করে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হিল্লোল রায় জানান,  গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি ভারতে পালিয়ে যাবে।

এমন তথ্যের ভিত্তিতে   থানার উপপরিদর্শক এসআই লিটন রায়ের নেতৃত্বে সহকারী উপপরিদর্শক  এএসআই মনির হোসাইন সহ একদল পুলিশ দুপুরে ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে গত শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুরে ওই এলাকার ইসহাকের মেয়ের জামাই রতন মিয়া স্থানীয় শিরিনার দোকান থেকে বাকিতে ২০০ টাকার সদাই করেন। পরদিন বিকেলে টাকা চান দোকানদার শিরিনা।

ওই সময় টাকা পরিশোধ করতে অনীহা প্রকাশ করেন রতন মিয়া। এনিয়ে শিরানা ও রতনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শিরিনার দোকানে ভাঙচুর চালায় রতন। ওই সময়ে উপস্থিত ছিলেন নিহতের ভাই তাজুল মিয়া। তিনি রতনকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে শিরিনার টাকা পরিশোধ করতে বলেন।

এসময় তাদের মধ্যেও বাকবিতণ্ডা হয়। পরদিন শনিবার সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের মুরুব্বীরা বিরোধ নিষ্পত্তি করেন এবং ২০০ টাকা শিরিনা দোকানদার পাবে মর্মে সিদ্ধান্ত দেন।

এই ক্ষোভে শনিবার রাতে নিহত আফরোজের ঘরে ঢিল ছুড়ে অভিযুক্ত রতন। বিষয়টি রতনের শ্যালক রুবেলকে জানানো হয়। এনিয়ে ফের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে গত ৭ জুন গভীর রাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে  মোঃ আফরোজ মিয়াকে রাতের অন্ধকারে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

এঘটনায় নিহতর স্ত্রী শাহেনা আক্তার  জালাল সহ ৭ জনের  নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপরই পুলিশ জড়িতদের গ্রেপ্তার বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে জালালকে গ্রেপ্তার করে। এদিকে গতকাল রবিবার বিকেলে নিহত আফরোজ মিয়ার মরদেহ  ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।