হবিগঞ্জ ১২:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জুলাই ২০২৪, ৬ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সৎ প্রশাসকদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা কোথায়? Logo চুনারুঘাটে ৩৯ বছরের বর্ণাঢ্য শিক্ষকতা পেশার অরবিন্দ দত্তের সমাপ্তি Logo ব্যারিস্টার সুমন এমপিকে সংবর্ধনা দিল চুনারুঘাট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি Logo চুনারুঘাটে ১৭ কেজি গাঁজা সহ কারবারি গ্রেপ্তার Logo ৪র্থ বারের মতো জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন চুনারুঘাট থানার এসআই লিটন রায় Logo ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার পরিকল্পনাকারী সোহাগ গ্রেফতার Logo ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় হত্যা মামলার আসামি জালাল গ্রেপ্তার Logo ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার পরিকল্পনার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন Logo চুনারুঘাটে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হলেন তৌফিক মিয়া তালুকদার Logo ব্যারিস্টার সুমনের হত্যার পরিকল্পনারকারীদের গ্রেফতারে দাবীতে চুনারুঘাটে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ 

ব্যারিস্টার সুমনের ‘ঈগলে’র কাছে নৌকার’ মাঝি মাহবুব আলীর পরাজয়

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট-মাধবপুরে ৪৩ বছর পর নৌকা ডুবছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এবার বিপুল ভোটের ব্যাবধানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলীকে হারিয়েছেন। তিনি ইতিহাস সৃষ্টি করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন।

চুনারুঘাট- মাধবপুরের ১৭৭টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে ব্যারিস্টার সুমন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এডভোকেট মাহবুব আলী ৬৯ হাজার ৫৪৩ভোট পেয়েছেন। ব্যারিস্টার সুমন ৯৯ হাজার ৫৫৬ ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছেন। এ আসনে চরমভাবে ভরাডুবি হয়েছে এডভোকেট মাহবুব আলীর।

ব্যারিস্টার সুমন চুনারুঘাটে ৯৭ হাজার ৭৯৫ ভোট এবং মাহববু আলী ২৪ হাজার ৮৯০ ভোট পান।

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সোস্যাল মিডিয়ার আইকন ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলায় নানা সামাজিক কাজ করে আলোচনায় আসেন। চুনারুঘাটে ৪৯টি ব্রীজ করে সবার নজর কাড়েন। এছাড়া তিনি চুনারুঘাট ও মাধবপুরের সাধারণ মানুষের বিপদে এগিয়ে আসতেন। ঘর তৈরী করে এবং আর্থিক সহযোগিতার কারণেই তিনি মানুষের মন জয়ে করে দেন।

পাশাপাশি তিনি দুই উপজেলায় রাজশাহীর প্রায় ৩৫ হাজার আমের চারা বিতরণ করেন। এর বাইরে তিনি ফুটবল নিয়ে সারা দেশে আলোচিত ছিলেন। ফুটবল একাডেমি করে খেলোয়াড় তৈরি করে আলোচনায় আসেন। ব্যারিস্টার সুমন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নৌকাকে হারিয়ে বিজয়ী হন। এ বিজয়ের ফলে চুনারুঘাট-মাধবপুরে ৪৩ বছর পর নৌকা ডুবেছে।

রাতে প্রতিক্রিয়ায় তিনি চুনারুঘাট-মাধবপুরবাসীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আমি এতো সম্মানি ছিলাম না,আপনারা আমাকে সম্মানি বানিয়েছেন। আমি আপনাদের সম্মানের প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করবো।

এর আগে এডভোকেট মাহবুব আলী ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে নৌকা নিয়ে বিজয়ী হন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে পরাহিত হলেন। ২০০৮, ২০০১, ১৯৯৬, ১৯৮৮, ১৯৮৬ ও ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে এ আসনে সাবেক সমাজ কল্যাণমন্ত্রী এনামুল হক মোস্তাফা শহীদ নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সৎ প্রশাসকদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা কোথায়?

ব্যারিস্টার সুমনের ‘ঈগলে’র কাছে নৌকার’ মাঝি মাহবুব আলীর পরাজয়

আপডেট সময় ০১:১২:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৪

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট-মাধবপুরে ৪৩ বছর পর নৌকা ডুবছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এবার বিপুল ভোটের ব্যাবধানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলীকে হারিয়েছেন। তিনি ইতিহাস সৃষ্টি করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন।

চুনারুঘাট- মাধবপুরের ১৭৭টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে ব্যারিস্টার সুমন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এডভোকেট মাহবুব আলী ৬৯ হাজার ৫৪৩ভোট পেয়েছেন। ব্যারিস্টার সুমন ৯৯ হাজার ৫৫৬ ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছেন। এ আসনে চরমভাবে ভরাডুবি হয়েছে এডভোকেট মাহবুব আলীর।

ব্যারিস্টার সুমন চুনারুঘাটে ৯৭ হাজার ৭৯৫ ভোট এবং মাহববু আলী ২৪ হাজার ৮৯০ ভোট পান।

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সোস্যাল মিডিয়ার আইকন ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলায় নানা সামাজিক কাজ করে আলোচনায় আসেন। চুনারুঘাটে ৪৯টি ব্রীজ করে সবার নজর কাড়েন। এছাড়া তিনি চুনারুঘাট ও মাধবপুরের সাধারণ মানুষের বিপদে এগিয়ে আসতেন। ঘর তৈরী করে এবং আর্থিক সহযোগিতার কারণেই তিনি মানুষের মন জয়ে করে দেন।

পাশাপাশি তিনি দুই উপজেলায় রাজশাহীর প্রায় ৩৫ হাজার আমের চারা বিতরণ করেন। এর বাইরে তিনি ফুটবল নিয়ে সারা দেশে আলোচিত ছিলেন। ফুটবল একাডেমি করে খেলোয়াড় তৈরি করে আলোচনায় আসেন। ব্যারিস্টার সুমন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নৌকাকে হারিয়ে বিজয়ী হন। এ বিজয়ের ফলে চুনারুঘাট-মাধবপুরে ৪৩ বছর পর নৌকা ডুবেছে।

রাতে প্রতিক্রিয়ায় তিনি চুনারুঘাট-মাধবপুরবাসীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আমি এতো সম্মানি ছিলাম না,আপনারা আমাকে সম্মানি বানিয়েছেন। আমি আপনাদের সম্মানের প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করবো।

এর আগে এডভোকেট মাহবুব আলী ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে নৌকা নিয়ে বিজয়ী হন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে পরাহিত হলেন। ২০০৮, ২০০১, ১৯৯৬, ১৯৮৮, ১৯৮৬ ও ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে এ আসনে সাবেক সমাজ কল্যাণমন্ত্রী এনামুল হক মোস্তাফা শহীদ নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হন।