হবিগঞ্জের ৩টি আসনে নৌকাবঞ্চিত হয়ে ৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়তে ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছেন পড়েছেন। তারা মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেন। তারা আজ মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছেন।
তাদের মধ্যে রয়েছেন- আওয়ামী লীগ দলীয় একজন বর্তমান সংসদ সদস্য। তিনি হচ্ছেন হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের টানা ৩ বারের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খান।
আর হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে লড়ছেন নৌকার মনোনয়নবঞ্চিত বর্তমান এমপি গাজী মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ মিলাদের ছোট ভাই যুবলীগ কেন্দ্রীয় সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহেদ।
অপরদিকে হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতা ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
এদের মধ্যে বুধবার দুপুর ২টায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খান বলেন, মনোনয়ন না পেলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন।
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন জানান, আমি নির্বাচনে না দাঁড়ালে তারা মানুষকে মূল্যায়ন করতেন না। আমি ৪৯টি ব্রিজ বানিয়েছি। মানুষের ব্যবহারের জন্য টয়লেট বানিয়ে দিয়েছি। আমার পড়াশোনা আছে। আমার বিশ্বাস আছে আমি পরীক্ষায় পাশ করব।
সারা জীবন পড়াশোনা করবেন না আর পরীক্ষার সময় এসে বলবেন আমার বাবা অমুক, আমার চাচা অমুক। আপনাদের শুধু ভোট দিতে হবে। গত ২০ বছরেও একটি ব্রিজ বানাতে পারেননি।
তিনি বলেন, আপনারা জিজ্ঞেস করেন কম টাকায় একটি টিকিট কিনতে পেরেছেন কিনা। কেউ বিমানের কোনো সুবিধা পেয়েছেন কিনা।
বুধবার সকালে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে চুনারুঘাট পৌরশহরের পীরেরবাজার বাসা থেকে বের হয়ে মধ্যবাজারে এসে পথসভায় উপস্থিত সবার দোয়া চান।
পরে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এদিকে নৌকা মনোনীত প্রার্থী হিসেবে অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী এমপি বিকাল ৪টায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।