চুনারুঘাট উপজেলার গাজীনগর উচ্চ বিদ্যালয়রে নিরাপত্তাকর্মী পদে লিখিত ও মৌখিক পরিক্ষার খাতা পূর্ণ তদন্তের জন্য অভিযোগ দায়ের করেছেন এক চাকুরী প্রত্যাশী। গতকাল সোমবার চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন হাবিবুর রহমান নামে এক প্রার্থী।
এছাড়াও অভিযোগের অনুলিপি মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষা ভবন, ঢাকা, জেলা প্রশাসক, হবিগঞ্জ, উপ-পরিচালক, সিলেট অঞ্চল, জেলা শিক্ষা অফিসার, হবিগঞ্জ ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এর বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের গাজীনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য গত ১৭ সেপ্টেম্বর নিরাপত্তাকর্মী পদের জন্য লিখিত ও মৌখিক পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত পরিক্ষায় হাবিবুর রহমানসহ অনেকেই অংশ গ্রহণ করেন।
কিন্তু অভিযোগকারী হাবিবুর রহমানের দাবী সবার থেকে তার লিখিত ও মৌখিক পরিক্ষা ভালো হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন তার থেকে কম নাম্বার পাওয়া প্রার্থীকে সিলেক্ট করা হয়।
অভিযোগে বলা হয় নিয়োগ কমিটিকে বাধ্য করে ফলাফল ঘোষণা করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা সহিদ।
এছাড়াও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উৎকোচ নিয়ে কম নাম্বার পাওয়া প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়েছেন। ওইদিন পরিক্ষার পরে নিয়োগ নিয়ে অনিয়ম উঠলে স্থানীয় এলাকাবাসী ও চাকুরী প্রার্থীরা পূনরায় খাতা দেখাতে অনুরোধ করেন।
কিন্ত প্রধান শিক্ষক খাতা দেখাতে অনিহা প্রকাশ করে বলেন এবং নিয়োগ কমিটির সদস্য রাজার বাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন খাতা দেখানোর কোন যুক্তিকথা নেই। তিনি বলেন নিয়োগের বিষয় কোন অভিযোগ থাকলে আদালতে মামলা করেন।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী হাবিবুর রহমান বলেন, আমি উক্ত পদে একজন প্রার্থী হিসেবে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষয় অত্যন্ত ভালো হয়। আমার ধারণা যে সব পরিক্ষা সবার চেয়ে ভালো হয়েছে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক অন্য প্রার্থীর কাছ থেকে উৎকোচ নিয়ে তাকে নিয়োগ দিয়েছেন। আমি পরিক্ষার পূর্ণ তদন্তের দাবী জানাই।