হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে পিকআপ, তিন চাকার অটোভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার ত্রিমুখী সংঘর্ষে নারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও দু’জন।
এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে চুনারুঘাট থানার উপপরিদর্শক এসআই ওমর ফারুক বাদি হয়ে সড়ক পরিবহন আইনে ডিআই পিকআপ সহ ৩জন অজ্ঞাতনামা চালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ।
এ তথ্য নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর তদন্ত গোলাম মোস্তফা জানান, ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে চুনারুঘাট উপজেলার চুনারুঘাট সদর ইউনিয়নের চানভাঙ্গা তেমুনিয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা সকলেই সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জগামী ডিম ভর্তি একটি পিকআপের সঙ্গে চুনারুঘাটগামী একটি সিএনজি অটোরিকশা ও অটোভ্যানের সংঘর্ষ হয়।
এতে সিএনজিতে থাকা মিরাশি ইউনিয়নের কাকাউশ প্রকাশ পাঁচগাও গ্রামের সুরুক আলীর মেয়ে, কালিশিড়ি গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী নাজমা আক্তার (৪০), একই ইউনিয়নের লাদিয়া গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে রুমেল মিয়া (৫৫) ঘটনাস্থলে মারা যান।
গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান দেওরগাছ ইউনিয়নের রাজাপুর এলাকার করিম মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক জসিম উদ্দিন (২৫)।
আহতরা হলেন, উপজেলার দূর্গাপুর এলাকার সিএনজিচালক আব্দুল নুরের ছেলে পারভেজ (২৪), নবীগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসে কর্মরত সার্টিফিকেট পেশকার চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের বগাডুবি গ্রামের আব্দুল হাইয়ের পুত্র মোহাম্মদ মাঈনুল ইসলাম রাব্বি (৩০), একই উপজেলার বনগাও গ্রামের শফিক মিয়ার মেয়ে ফারিয়া আক্তার (৩০)।
তাদের হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় সিএনজিচালক পারভেজ ও মোহাম্মদ মাঈনুল ইসলামকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর মধ্যে মাঈনুল ইসলাম শুক্রবার দুপুরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
পুলিশ রাতেই পিকআপ, সিএনজি অটোরিকশা ও অটোভ্যান জব্দ করেছে। চুনারুঘাটে সাতদিনের ব্যবধানে সড়কে ঝরলো ৬ প্রাণ। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অপ্রশিক্ষিত চালক, বেপরোয়া গতি, বিপজ্জনক বাঁক, ওভারটেকিং, ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চলাচলসহ বেশ কয়েকটি কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে।