হবিগঞ্জ ০১:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মাধবপুরে আগুনে পুড়ে ছাই হলো মিলনের বেঁচে থাকার অবলম্বন Logo চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাচনে ১৭ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র দাখিল Logo সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন Logo বিদ্যুৎপৃষ্ঠে নিহতের পরিবারের পাশে ব্যারিস্টার সুমন-এমপি Logo টেকনাফের ব্যাবসায়ী ৫শ’ পিছ ইয়াবাসহ চুনারুঘাটে গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাটে তীব্র দাবদাহে সুপেয় পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ Logo শেখ হাসিনার আধুনিক চিন্তা ধারায় বদলে গেল কৃষিখাত, ব্যারিস্টার সুমন Logo কথায় কথায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক তাদের কাম কি? মানুষের টাকা মেরে দেয়া, ব্যারিস্টার সুমন Logo বাহুবলে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন, জরিমানা ৫০ হাজার টাকা Logo বাহুবলে রাতের আধারে প্রবাসীর ১৮ টি ফসলি গাছ কর্তন, লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি

খেলা নিয়ে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন বুনছেন বানিয়াচংয়ের মেয়ে রলি

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট। আর সেই খেলা নিয়ে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন বুনছেন বানিয়াচং উপজেলা সদরের লাহুমা চৌধুরী রলি। রলি উপজেলা সদরের ৪ নম্বর দক্ষিণ -পশ্চিম ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত বাসিয়াপাড়া মহল্লার আজমল হোসেন চৌধুরীর মেয়ে।চার ভাই বোনের মধ্যে রলি পরিবারের একমাত্র মেয়ে।পরিবারের একমাত্র মেয়ে সন্তান হয়ে ও ক্রিকেট খেলার প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ। তাঁর ভবিষ্যত পরিকল্পনা বাংলাদেশের জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের হয়ে খেলায় অংশগ্রহণ করা এবং বানিয়াচংয়ের মুখ উজ্জ্বল করা।

ছোটবেলা থেকেই লাহুমা চৌধুরী রলি’র খেলাধুলার প্রতি অধীর আগ্রহ ছিলো।স্হানীয় এলাকাবাসী জানায়,প্রাথমিকে পড়াশোনা চালানোর সময় রলিতে একহাতে বল এবং অন্য হাতে ব্যাট নিয়ে খেলতে দেখা যেতো।বিদ্যালয় ছুটির পরপরই তাঁকে তাঁর বাড়ির পাশের ছোট একটি মাঠে ক্রিকেট খেলতে দেখা যেতো।বড় ভাই এবং এলাকার সহপাঠীদের সাথে ক্রিকেট খেলায় সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকতো সে।
অপরদিকে শুধু ক্রিকেট নয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ফুটবল,ভলিবল, হ্যান্ডবল খেলায় অংশগ্রহণ করেছে সে।মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা থাকাকালীন অনেকবার দৌড় প্রতিযোগিতায় পুরস্কার অর্জন করার খ্যাতি রয়েছে রলির।আঠারো বছর বয়সী এই কিশোরী বানিয়াচং উপজেলার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বানিয়াচং সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়।সর্বপ্রথম ক্রিকেট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে রলি। সেখান থেকেই হবিগঞ্জ নারী ক্রিকেটের কোচ মঈন উদ্দিন সাচ্চু তালুকদারের মাধ্যমে নিজ জেলা হবিগঞ্জ আধুনিক স্টেডিয়ামে খেলার সুযোগ পায় রলি।প্রকৃত পক্ষে রলির ক্রিকেট খেলার হাতেখড়ি হয়েছিল মঈন উদ্দিন তালুকদার সাচ্চুর হাত ধরেই। যার অধম প্রচেষ্টা আর রলির নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আর শ্রমের মাধ্যমে তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সূচনা হয়।এর কয়েকদিন পরই বিকেএসপির প্রমিলা শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্প কর্মসূচি ২০২০-২১ কার্যক্রম শুরু হয়। মা-বাবা এবং শিক্ষক মঈন উদ্দিন তালুকদার সাচ্চুর অনুপ্রেরণায় রলি উক্ত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। সারা বাংলাদেশ থেকে ২০০ জন প্রতিভাবান খেলোয়াড় বাছাই করে ৩ মাসের ১ টা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। ৩ মাসের ক্যাম্পে ২০০ জন খেলোয়াড়দের মধ্যে ১০০ জন প্রতিভাবান খেলোয়াড়কে ৬ মাসের ক্যাম্পের জন্য বাছাই করা হয়।সেই ক্যাম্পে রলি সুযোগ পায়।লাহুমা চৌধুরী রলিই ছিলেন হবিগঞ্জ জেলার একমাত্র ক্রিকেট ইভেন্টের বিকেএসপি বাছাই কার্যক্রমের একজন খেলোয়াড়।তাছাড়া অনূর্ধ্ব -১৭ ১ম বাছাই কার্যক্রমে একমাত্র রলি হবিগন্জ জেলা থেকে সুযোগ পায় এবং পরবর্তী ২য় পর্যায়ের বাছাই ক্রমে অংশগ্রহণ করে। তাছাড়া, ২০২১ এর নভেম্বর এ অনুষ্ঠিত মেয়েদের ঢাকা প্রথম বিভাগ কোয়ালিফাইং টুর্নামেন্টে বুড়িগঙ্গা উইমেন্স ক্রিকেট একাডেমি তে ওপেনার এবং উইকেটরক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে রলি।আর এই টুর্নামেন্টে তাঁদের টিম সেমিফাইনাল উঠেছিলো।এ ব্যাপারে কিশোরী লাহুমা চৌধুরী রলি বলেন,ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট খেলাকে বুকে ধারণ করে নিয়েছি। কঠোর পরিশ্রম এবং আমার পরিবারের সাপোর্ট না থাকলে আমার কখনোই ক্রিকেট খেলা নিয়ে স্বপ্ন বুনা সম্ভব হতো না। আমি ভবিষ্যতে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখি। রলির এই সাফল্যে তাঁর এলাকবাসী, বন্ধু -বান্ধব থেকে শুরু করে সবাই আনন্দিত। রলি যেনো ক্রিকেট খেলে ক্যারিয়ার গড়ার মাধ্যমে বানিয়াচংয়ের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে সেজন্য তাঁর মা-বাবা সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

মাধবপুরে আগুনে পুড়ে ছাই হলো মিলনের বেঁচে থাকার অবলম্বন

খেলা নিয়ে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন বুনছেন বানিয়াচংয়ের মেয়ে রলি

আপডেট সময় ০৯:০৩:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জুলাই ২০২২

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট। আর সেই খেলা নিয়ে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন বুনছেন বানিয়াচং উপজেলা সদরের লাহুমা চৌধুরী রলি। রলি উপজেলা সদরের ৪ নম্বর দক্ষিণ -পশ্চিম ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত বাসিয়াপাড়া মহল্লার আজমল হোসেন চৌধুরীর মেয়ে।চার ভাই বোনের মধ্যে রলি পরিবারের একমাত্র মেয়ে।পরিবারের একমাত্র মেয়ে সন্তান হয়ে ও ক্রিকেট খেলার প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ। তাঁর ভবিষ্যত পরিকল্পনা বাংলাদেশের জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের হয়ে খেলায় অংশগ্রহণ করা এবং বানিয়াচংয়ের মুখ উজ্জ্বল করা।

ছোটবেলা থেকেই লাহুমা চৌধুরী রলি’র খেলাধুলার প্রতি অধীর আগ্রহ ছিলো।স্হানীয় এলাকাবাসী জানায়,প্রাথমিকে পড়াশোনা চালানোর সময় রলিতে একহাতে বল এবং অন্য হাতে ব্যাট নিয়ে খেলতে দেখা যেতো।বিদ্যালয় ছুটির পরপরই তাঁকে তাঁর বাড়ির পাশের ছোট একটি মাঠে ক্রিকেট খেলতে দেখা যেতো।বড় ভাই এবং এলাকার সহপাঠীদের সাথে ক্রিকেট খেলায় সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকতো সে।
অপরদিকে শুধু ক্রিকেট নয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ফুটবল,ভলিবল, হ্যান্ডবল খেলায় অংশগ্রহণ করেছে সে।মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা থাকাকালীন অনেকবার দৌড় প্রতিযোগিতায় পুরস্কার অর্জন করার খ্যাতি রয়েছে রলির।আঠারো বছর বয়সী এই কিশোরী বানিয়াচং উপজেলার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বানিয়াচং সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়।সর্বপ্রথম ক্রিকেট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে রলি। সেখান থেকেই হবিগঞ্জ নারী ক্রিকেটের কোচ মঈন উদ্দিন সাচ্চু তালুকদারের মাধ্যমে নিজ জেলা হবিগঞ্জ আধুনিক স্টেডিয়ামে খেলার সুযোগ পায় রলি।প্রকৃত পক্ষে রলির ক্রিকেট খেলার হাতেখড়ি হয়েছিল মঈন উদ্দিন তালুকদার সাচ্চুর হাত ধরেই। যার অধম প্রচেষ্টা আর রলির নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আর শ্রমের মাধ্যমে তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সূচনা হয়।এর কয়েকদিন পরই বিকেএসপির প্রমিলা শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্প কর্মসূচি ২০২০-২১ কার্যক্রম শুরু হয়। মা-বাবা এবং শিক্ষক মঈন উদ্দিন তালুকদার সাচ্চুর অনুপ্রেরণায় রলি উক্ত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। সারা বাংলাদেশ থেকে ২০০ জন প্রতিভাবান খেলোয়াড় বাছাই করে ৩ মাসের ১ টা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। ৩ মাসের ক্যাম্পে ২০০ জন খেলোয়াড়দের মধ্যে ১০০ জন প্রতিভাবান খেলোয়াড়কে ৬ মাসের ক্যাম্পের জন্য বাছাই করা হয়।সেই ক্যাম্পে রলি সুযোগ পায়।লাহুমা চৌধুরী রলিই ছিলেন হবিগঞ্জ জেলার একমাত্র ক্রিকেট ইভেন্টের বিকেএসপি বাছাই কার্যক্রমের একজন খেলোয়াড়।তাছাড়া অনূর্ধ্ব -১৭ ১ম বাছাই কার্যক্রমে একমাত্র রলি হবিগন্জ জেলা থেকে সুযোগ পায় এবং পরবর্তী ২য় পর্যায়ের বাছাই ক্রমে অংশগ্রহণ করে। তাছাড়া, ২০২১ এর নভেম্বর এ অনুষ্ঠিত মেয়েদের ঢাকা প্রথম বিভাগ কোয়ালিফাইং টুর্নামেন্টে বুড়িগঙ্গা উইমেন্স ক্রিকেট একাডেমি তে ওপেনার এবং উইকেটরক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে রলি।আর এই টুর্নামেন্টে তাঁদের টিম সেমিফাইনাল উঠেছিলো।এ ব্যাপারে কিশোরী লাহুমা চৌধুরী রলি বলেন,ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট খেলাকে বুকে ধারণ করে নিয়েছি। কঠোর পরিশ্রম এবং আমার পরিবারের সাপোর্ট না থাকলে আমার কখনোই ক্রিকেট খেলা নিয়ে স্বপ্ন বুনা সম্ভব হতো না। আমি ভবিষ্যতে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখি। রলির এই সাফল্যে তাঁর এলাকবাসী, বন্ধু -বান্ধব থেকে শুরু করে সবাই আনন্দিত। রলি যেনো ক্রিকেট খেলে ক্যারিয়ার গড়ার মাধ্যমে বানিয়াচংয়ের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে সেজন্য তাঁর মা-বাবা সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।