নবীগঞ্জের পরিকিয়া প্রেমে আসক্ত এক গৃহবধূ ভাগিনার সাথে পালিয়ে গেছে। উপজেলার দেবপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা যায়, দেবপাড়া পশ্চিমে বিজনা নদীর পাড়ে অসহায় দিন মজুর আমিন মিয়ার বাড়ী।তিনি পেশায় একজন অটো রিকশা শ্রমিক। ২০১১ সালে বিয়ে করেন আমিরুন আক্তারকে। তাদের ঔরসজাত দু’টি শিশু সন্তানও রয়েছে তাদের সংসারে বড় ছেলে কামরুল (৯) ছোট ছেলে সাইদুর (৭)। সংসার জীবনে তারা মোটামুটি সুখ শান্তিতেই কাটাচ্ছিলেন।
আমিন মিয়া জানান, গত বছর থেকে আমিরুন আক্তার তারই পাড়া প্রতিবেশী মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে তার সম্পর্কে ভাগিনা মকবুল নামের ১৬ বছর বয়সী কিশোরের সাথে পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হন তিনি। কয়েকবার ঘর থেকেও পালিয়ে যান মকবুলের হাতধরে। তবে গ্রামবাসী ও স্থানীয় সামাজিক বিচারের মাধ্যমে এমন অপকর্মে আর কখনো জড়িত হবেননা মর্মে তাকে আবারো তৎকালীন সময়ে দিনমজুর শ্রমিক আমীনের ঘরে দেয়া হয়।
এদিকে গত ১২ ফেব্রুয়ারী হবিগঞ্জ নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে হলফনামায় আমিরুন আক্তার তার স্বামীকে তালাক প্রদান করে গোপনে গোপনে মকবুলের সাথে আবারো পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েন।
এঘটনার পর আবারো পাড়া প্রতিবেশী তাকে আমীনের সংসারে থাকার জন্য অনুরোধ করে মকবুলের সঙ্গ ত্যাগ করার জন্য অনুরোধ জানান। তবে আমিরুন আক্তার সে তার সিদ্ধান্তে অটল, সে তার পরকীয়া প্রেমিক ভাগিনা মকবুলের হাতধরে গত মঙ্গলবার আবারো দিনদুপুরে পালিয়ে গিয়ে মকবুলের বাড়িতে চলে যায়৷ এদিকে মকবুলের পরিবার এই সম্পর্ক মেনে না নেওয়াতে স্থানীয় সংরক্ষিত ইউপি মহিলা সদস্য মায়ারুন বেগম সহ এলাকার সামাজিক বিচারকদের মাধ্যমে আমিরুন আক্তারকে তার পূর্বের স্বামীর ঘরে দিতে চাইলে সে তা অনীহা প্রকাশ করে বলে মরতে হলে মকবুলের ঘরেই মরবো, তবুও সে আর কোথাও যাবেনা,যেহেতু মকবুল তাকে ভালবেসে হাত ধরে নিয়ে এসেছে সে মকবুলের কাছথেকে স্ত্রী’র মর্যাদা চায়৷ অপরদিকে কিশোর মকবুলের অপ্রাপ্ত বয়স হওয়াতে সামাজিক বিচারকেরা পড়েন বেকায়দায় তারা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি বলেও অনেকেই বলেন৷
তবে আমিরুন আক্তার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মকবুলের ঘরেই অবস্থান করছেন এবং এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন তিনি মকবুলকেই চান৷
এদিকে তার পূর্বের স্বামী আমিন মিয়া তার দু’টি অবুঝ শিশু সন্তান নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে।
এ প্রতিনিধিকে তিনিও বলেন ভাইজান একবার নয়, আমার স্ত্রী আমিরুন এনিয়ে ৩ বারের মতো আমার ঘরথেকে পালিয়ে গেল এবং আমার উপরে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে আমাকে তালাক প্রদান করল। আমিও আমার সন্তানেরা এই আমিরুনকে আর চাইনা।
এব্যাপারে স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য মায়ারুন বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন স্থানীয় ময়মুরুব্বিয়ান সহ গোপলার বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের সহায়তায় রমজান মাসের পূর্বেও আরেকবার এ বিষয়টি সুরাহা করেছিলেন তারা, তবুও আমিরুন আক্তার বারংবার এমন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছেন৷ যাহা সামাজিকভাবে কখনোই মেনে নেবার মতো নয়।
এ বিষয়ে পরকীয়া প্রেমিক মকবুলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেো তা সম্ভব হয়নি। সে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টেরপেয়ে গা ঢাকা দেয়।
উক্ত ঘটনায় এলাকায় নানা ধরনের মুখরোচক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।