আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে সিইসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের ত্রয়োদশ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। আর নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন চারজন। তারা হলেন বেগম রাশিদা সুলতানা, জেলা ও দায়রা জজ (অবসরপ্রাপ্ত), আহসান হাবীব খান, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মাে. আলমগীর, সিনিয়র সচিব (অবসরপ্রাপ্ত) ও আনিছুর রহমান, সিনিয়র সচিব (অবসরপ্রাপ্ত)।
শনিবার নতুন সিইসি ও চার কমিশনার নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
নতুন সিইসি হাবিবুল আউয়ালের বর্তমান বয়স ৬৬ বছর। তার পৈত্রিক ভিটা চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলা সন্দীপে। কিন্তু বাবার চাকরি সূত্রে তার জন্ম কুমিল্লায়। তার তিন মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছেন।
নতুন সিইসি হাবিবুল আউয়ালের বর্তমান বয়স ৬৬ বছর। তার পৈত্রিক ভিটা চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলা সন্দীপে। কিন্তু বাবার চাকরি সূত্রে তার জন্ম কুমিল্লায়। তার তিন মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছেন।
স্ত্রীর নাম সাহানা আক্তার খানম।হাবিবুল আউয়ালের বাবার নাম কাজী আবদুল আউয়াল, তিনি কারা বিভাগের কর্মকর্তা ছিলেন। ১৯৭৫ সালের নভেম্বরে জেলখানায় জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার বাদী ছিলেন তৎকালীন কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) আবদুল আউয়াল।১৯৭২ সালে খুলনার সেন্ট জোসেফ’স হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং ১৯৭৪ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন হাবিবুল আউয়াল।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেন।তিনি বিসিএস ১৯৮১ ব্যাচে সরকারি চাকরি শুরু করেন মুনসেফ (সহকারী জজ) হিসেবে। ১৯৯৭ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি পান। ২০০০ সালের ডিসেম্বরে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব হন তিনি। অতিরিক্ত সচিব হন ২০০৪ সালে।
আর ২০০৭ সালে পদোন্নতি পেয়ে একই মন্ত্রণালয়ের সচিব হন। সচিব হওয়ার পর ২০০৯ সালে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত আইন মন্ত্রণালয়ে ছিলেন তিনি। এরপর ২০১০ সালে এপ্রিলে ধর্ম সচিব হন হাবিবুল আউয়াল। পরে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব হন। ২০১৪ সালে সেখান থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব হন তিনি। ওই বছরই পদোন্নতি পেয়ে জ্যেষ্ঠ সচিব হন হাবিবুল আউয়াল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবেই ২০১৭ সালে অবসরে যান তিনি। আত্মজীবনীমূলক একাধিক গ্রন্থ রয়েছে হাবিবুল আউয়ালের।সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন