চুনারুঘাটের সদ্য প্রয়াত পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব হুসাইন আলী রাজন ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল জলিলের করব জিয়ারত করলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহ-সভাপতি ও বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী মোঃ আমিনুল ইসলাম।

গতকাল শুক্রবার (২৭ জুন) বাদ জুম্মার নামাজ শেষে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী আমিনুল ইসলাম ও চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এপিপি অ্যাডভোকেট মীর সিরাজ সহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে পৌর শহরের পাকুরিয়া ও ধলাইপাড় গ্রামে পৃথক পৃথক স্থানে কবর জিয়ারত শেষে পরিবারে সদস্যদের সাথে দেখা করেন। এসময় দুই বিএনপি নেতার পরিবারের সদস্যদের খুঁজ খবর নেন এবং পাশে থাকার কথা জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল করিম সরকার, মাস্টার আব্দুল ওয়াদুদ খান, রানীগাও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, আহাম্মদবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামীম আজাদ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক রফিক তালুকদার, যুবদল নেতা নাসির উদ্দিন, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব কামরুল হাসান মাসুম, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আরিফুর রহমান, ছাত্রদল নেতা ইমন সহ বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
পরিবারের সাক্ষাতকালে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন-সময় পেলে দলের প্রয়াত নেতাদের পরিবারের খুঁজ নেই। যতটুকু পারি সহযোগিতার চেষ্টা করি। এরই ধারাবাহিকতায় দলের দুর্দিনের সহযোগী ও নির্যাতিত নেতাদের পরিবারের পাশে ভবিষ্যতেও থাকতে চেষ্টা করবো।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি চুনারুঘাট পৌর শহরের পাকুরিয়া এলাকার হুসাইন আলী রাজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পৌর বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে গেছেন। এছাড়াও তিনি ১০নং মিরাশী ইউপির চেয়ারম্যান ছিলেন এবং দলের নিবেদিত কর্মী ছিলেন।
উপজেলার বিশিষ্ট মুরুব্বি হিসেবেও তার সুনাম ছিল। অপরদিকে রাজন চেয়ারম্যানের মৃত্যুর কিছুদিন পরই কাউন্সিলর আব্দুল জলিলও মারা যান। তিনি পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন।
দলের একজন নিবেদিত প্রাণ ছিলেন আব্দুল জলিল। পৌরসভার কাউন্সিলর ও বিচার আচার সহ মুরুব্বি হিসেবে বেশ সুনাম ছিল।