হবিগঞ্জ ০৬:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চুনারুঘাটে ৩ দিনব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধন Logo আগুনে পুড়ে যাওয়া স্বপ্নগুলো: শিক্ষকের চোঁখে মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি Logo চুনারুঘাটে পারফরম্যান্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশন স্কিমের পুরস্কার বিতরণ Logo ঢাকায় জাতীয় মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে চুনারুঘাটে জামায়াতে ইসলামীর প্রচার মিছিল Logo জন্মদিন: একটি আত্ম-অন্বেষণের উপলক্ষ-শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেন Logo মশিউর রহমান খান জুমেলের পৃষ্ঠপোষকতায় চা-বাগানের সবুজের বুকে ‘বিউটিফুল চুনারুঘাট’ এর নামফলকের উদ্বোধন Logo চুনারুঘাটের এ.জেট.টি মডেল একাডেমির জমজ দুই বোনের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন Logo প্রাথমিকের স্কুলে পবিত্র আল-কোরআনের ভাস্কর্য Logo সুনামগঞ্জ-১ আসনে কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের নেতা আসাদ মুরাদ তালুকদার প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় Logo আজমিরীগঞ্জে ইঁদুরের বিষ খেয়ে যুবকের আত্মহত্যা

চুনারুঘাটে চাঞ্চল্যকর আকল মিয়া হত্যা মামলায় প্রধান আসামি রঞ্জনের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

  • রেজাউল করিমঃ
  • আপডেট সময় ০২:২৪:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৭৪ বার পড়া হয়েছে

চুনারুঘাট উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত ও বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন আকল মিয়া হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি রঞ্জন চন্দ্র পালের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

আজ মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর ) দুপুর ১২টায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল আলিম তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে সেচ্চায় আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর শরীফ মো: রেজাউল করিম ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

উল্লে­খ্য, ২০১৮ সালের ১মার্চ ভোরে চুনারুঘাট শহরের বাল্লা রোডের বাসা থেকে বের হয়ে মসজিদে ফজরের নামজে যাওয়ার পথে বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন আকল মিয়াকে হামলা করলে তিনি গুরুতর আহত হন।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতর বড় ছেলে এডভোকেট নাজমুল ইসলাম বকুল ঘটনার পরদিন রঞ্জন চন্দ্র পালকে প্রধান আসামি করে ৪জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে ঘটনার পর থেকে মামলার প্রধান আসামি রঞ্জন চন্দ্র পাল পলাতক ছিলেন। দীর্ঘ সাড়ে ৫ বছর পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নিহতের ছেলে নাজমুল ইসলাম বকুল জানান, আমার পিতা বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত থেকে দীর্ঘদিন যাবত চুনারুঘাট থানার মুরুব্বী হিসাবে বিভিন্ন সালিশ বিচারে বিচারকের ভূমিকা পালন করেছেন। বাজারের ব্যাবসায়ী মৃত চান মিয়া মহাজন তালুকদারের একটি ভুমি আসামি রঞ্জল পাল ও কুতুব আলী ভুয়া দলিল সৃষ্টি দখল করার চেষ্টা করেন।

এ বিষয়টি নিয়ে চান মিয়ার মেয়ে শিরিন আক্তার বাজারের সভাপতি আকল মিয়ার শরণাপন্ন হন। আকল মিয়ার ভুমিকার কারনে রঞ্জন চন্দ্র পাল ও কুতুব আলী ভূমি দখল নিতে পারেননি। এরই জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পনা করে আকল মিয়াকে হত্যা করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হবিগঞ্জ পিবিআই ইন্সপেক্টর শরীফ মো. রেজাউল করীম বলেন, প্রধান আসামি রঞ্জন পাল কে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত ২দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

আশা করি তাকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ হত্যায় আরো যারা জড়িত তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

চুনারুঘাটে ৩ দিনব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধন

চুনারুঘাটে চাঞ্চল্যকর আকল মিয়া হত্যা মামলায় প্রধান আসামি রঞ্জনের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

আপডেট সময় ০২:২৪:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩

চুনারুঘাট উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত ও বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন আকল মিয়া হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি রঞ্জন চন্দ্র পালের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

আজ মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর ) দুপুর ১২টায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল আলিম তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে সেচ্চায় আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর শরীফ মো: রেজাউল করিম ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

উল্লে­খ্য, ২০১৮ সালের ১মার্চ ভোরে চুনারুঘাট শহরের বাল্লা রোডের বাসা থেকে বের হয়ে মসজিদে ফজরের নামজে যাওয়ার পথে বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন আকল মিয়াকে হামলা করলে তিনি গুরুতর আহত হন।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতর বড় ছেলে এডভোকেট নাজমুল ইসলাম বকুল ঘটনার পরদিন রঞ্জন চন্দ্র পালকে প্রধান আসামি করে ৪জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে ঘটনার পর থেকে মামলার প্রধান আসামি রঞ্জন চন্দ্র পাল পলাতক ছিলেন। দীর্ঘ সাড়ে ৫ বছর পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নিহতের ছেলে নাজমুল ইসলাম বকুল জানান, আমার পিতা বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত থেকে দীর্ঘদিন যাবত চুনারুঘাট থানার মুরুব্বী হিসাবে বিভিন্ন সালিশ বিচারে বিচারকের ভূমিকা পালন করেছেন। বাজারের ব্যাবসায়ী মৃত চান মিয়া মহাজন তালুকদারের একটি ভুমি আসামি রঞ্জল পাল ও কুতুব আলী ভুয়া দলিল সৃষ্টি দখল করার চেষ্টা করেন।

এ বিষয়টি নিয়ে চান মিয়ার মেয়ে শিরিন আক্তার বাজারের সভাপতি আকল মিয়ার শরণাপন্ন হন। আকল মিয়ার ভুমিকার কারনে রঞ্জন চন্দ্র পাল ও কুতুব আলী ভূমি দখল নিতে পারেননি। এরই জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পনা করে আকল মিয়াকে হত্যা করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হবিগঞ্জ পিবিআই ইন্সপেক্টর শরীফ মো. রেজাউল করীম বলেন, প্রধান আসামি রঞ্জন পাল কে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত ২দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

আশা করি তাকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ হত্যায় আরো যারা জড়িত তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।