হবিগঞ্জ ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ মিরাশী ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে ঈদ পূণর্মিলনী Logo ঈদযাত্রায় মহাসড়কে পুলিশের টহল জোরদার, সিলেটবাসীর নির্বিঘ্ন ঘরে ফেরা Logo ঈদে অর্ধশতাধিক এতিমদের মুখে হাসি ফোটালেন ছাত্রদল নেতা আল সাইমুম আহাদ Logo চুনারুঘাটে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালন Logo মাধবপুরে ‎হাত ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে Logo মাধবপুরে বেড়েছে, মাদক ও ছিনতাইয়ের সন্ত্রাসে জনজীবন অতিষ্ঠ Logo টানা বৃষ্টিপাতে মাধবপুরে মহাসড়কসহ বিভিন্ন জায়গা প্লাবিত Logo চুনারুঘাটে পানিতে ডুবে ভাইবোনের এক সাথে মৃত্যু Logo চুনারুঘাটে তহশিলদার মইনুল ইসলামে সততার ঈর্ষান্বিত হয়ে সংবাদ প্রকাশ Logo চুনারুঘাটে ফের ২২ বাংলাদেশীকে পুশইন করেছে বিএসএফ

চুনারুঘাটে চাঞ্চল্যকর আকল মিয়া হত্যা মামলায় প্রধান আসামি রঞ্জনের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

  • রেজাউল করিমঃ
  • আপডেট সময় ০২:২৪:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৬৭ বার পড়া হয়েছে

চুনারুঘাট উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত ও বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন আকল মিয়া হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি রঞ্জন চন্দ্র পালের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

আজ মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর ) দুপুর ১২টায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল আলিম তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে সেচ্চায় আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর শরীফ মো: রেজাউল করিম ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

উল্লে­খ্য, ২০১৮ সালের ১মার্চ ভোরে চুনারুঘাট শহরের বাল্লা রোডের বাসা থেকে বের হয়ে মসজিদে ফজরের নামজে যাওয়ার পথে বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন আকল মিয়াকে হামলা করলে তিনি গুরুতর আহত হন।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতর বড় ছেলে এডভোকেট নাজমুল ইসলাম বকুল ঘটনার পরদিন রঞ্জন চন্দ্র পালকে প্রধান আসামি করে ৪জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে ঘটনার পর থেকে মামলার প্রধান আসামি রঞ্জন চন্দ্র পাল পলাতক ছিলেন। দীর্ঘ সাড়ে ৫ বছর পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নিহতের ছেলে নাজমুল ইসলাম বকুল জানান, আমার পিতা বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত থেকে দীর্ঘদিন যাবত চুনারুঘাট থানার মুরুব্বী হিসাবে বিভিন্ন সালিশ বিচারে বিচারকের ভূমিকা পালন করেছেন। বাজারের ব্যাবসায়ী মৃত চান মিয়া মহাজন তালুকদারের একটি ভুমি আসামি রঞ্জল পাল ও কুতুব আলী ভুয়া দলিল সৃষ্টি দখল করার চেষ্টা করেন।

এ বিষয়টি নিয়ে চান মিয়ার মেয়ে শিরিন আক্তার বাজারের সভাপতি আকল মিয়ার শরণাপন্ন হন। আকল মিয়ার ভুমিকার কারনে রঞ্জন চন্দ্র পাল ও কুতুব আলী ভূমি দখল নিতে পারেননি। এরই জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পনা করে আকল মিয়াকে হত্যা করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হবিগঞ্জ পিবিআই ইন্সপেক্টর শরীফ মো. রেজাউল করীম বলেন, প্রধান আসামি রঞ্জন পাল কে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত ২দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

আশা করি তাকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ হত্যায় আরো যারা জড়িত তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ মিরাশী ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে ঈদ পূণর্মিলনী

চুনারুঘাটে চাঞ্চল্যকর আকল মিয়া হত্যা মামলায় প্রধান আসামি রঞ্জনের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

আপডেট সময় ০২:২৪:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩

চুনারুঘাট উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত ও বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন আকল মিয়া হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি রঞ্জন চন্দ্র পালের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

আজ মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর ) দুপুর ১২টায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল আলিম তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে সেচ্চায় আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর শরীফ মো: রেজাউল করিম ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

উল্লে­খ্য, ২০১৮ সালের ১মার্চ ভোরে চুনারুঘাট শহরের বাল্লা রোডের বাসা থেকে বের হয়ে মসজিদে ফজরের নামজে যাওয়ার পথে বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন আকল মিয়াকে হামলা করলে তিনি গুরুতর আহত হন।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতর বড় ছেলে এডভোকেট নাজমুল ইসলাম বকুল ঘটনার পরদিন রঞ্জন চন্দ্র পালকে প্রধান আসামি করে ৪জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে ঘটনার পর থেকে মামলার প্রধান আসামি রঞ্জন চন্দ্র পাল পলাতক ছিলেন। দীর্ঘ সাড়ে ৫ বছর পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নিহতের ছেলে নাজমুল ইসলাম বকুল জানান, আমার পিতা বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত থেকে দীর্ঘদিন যাবত চুনারুঘাট থানার মুরুব্বী হিসাবে বিভিন্ন সালিশ বিচারে বিচারকের ভূমিকা পালন করেছেন। বাজারের ব্যাবসায়ী মৃত চান মিয়া মহাজন তালুকদারের একটি ভুমি আসামি রঞ্জল পাল ও কুতুব আলী ভুয়া দলিল সৃষ্টি দখল করার চেষ্টা করেন।

এ বিষয়টি নিয়ে চান মিয়ার মেয়ে শিরিন আক্তার বাজারের সভাপতি আকল মিয়ার শরণাপন্ন হন। আকল মিয়ার ভুমিকার কারনে রঞ্জন চন্দ্র পাল ও কুতুব আলী ভূমি দখল নিতে পারেননি। এরই জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পনা করে আকল মিয়াকে হত্যা করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হবিগঞ্জ পিবিআই ইন্সপেক্টর শরীফ মো. রেজাউল করীম বলেন, প্রধান আসামি রঞ্জন পাল কে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত ২দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

আশা করি তাকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ হত্যায় আরো যারা জড়িত তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।