হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে মেয়ের জামাতার ছুরিকাঘাতে শ্বশুর নুর আলম (৪৯) হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি জামাতা সেলিমকে (৩০) কে ৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার (১০ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকার ডেউয়াতলি গ্রামের মসজিদের পাশ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেলিম ইউনিয়নের উত্তর কালিনগর এলাকার আবু মিয়ার ছেলে।
টানা পাঁচ ঘণ্টার অভিযানে হত্যাকাণ্ডের আট ঘণ্টার মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করা হলো। চুনারুঘাট থানার ওসি রাশেদুল হকের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফাসহ পুলিশের একটি দল অভিযানে অংশ নেন।
চুনারুঘাট থানার অফিসার (ওসি) রাশেদুল হক জানান, হত্যারকান্ডের পর থেকেই আমাদের অভিযান শুরু হয়। আমরা ৮ঘন্টার মধ্যেই আসামি গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি আরো জানান, সেলিম পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তার তথ্য অনুযায়ী, হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে নুর আলমের মেয়ে লিজু বেগমকে বিয়ে করে সেলিম। সংসারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শ্বশুরের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব ছিল।
এর জেরে গত ২ জুলাই স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে সেলিম তার স্ত্রীকে মারধর করে। পরে লিজু চুনারুঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
আরও জানা গেছে, জামাতার অনুপস্থিতিতে নুর আলম তার পরিবারের লোকজনকে গালাগাল ও ভয়ভীতি দেখান। বিষয়টি জানতে পেরে রোববার দুপুরে সেলিম বাড়িতে ফিরে সন্ধ্যার পর শ্বশুরবাড়ি যায়।
সেখানে স্ত্রী ও শ্বশুরের সঙ্গে কথা কাটাকটি হয়। পরে হাতাহাতির একপর্যায়ে সেলিম ঘরে থাকা ধারালো ছুরি নিয়ে শ্বশুরের বুকে ও মুখে আঘাত ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনার পর জামাই পালিয়ে যায়।
এরপর পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট তাকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান শুরু করে। ৫ ঘণ্টার অভিযানে নিজ গ্রামের পাহাড়ি এলাকা থেকে সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।