হবিগঞ্জ ১২:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জেলার শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী অফিসার এসআই রিপটন Logo জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নুর আলম Logo এডভোকেট নজরুল ইসলাম চুনারুঘাট উপজেলার শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচিত Logo চুনারুঘাটে জমি-জমা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১: গ্রেপ্তার ২ Logo চুনারুঘাটে সেপ্টেম্বরে ১ লাখ শিশু-কিশোরকে টাইফয়েড ভ্যাকসিন প্রদানের সিদ্ধান্ত Logo সাংবাদিক তুহিনকে হত্যার প্রতিবাদে চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের মানববন্ধন Logo চুনারুঘাটে ট্রাক শ্রমিকের উপর হামলার ঘটনায় জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিবাদ সভা Logo চুনারুঘাটে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবসে অভিজ্ঞতা সনদ ও চেক বিতরণ Logo চুনারুঘাট সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন Logo চুনারুঘাটে ৩ দিনব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধন

চুনারুঘাট পৌর শহরের অবৈধ টমটম পার্কিং যানজটের ভোগান্তির যেন শেষ নেই

বিশেষ করে ফাইমফুড, মধ্যবাজার থেকে বাল্লা রোডে সব জায়গা পার্কিং করে শাড়িবদ্ধ থাকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত

চুনারুঘাট পৌর শহরে যত্রতত্র ব্যাটারি চালিত অবৈধ টমটম পার্কিং দিন দিন বেড়েই চলছে। ফলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যানজট পোহাতে হয় পথচারীসহ স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী। যানজটের কারণে ভোগান্তির যেন শেষ নেই।
পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে একাধিক যানবাহনের অবৈধ স্ট্যান্ড। সড়কের দুই পাশে, আনাচে-কানাচে অবৈধ স্ট্যান্ডের ছড়াছড়িতে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। বেড়েছে জনগণের ভোগান্তি।
এদিকে অবৈধ স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন মোটা অঙ্কের চাঁদা লেনদেন হয় বলে জানা গেছে। কিন্ত টমটমের কোন ধরনে সরকারি অনুমতি নেই তবুও তারা সড়কে অবৈধভাবে পৌর শহরের যানজট সৃষ্টি সহ নানান ভোগান্তি তৈরি করছে। এ ভোগান্তি থেকে বাঁচতে চায় চুনারুঘাটের ৪ লাখ মানুষ।
অবৈধ স্ট্যান্ডের বিষয়টি একাধিকবার প্রশাসনের অভিযান হলেও অদৃশ্য কারণে স্ট্যান্ডগুলোও এখনো বহাল রয়েছে। এমনকি অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করতে একাধিকবার উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভার উদ্যোগ নেয়। কিন্ত কয়েকদিন গেলে আবার তারা পুরোনো স্থানেই ফিরে যায়। নিয়ম না মেনে এখনো বহাল রয়েছে অবৈধ স্ট্যান্ড। এসব স্ট্যান্ড এখন পৌরবাসীর জন্য ‘বিষফোড়া’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চুনারুঘাট উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার, টমটম মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে পৌর শহরের ৪টি স্ট্যান্ড রাখার সিদ্ধান্ত হয়। যথা উত্তর বাজার, দক্ষিণ বাসন্ট্যান্ড, বাল্লা রোডের আলিম উল্লাহ মাদ্রাসার সামন ও সতং রোড। কিন্ত এসব স্ট্যান্ডের বাহিরেও পৌর রয়েছে অসংখ্য স্ট্যান্ড।
সরেজমিনে দেখা যায়, টমটম চালকরা মূল স্ট্যান্ডে না গিয়ে অঘোষিতভাবে বানানো চুনারুঘাট প্রাইমফুডের সামন, মধ্যবাজার, বাল্লা রোড, ঈদগাও এর সামন, হাসপাতাল গেইট সহ সারা বাজারেই অবৈধ স্ট্যান্ড বানিয়ে রাখছে টমটম চালকরা। ফলে শহরে অবৈধ স্ট্যান্ডের কারণে অতিরিক্ত যানজটের সম্মুখীন হচ্ছে নগরবাসী।
এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী সামিউল রুবেল বলেন, দোকানের সামনে টমটম স্ট্যান্ড করায় আমার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে অনেক তির সম্মুখীন হতে হয়। এর ফলে দোকানে কাস্টমার প্রবেশে বাঁধা সৃষ্টি করে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ও মহিলা কাস্টমার টমটম দাড়িয় থাকায় কারনে দোকানে ডুকতে পারেনা। এ বিষয়ে আমি উপজেলা প্রশাসনের নিকট অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্ত কোন প্রতিকার পাচ্ছিনা।

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র সাইফুল আলম রুবেল বলেন-টমটম চালকদের নিয়ে আমরা একাধিকবার বসেছি। তাদের নির্ধারিত স্থান স্ট্যান্ডে যেতে বলা হয়েছে। আমরা প্রশাসনকে সাথে নিয়ে অভিযান চালিয়ে জরিমানাও আদায় করা হয়েছে। আমি চাই চুনারুঘাট পৌর শহর যানজট মুক্ত হোক। খুবই শীঘ্রই তাদের অবৈধ টমটম পার্কিং এর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

 

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

জেলার শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী অফিসার এসআই রিপটন

চুনারুঘাট পৌর শহরের অবৈধ টমটম পার্কিং যানজটের ভোগান্তির যেন শেষ নেই

আপডেট সময় ১১:০৫:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২

বিশেষ করে ফাইমফুড, মধ্যবাজার থেকে বাল্লা রোডে সব জায়গা পার্কিং করে শাড়িবদ্ধ থাকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত

চুনারুঘাট পৌর শহরে যত্রতত্র ব্যাটারি চালিত অবৈধ টমটম পার্কিং দিন দিন বেড়েই চলছে। ফলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যানজট পোহাতে হয় পথচারীসহ স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী। যানজটের কারণে ভোগান্তির যেন শেষ নেই।
পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে একাধিক যানবাহনের অবৈধ স্ট্যান্ড। সড়কের দুই পাশে, আনাচে-কানাচে অবৈধ স্ট্যান্ডের ছড়াছড়িতে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। বেড়েছে জনগণের ভোগান্তি।
এদিকে অবৈধ স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন মোটা অঙ্কের চাঁদা লেনদেন হয় বলে জানা গেছে। কিন্ত টমটমের কোন ধরনে সরকারি অনুমতি নেই তবুও তারা সড়কে অবৈধভাবে পৌর শহরের যানজট সৃষ্টি সহ নানান ভোগান্তি তৈরি করছে। এ ভোগান্তি থেকে বাঁচতে চায় চুনারুঘাটের ৪ লাখ মানুষ।
অবৈধ স্ট্যান্ডের বিষয়টি একাধিকবার প্রশাসনের অভিযান হলেও অদৃশ্য কারণে স্ট্যান্ডগুলোও এখনো বহাল রয়েছে। এমনকি অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করতে একাধিকবার উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভার উদ্যোগ নেয়। কিন্ত কয়েকদিন গেলে আবার তারা পুরোনো স্থানেই ফিরে যায়। নিয়ম না মেনে এখনো বহাল রয়েছে অবৈধ স্ট্যান্ড। এসব স্ট্যান্ড এখন পৌরবাসীর জন্য ‘বিষফোড়া’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চুনারুঘাট উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার, টমটম মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে পৌর শহরের ৪টি স্ট্যান্ড রাখার সিদ্ধান্ত হয়। যথা উত্তর বাজার, দক্ষিণ বাসন্ট্যান্ড, বাল্লা রোডের আলিম উল্লাহ মাদ্রাসার সামন ও সতং রোড। কিন্ত এসব স্ট্যান্ডের বাহিরেও পৌর রয়েছে অসংখ্য স্ট্যান্ড।
সরেজমিনে দেখা যায়, টমটম চালকরা মূল স্ট্যান্ডে না গিয়ে অঘোষিতভাবে বানানো চুনারুঘাট প্রাইমফুডের সামন, মধ্যবাজার, বাল্লা রোড, ঈদগাও এর সামন, হাসপাতাল গেইট সহ সারা বাজারেই অবৈধ স্ট্যান্ড বানিয়ে রাখছে টমটম চালকরা। ফলে শহরে অবৈধ স্ট্যান্ডের কারণে অতিরিক্ত যানজটের সম্মুখীন হচ্ছে নগরবাসী।
এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী সামিউল রুবেল বলেন, দোকানের সামনে টমটম স্ট্যান্ড করায় আমার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে অনেক তির সম্মুখীন হতে হয়। এর ফলে দোকানে কাস্টমার প্রবেশে বাঁধা সৃষ্টি করে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ও মহিলা কাস্টমার টমটম দাড়িয় থাকায় কারনে দোকানে ডুকতে পারেনা। এ বিষয়ে আমি উপজেলা প্রশাসনের নিকট অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্ত কোন প্রতিকার পাচ্ছিনা।

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র সাইফুল আলম রুবেল বলেন-টমটম চালকদের নিয়ে আমরা একাধিকবার বসেছি। তাদের নির্ধারিত স্থান স্ট্যান্ডে যেতে বলা হয়েছে। আমরা প্রশাসনকে সাথে নিয়ে অভিযান চালিয়ে জরিমানাও আদায় করা হয়েছে। আমি চাই চুনারুঘাট পৌর শহর যানজট মুক্ত হোক। খুবই শীঘ্রই তাদের অবৈধ টমটম পার্কিং এর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।