হবিগঞ্জ ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও মাধবপুর থানায় ও তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধে লাগানো বিকৃত ইতিহাস Logo ভূমি প্রশাসন সহকারী সমিতির জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান Logo চুনারুঘাট প্রাণী সেবা কল্যাণ সমিতির ইফতার মাহফিল ও আত্মপ্রকাশ Logo চুনারুঘাটে সায়হাম গ্রুপের উদ্যোগে ৪ হাজার প্যাকেট ইফতার সামগ্রী বিতরণ Logo তৌহিদীর জনতার নামে তাবলীগের মুসল্লীদের ‘কাফের’ ঘোষণা দিয়ে মসজিদে হামলা Logo চুনারুঘাটে চাঁদাবাজী ও মারপিটের মামলা করায় বাদী ও স্বাক্ষীর ৭০টি ফলজাত গাছ কর্তন  Logo হবিগঞ্জে আইএফআইসি ব্যাংকের সকল শাখা-উপশাখায় উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও এতিম শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ Logo মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পেটানোর ঘটনার আসামী আদালতে হাজির, কারাগারে প্রেরণ Logo লাখাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক ছাত্রকে পিটিয়ে আহত Logo বাহুবলে রশিদপুর গ্যাসফিল্ডে গাছ ফেলে ঘন্টাব্যাপী ডাকাতি

চীন ‘আকর্ষণীয় ও সাশ্রয়ী’ প্রস্তাবসহ ‘টাকার ঝুড়ি’ নিয়ে এগিয়ে আসছে, মোমেন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৫৮:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ২৩০ বার পড়া হয়েছে

আলোকিত ডেস্ক:

বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অবকাঠামোর চাহিদা পূরণে অনেক দেশ যখন সহযোগিতা কমিয়ে দিচ্ছে, তখন চীন ‘আকর্ষণীয় ও সাশ্রয়ী’ প্রস্তাবসহ ‘টাকার ঝুড়ি’ নিয়ে এগিয়ে আসছে।  শনিবার মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন-২০২২ এর দ্বিতীয় দিনে ‘এ সি চেঞ্জ : রিজিওনাল অর্ডার অ্যান্ড সিকিউরিটি ইন দ্য ইন্দো-প্যাসিফিক’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন উপরোক্ত এ কথাগুলো বলেছেন।

এ সময় ড. মোমেন বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিক থেকে বাংলাদেশ ‘বেশ ভালো’ করছে এবং এ জন্য সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাও বেড়েছে। তারা উন্নত জীবনের জন্য আরও সুযোগ-সুবিধা চায় এবং দেশে আরও অবকাঠামোগত সুবিধার চাহিদা রয়েছে। কিন্তু আমাদের কাছে টাকা নেই, প্রযুক্তিও নেই।

তিনি বলেন, জনসাধারণের চাহিদা মেটাতে তাদের আরও উন্নয়নের প্রয়োজন, অপরদিকে বিভিন্ন দেশ থেকে সহযোগিতা কমছে। তবে চীন ‘আকর্ষণীয় ও সাশ্রয়ী’ প্রস্তাবসহ ‘টাকার ঝুড়ি’ নিয়ে এগিয়ে আসছে।

এ সময় ড. মোমেন জাপানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তারা অন্যতম ভালো বন্ধু এবং দেশটি বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করছে। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকল্পে বাংলাদেশকে ভারত লাইন অব ক্রেডিট দিচ্ছে উল্লেখ করে ভারতকেও ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, জনগণের আরও অবকাঠামোগত উন্নয়নের চাহিদা রয়েছে। এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উন্নয়ন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে আরও তহবিল প্রয়োজন। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে সর্বোচ্চ ঋণ নিয়েছে।

ড. মোমেনের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জয়শঙ্কর বলেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ‘প্রতিযোগিতামূলক’ এবং প্রতিটি দেশই সুযোগ খুঁজবে। কিন্তু সেটি করার সময় তাদের নিজের স্বার্থে বিচক্ষণ হওয়া এবং কী পাচ্ছে না পাচ্ছে সে সম্পর্কে বিবেচক হতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমাদের অঞ্চলসহ বিভিন্ন দেশ বৃহৎ ঋণে জর্জরিত। আমরা দেখতে পাচ্ছি এমন প্রকল্প যা বাণিজ্যিকভাবে টেকসই না; বিমানবন্দর যেখানে বিমান আসে না; বন্দর যেখানে জাহাজ আসে না। আমি আশা করি, নীতিনির্ধারকরা আরও বিবেচক হবেন এবং নিজেদের জিজ্ঞেস করবেন আমরা আসলে কী পাচ্ছি! আমি মনে করি, অবহিত সিদ্ধান্ত নেওয়া আমাদের সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে অবশ্যই তা খুবই প্রতিযোগিতামূলক সিদ্ধান্ত হতে হবে।

সূত্র: ঢাকা পোস্ট।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও মাধবপুর থানায় ও তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধে লাগানো বিকৃত ইতিহাস

চীন ‘আকর্ষণীয় ও সাশ্রয়ী’ প্রস্তাবসহ ‘টাকার ঝুড়ি’ নিয়ে এগিয়ে আসছে, মোমেন

আপডেট সময় ১০:৫৮:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২২

আলোকিত ডেস্ক:

বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অবকাঠামোর চাহিদা পূরণে অনেক দেশ যখন সহযোগিতা কমিয়ে দিচ্ছে, তখন চীন ‘আকর্ষণীয় ও সাশ্রয়ী’ প্রস্তাবসহ ‘টাকার ঝুড়ি’ নিয়ে এগিয়ে আসছে।  শনিবার মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন-২০২২ এর দ্বিতীয় দিনে ‘এ সি চেঞ্জ : রিজিওনাল অর্ডার অ্যান্ড সিকিউরিটি ইন দ্য ইন্দো-প্যাসিফিক’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন উপরোক্ত এ কথাগুলো বলেছেন।

এ সময় ড. মোমেন বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিক থেকে বাংলাদেশ ‘বেশ ভালো’ করছে এবং এ জন্য সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাও বেড়েছে। তারা উন্নত জীবনের জন্য আরও সুযোগ-সুবিধা চায় এবং দেশে আরও অবকাঠামোগত সুবিধার চাহিদা রয়েছে। কিন্তু আমাদের কাছে টাকা নেই, প্রযুক্তিও নেই।

তিনি বলেন, জনসাধারণের চাহিদা মেটাতে তাদের আরও উন্নয়নের প্রয়োজন, অপরদিকে বিভিন্ন দেশ থেকে সহযোগিতা কমছে। তবে চীন ‘আকর্ষণীয় ও সাশ্রয়ী’ প্রস্তাবসহ ‘টাকার ঝুড়ি’ নিয়ে এগিয়ে আসছে।

এ সময় ড. মোমেন জাপানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তারা অন্যতম ভালো বন্ধু এবং দেশটি বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করছে। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকল্পে বাংলাদেশকে ভারত লাইন অব ক্রেডিট দিচ্ছে উল্লেখ করে ভারতকেও ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, জনগণের আরও অবকাঠামোগত উন্নয়নের চাহিদা রয়েছে। এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উন্নয়ন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে আরও তহবিল প্রয়োজন। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে সর্বোচ্চ ঋণ নিয়েছে।

ড. মোমেনের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জয়শঙ্কর বলেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ‘প্রতিযোগিতামূলক’ এবং প্রতিটি দেশই সুযোগ খুঁজবে। কিন্তু সেটি করার সময় তাদের নিজের স্বার্থে বিচক্ষণ হওয়া এবং কী পাচ্ছে না পাচ্ছে সে সম্পর্কে বিবেচক হতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমাদের অঞ্চলসহ বিভিন্ন দেশ বৃহৎ ঋণে জর্জরিত। আমরা দেখতে পাচ্ছি এমন প্রকল্প যা বাণিজ্যিকভাবে টেকসই না; বিমানবন্দর যেখানে বিমান আসে না; বন্দর যেখানে জাহাজ আসে না। আমি আশা করি, নীতিনির্ধারকরা আরও বিবেচক হবেন এবং নিজেদের জিজ্ঞেস করবেন আমরা আসলে কী পাচ্ছি! আমি মনে করি, অবহিত সিদ্ধান্ত নেওয়া আমাদের সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে অবশ্যই তা খুবই প্রতিযোগিতামূলক সিদ্ধান্ত হতে হবে।

সূত্র: ঢাকা পোস্ট।