হবিগঞ্জের মাধবপুরে শিক্ষকের বেতের আঘাতে এক স্কুল শিক্ষার্থীর চোখে গুরুতর জখম হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীর নাম মেহেদি হাসান (৪)।
সে চৌমুহনী ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও একই গ্রামের মোতালিব মিয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাকিরুল হাসান জানিয়েছেন,আগামীকাল ওই ক্লাসটারের সহকারী শিক্ষা অফিসারকে সাথে নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার খোঁজখবর নেবেন।
জানা যায়,আজ বুধবার (১৬ আগস্ট) বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে বানিয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোর্শেদা বেগম দুষ্টুমি করার অভিযোগে শ্রেণীকক্ষে অবস্থানরত মেহেদি হাসানকে লক্ষ্য করে সজোরে তার হাতে থাকা বাঁশের বেত ছুড়ে মারেন।
এটি মেহেদি হাসানের ডান চোখে গিয়ে আঘাত করে।এতে মেহেদি হাসানের চোখ রক্তাক্ত জখম হয়। বর্তমানে মেহেদি হাসান ঢাকাস্থ আগারগাও চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে তার পিতা মোতালিব মিয়া জানিয়েছেন।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে মোতালিব মিয়া জানান,মেহেদি হাসানের চোখের অবস্থা ভালো নয়।বর্তমানে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।তিনি শিক্ষক মোর্শেদার এমন অমানবিক আচরণের বিচার দাবি করেছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের মোবাইলে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাকিরুল হাসান জানান, ‘অভিযোগ পেয়েছি।ঘটনা সম্পর্কে জানতে আগামীকাল আমি নিজে বিদ্যালয়ে যাবো।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহ্সান জানান,
‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।শিক্ষা অফিসারকে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলে দিয়েছি।’