নিজে প্রতিষ্ঠিত একাডেমির ৪৯ লাখ টাকার বাস বিক্রি করে নারী ফুটবলারদের খেলতে মায়ানমার পাঠাবেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এদিকে সাফ জয়ের পর থেকে কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের।
তাই বাফুফের এমন কর্মকান্ডে হতাশা প্রকাশ করেছেন সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয় মুখ ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এদিকে সাবিনা-কৃষ্ণা রানীদের জন্য নিজের একাডেমির বাস ৪০ লাখ টাকায় বিক্রি করে তাদের পাশে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন।
গত মাসে সিঙ্গাপুর যাওয়ার কথা থাকলেও সেটা বাতিল হয়। এদিকে অর্থের অভাবে সাবিনা খাতুনদের মায়ানমার সফর বাতিল হলো। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ জানিয়েছেন, আর্থিক কারণে আমরা সফরটি করতে পারছি না।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘বাংলাদেশ তো দেউলিয়া হয়নি। দেউলিয়া যারা হয়েছে পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কার মতো দেশ তারাও কিন্তু দল পাঠাচ্ছে বিদেশে খেলার জন্য।
আর আমার দেশ যাবে বাছাই পর্ব খেলতে এবং বাছাইতে যদি তারা জিতে, তারা ফ্রান্সে অলম্পিক খেলতে ২০২৪ যাবে।
আর এখানে আমার ফুটবল ফেডারেশন বলছে অর্থের অভাবে যেতে পারবে না মেয়েরা। অথচ এই ফুটবল ফেডারশন ১০০ কোটি টাকা খরচ করে মেসির আর্জেন্টিনাকে আনার কথা বলছে।
যা জানাল বিসিবি তিনি আরও যোগ করেন, ‘ফুটবল ফেডারশনকে বলতে চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে গেলে তিনি কখনও এদেরকে ফেলে দিবেন না।
তারপরও যদি কেউ খবর না দেয় আমি আপনাদেরকে দায়িত্ব নিয়ে বলছি- একটা বাস আছে (ব্যারিস্টার সুমন একাডেমি), আমার ফুটবল একাডেমির জন্য ছয় মাস আগে কিনেছি ৪৯ লাখ দিয়ে।
আমি এখন যদি বিক্রি করতে চাই ৪০ লাখ টাকা পাবো, প্রয়জোনে এখন ৪০ লাখ দিচ্ছি তারপরও মেয়েদেরকে পাঠান।
আমার একাডেমি দুই দিন পর নাও থাকতে পারে কিন্তু বাংলাদেশ ফুটবল থাকবে। আরও যোগ করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রতি দাবি জানায় এবং ক্রিড়া মন্ত্রনলায় মাননীয় এমপির কাছেও।
এখনও পাঁচ দিন সময় আছে এদেরকে মায়ানমারে বাছাই পর্ব খেলতে পাঠানোর। কারন পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হয়ে গেলেও বিদেশে খেলতে পাঠাচ্ছে।
আমরা দেউলিয়া হবার আগেই আমাদের মেয়েরা খেলতে পারবে না অর্থের অভাবে। এটা আমার বিশ্বাস হয় না।