হবিগঞ্জ ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ঢাকায় জাতীয় মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে চুনারুঘাটে জামায়াতে ইসলামীর প্রচার মিছিল Logo জন্মদিন: একটি আত্ম-অন্বেষণের উপলক্ষ-শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেন Logo মশিউর রহমান খান জুমেলের পৃষ্ঠপোষকতায় চা-বাগানের সবুজের বুকে ‘বিউটিফুল চুনারুঘাট’ এর নামফলকের উদ্বোধন Logo চুনারুঘাটের এ.জেট.টি মডেল একাডেমির জমজ দুই বোনের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন Logo প্রাথমিকের স্কুলে পবিত্র আল-কোরআনের ভাস্কর্য Logo সুনামগঞ্জ-১ আসনে কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের নেতা আসাদ মুরাদ তালুকদার প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় Logo আজমিরীগঞ্জে ইঁদুরের বিষ খেয়ে যুবকের আত্মহত্যা Logo চুনারুঘাটে বিএনপির দুই প্রয়াত নেতা রাজন ও জলিলের করব জিয়ারত করলেন অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম Logo মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিএনপি’র পতাকা তলে থেকেই মানুষের জন্য কাজ করতে চাই-সৈয়দ মোঃ ফয়সল Logo সিলেট রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ কোর্ট ইন্সপেক্টর হলেন হবিগঞ্জের শেখ নাজমুল হক
বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই গাছ কাটা হচ্ছে

চা-বাগানের কর্তৃপক্ষের আগুনে বনের জীবজন্তু পুড়ে মরছে

দেশের অপার সৌন্দর্যের লীলা ভুমি হচ্ছে রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্য। আর সেই বন থেকে প্রতিদিনই অবাধে গাছ কাটা হচ্ছে। গাছ পাচারের কারনে বনের ভিতরে পশু পাখি, জীবজন্তুর বাস করা এখন হুমকির মুখে।

এদিকে দেশের বৃহত্তর রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়রাণ্যের পাশে প্রায় তিন হেক্টর জায়গার বনজ ফলদ ও ভেষজ গাছ কেটে সেখানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে বনের অনেক জাতের জীবজন্তু আগুনে পুড়ে মারা যাচ্ছে। এ ঘটনা হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার রশিদপুর বন বিটের আওতাধীন গির্জাঘর এলাকায় ঘটে। হনুমান ও বিরল প্রজাতির কাঠবিড়ালিসহ কয়েকটি প্রাণী সেখানে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, হাতিমারা চা বাগানের মালিকপক্ষ গত কয়েক দিনে গির্জাঘর এলাকা থেকে অন্তত ১৪০টি গাছ কেটে নেয়। তারা প্রায় তিন হেক্টর জায়গাজুড়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। চা গাছ রোপণের জন্য টিলা কেটে সমতল করা হচ্ছে। কেটে নেওয়া গাছগুলোর মধ্যে রয়েছে আম, জাম, কাঁঠাল, তেঁতুল, বট, আমলকী, বহেরা, আউলা ইত্যাদি।
পরিবেশ-প্রকৃতি বিষয়ক সংগঠন মিতা ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী রবি কাস্তে বলেন, ‘হাতিমারা চা বাগান মায়া হরিণের পছন্দের জায়গা। এখানে থাকা আউলা নামে একটি গাছের ফল মায়া হরিণ খায়। এ প্রজাতির গাছগুলোও কেটে ফেলা হয়েছে। ১৪৫টি গাছ কেটে নিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ায় কয়েক প্রজাতির বানর, হনুমান, মায়া হরিণ ও শুকরসহ নানা প্রজাতির হাজার হাজার প্রাণী আশ্রয় হারিয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি প্রাণী মারা গেছে।

গির্জাঘর এলাকার বাসিন্দা মর্গেট কাস্তা বলেন, ‘কেটে নেওয়া গাছগুলো অর্ধশত ও শত বছরের পুরোনো। এ গাছগুলোর ফল প্রাণীদের খাদ্য। গাছ কেটে বনে আগুন দেওয়ায় বন্যপ্রাণীরা ছোটাছুটি করছে। লোকালয়ে এসে হামলা করছে বানরের দল’।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বন এক কর্মকর্তা জানান, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়রাণ্যের পাশে অবস্থিত গির্জাঘর এলাকাটি বনপ্রাণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কয়েক প্রজাতির বানর, হনুমান, মায়া হরিণ ও শুকরসহ নানাপ্রজাতির অনেক প্রজাতির জীবজন্তুর প্রধান আশ্রয়স্থল এটি। গাছ কাটা ও আগুন দেওয়ায় বন্যপ্রাণীরা মারাত্মকভাবে হুমকিতে পড়েছে।
এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদপ্তর হবিগঞ্জের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘বন বিভাগের অনুমতি না নিয়ে এসব গাছ কাটা হচ্ছে। সিলেট বন বিভাগের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে হাতিমারা চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো. মঈন উদ্দিন ফোনকল রিসিভ করেন। তবে গাছ কাটা ও বনে আগুন দেওয়ার প্রসঙ্গ উঠলে তিনি লাইন কেটে দেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

ঢাকায় জাতীয় মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে চুনারুঘাটে জামায়াতে ইসলামীর প্রচার মিছিল

বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই গাছ কাটা হচ্ছে

চা-বাগানের কর্তৃপক্ষের আগুনে বনের জীবজন্তু পুড়ে মরছে

আপডেট সময় ০৫:১৫:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

দেশের অপার সৌন্দর্যের লীলা ভুমি হচ্ছে রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্য। আর সেই বন থেকে প্রতিদিনই অবাধে গাছ কাটা হচ্ছে। গাছ পাচারের কারনে বনের ভিতরে পশু পাখি, জীবজন্তুর বাস করা এখন হুমকির মুখে।

এদিকে দেশের বৃহত্তর রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়রাণ্যের পাশে প্রায় তিন হেক্টর জায়গার বনজ ফলদ ও ভেষজ গাছ কেটে সেখানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে বনের অনেক জাতের জীবজন্তু আগুনে পুড়ে মারা যাচ্ছে। এ ঘটনা হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার রশিদপুর বন বিটের আওতাধীন গির্জাঘর এলাকায় ঘটে। হনুমান ও বিরল প্রজাতির কাঠবিড়ালিসহ কয়েকটি প্রাণী সেখানে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, হাতিমারা চা বাগানের মালিকপক্ষ গত কয়েক দিনে গির্জাঘর এলাকা থেকে অন্তত ১৪০টি গাছ কেটে নেয়। তারা প্রায় তিন হেক্টর জায়গাজুড়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। চা গাছ রোপণের জন্য টিলা কেটে সমতল করা হচ্ছে। কেটে নেওয়া গাছগুলোর মধ্যে রয়েছে আম, জাম, কাঁঠাল, তেঁতুল, বট, আমলকী, বহেরা, আউলা ইত্যাদি।
পরিবেশ-প্রকৃতি বিষয়ক সংগঠন মিতা ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী রবি কাস্তে বলেন, ‘হাতিমারা চা বাগান মায়া হরিণের পছন্দের জায়গা। এখানে থাকা আউলা নামে একটি গাছের ফল মায়া হরিণ খায়। এ প্রজাতির গাছগুলোও কেটে ফেলা হয়েছে। ১৪৫টি গাছ কেটে নিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ায় কয়েক প্রজাতির বানর, হনুমান, মায়া হরিণ ও শুকরসহ নানা প্রজাতির হাজার হাজার প্রাণী আশ্রয় হারিয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি প্রাণী মারা গেছে।

গির্জাঘর এলাকার বাসিন্দা মর্গেট কাস্তা বলেন, ‘কেটে নেওয়া গাছগুলো অর্ধশত ও শত বছরের পুরোনো। এ গাছগুলোর ফল প্রাণীদের খাদ্য। গাছ কেটে বনে আগুন দেওয়ায় বন্যপ্রাণীরা ছোটাছুটি করছে। লোকালয়ে এসে হামলা করছে বানরের দল’।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বন এক কর্মকর্তা জানান, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়রাণ্যের পাশে অবস্থিত গির্জাঘর এলাকাটি বনপ্রাণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কয়েক প্রজাতির বানর, হনুমান, মায়া হরিণ ও শুকরসহ নানাপ্রজাতির অনেক প্রজাতির জীবজন্তুর প্রধান আশ্রয়স্থল এটি। গাছ কাটা ও আগুন দেওয়ায় বন্যপ্রাণীরা মারাত্মকভাবে হুমকিতে পড়েছে।
এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদপ্তর হবিগঞ্জের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘বন বিভাগের অনুমতি না নিয়ে এসব গাছ কাটা হচ্ছে। সিলেট বন বিভাগের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে হাতিমারা চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো. মঈন উদ্দিন ফোনকল রিসিভ করেন। তবে গাছ কাটা ও বনে আগুন দেওয়ার প্রসঙ্গ উঠলে তিনি লাইন কেটে দেন।