হবিগঞ্জ ০৮:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জুলাই ২০২৪, ৭ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সৎ প্রশাসকদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা কোথায়? Logo চুনারুঘাটে ৩৯ বছরের বর্ণাঢ্য শিক্ষকতা পেশার অরবিন্দ দত্তের সমাপ্তি Logo ব্যারিস্টার সুমন এমপিকে সংবর্ধনা দিল চুনারুঘাট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি Logo চুনারুঘাটে ১৭ কেজি গাঁজা সহ কারবারি গ্রেপ্তার Logo ৪র্থ বারের মতো জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন চুনারুঘাট থানার এসআই লিটন রায় Logo ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার পরিকল্পনাকারী সোহাগ গ্রেফতার Logo ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় হত্যা মামলার আসামি জালাল গ্রেপ্তার Logo ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার পরিকল্পনার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন Logo চুনারুঘাটে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হলেন তৌফিক মিয়া তালুকদার Logo ব্যারিস্টার সুমনের হত্যার পরিকল্পনারকারীদের গ্রেফতারে দাবীতে চুনারুঘাটে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ 

চুনারুঘাটের চা-বাগানের ছড়াতে বালু মহালে ইজারা না দেয়ার জন্য মানববন্ধন ও স্মারক লিপি

চুনারুঘাট উপজেলার চা বাগানগুলোর ছড়ায় বালু মহালের ইজারা না দেয়ার জন্য মানববন্ধন করেছে চা শ্রমিকরা। মানববন্ধন শেষে শ্রমিকরা চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিদ্ধার্থ ভৌমিকের নিকট একটি স্মারক লিপি প্রদান করেন। গত বুধবার দুপুর ২টায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন-চুনারুঘাট সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুক্তাদির চৌধুরী, পদক্ষেপ গণপাঠাগারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম জুয়েল, বামগঙ্গা চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মুকন্দ ভৌমিক, সাবেক ইউপি সদস্য বিবেকান্দ ভৌমিক বিভু, চাকলা  চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নূর হোসেন, চান্দপুর চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সাধন সাওতাল, সাধারণ সম্পাদক লক্ষীরাম কর্মকার, জোয়ালভাঙ্গা  চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক পালন বাউড়ি ও ছাত্র ও যুব সংগঠনের সভাপতি বীরেন কালিন্দি সহ অনেকেই।
শ্রমিকরা জানান, দীর্ঘদিন যাবত আমরা চা-বাগানের এই এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছি। বংশানুক্রমে পাহাড়ী এলাকা বসবাস করার জন্য আনাদের জীবন-জীবিকার একমাত্র মাধ্যম হল চা বাগান। চা বাগানের অস্তিত্ব থাকলে আমরাও এই এলাকায় বেঁচে থাকতে পারব। কোন কারণে চা বাগানের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখিন হলে আমাদের পক্ষে এসব এলাকা থেকে স্থানান্তর হওয়া ছাড়া কোন বিষয় নেই। যদিও বংশানুক্রনে চা বাগান এলাকার বসবাস করার কারণে বাংলাদেশের অন্য কোথাও আমাদের প্রতিস্থাপিত হওয়ার কোন সুযোগ আছে ফলে আমরা মনে করি না। আমাদের রামগঙ্গা, চাকলাপুঞ্জি ও চন্ডিছড়া চা বাগানের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত হুড়া গুলোতে বালু উত্তোলন করার জন্য একটি সুবিধা मন যানত চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য বালু উত্তোলনের মাধ্যমে কাঁচা পয়সা অর্জন করা। কিন্তু এটি যে পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ সেটি বিচার করার মত মানুসিকতা তাদের নেই। বালু উত্তোলন করা হলে ছড়াগুলোর খরস্রোতা পানি বর্ষাকালে স্কুল জাগিয়ে প্রবাহিত হওয়ান ফলে অধিক পরিমাণে ভূমিক্ষণ ও পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিপূর্বে চণ্ডিছড়া চা বাগান এলাকা থেকে বালু উত্তোলনের ফলে টাকলাপুঞ্জি ও রামপা চা বাগান এলাকার পাহাড় মাসের কারণে আমাদের মসজিদ, মন্দির ও লোকালয় ভাগনের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পাহাড় ধ্বসে একজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এই সম্ভাবনা আগামীতে আরো প্রবল ভাবে যদি এসব বাগানের হুড়া থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি প্রদান করা হয়। তাই আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, এসব এলাকায় বালু উত্তোলন করা হলে ভূমিধ্বসের কারণে পরিবেশের যে ক্ষতি হবে সেই ক্ষতি কোনভাবেই পুষিয়ে উঠা সম্ভব হবে না। এবং এর বিরূপ প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি চা-শিল্পে। বাংলাদেশ সরকার প্রনীত বালু মহাল ও মাটি ১. ব্যবস্থাপনা জাইন/২০১০ সালের ৪ নম্বর অনুচ্ছেদে বালু মহাল ইজারা প্রদান বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। আইনের ৪নম্বর অনুচ্ছেদে বালু মহাল ইজারা কোন কোন ক্ষেত্রে দেওয়া যাবে না, তার বর্ণনা দেওয়া আছে। ৪ নম্বর অনুচ্ছেদের (চ) ধারা অনুযায়ী চা বাগান, পাহাড় বা টিলার ক্ষতি হতে পারে এরূপ স্থান হলে ইজারা দেওয়ার বিষয়টি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমাদের চাকলাপুঞ্জি, রামগঙ্গা ও চন্ডিছড় বাগানের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত হুড়াগুলোতে বালু উত্তোলনের অনুমতি প্রদান করা হলে উপরে বর্ণিত আইন। লংঘিত হবে। এলাকা থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি বা ইজারা না দেওয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও চা বাগানের সম্পদ সহ আমাদের আবাসস্থল ও জীবন রক্ষায় আপনার সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সৎ প্রশাসকদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা কোথায়?

চুনারুঘাটের চা-বাগানের ছড়াতে বালু মহালে ইজারা না দেয়ার জন্য মানববন্ধন ও স্মারক লিপি

আপডেট সময় ০৭:৪২:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩
চুনারুঘাট উপজেলার চা বাগানগুলোর ছড়ায় বালু মহালের ইজারা না দেয়ার জন্য মানববন্ধন করেছে চা শ্রমিকরা। মানববন্ধন শেষে শ্রমিকরা চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিদ্ধার্থ ভৌমিকের নিকট একটি স্মারক লিপি প্রদান করেন। গত বুধবার দুপুর ২টায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন-চুনারুঘাট সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুক্তাদির চৌধুরী, পদক্ষেপ গণপাঠাগারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম জুয়েল, বামগঙ্গা চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মুকন্দ ভৌমিক, সাবেক ইউপি সদস্য বিবেকান্দ ভৌমিক বিভু, চাকলা  চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নূর হোসেন, চান্দপুর চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সাধন সাওতাল, সাধারণ সম্পাদক লক্ষীরাম কর্মকার, জোয়ালভাঙ্গা  চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক পালন বাউড়ি ও ছাত্র ও যুব সংগঠনের সভাপতি বীরেন কালিন্দি সহ অনেকেই।
শ্রমিকরা জানান, দীর্ঘদিন যাবত আমরা চা-বাগানের এই এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছি। বংশানুক্রমে পাহাড়ী এলাকা বসবাস করার জন্য আনাদের জীবন-জীবিকার একমাত্র মাধ্যম হল চা বাগান। চা বাগানের অস্তিত্ব থাকলে আমরাও এই এলাকায় বেঁচে থাকতে পারব। কোন কারণে চা বাগানের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখিন হলে আমাদের পক্ষে এসব এলাকা থেকে স্থানান্তর হওয়া ছাড়া কোন বিষয় নেই। যদিও বংশানুক্রনে চা বাগান এলাকার বসবাস করার কারণে বাংলাদেশের অন্য কোথাও আমাদের প্রতিস্থাপিত হওয়ার কোন সুযোগ আছে ফলে আমরা মনে করি না। আমাদের রামগঙ্গা, চাকলাপুঞ্জি ও চন্ডিছড়া চা বাগানের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত হুড়া গুলোতে বালু উত্তোলন করার জন্য একটি সুবিধা मন যানত চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য বালু উত্তোলনের মাধ্যমে কাঁচা পয়সা অর্জন করা। কিন্তু এটি যে পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ সেটি বিচার করার মত মানুসিকতা তাদের নেই। বালু উত্তোলন করা হলে ছড়াগুলোর খরস্রোতা পানি বর্ষাকালে স্কুল জাগিয়ে প্রবাহিত হওয়ান ফলে অধিক পরিমাণে ভূমিক্ষণ ও পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিপূর্বে চণ্ডিছড়া চা বাগান এলাকা থেকে বালু উত্তোলনের ফলে টাকলাপুঞ্জি ও রামপা চা বাগান এলাকার পাহাড় মাসের কারণে আমাদের মসজিদ, মন্দির ও লোকালয় ভাগনের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পাহাড় ধ্বসে একজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এই সম্ভাবনা আগামীতে আরো প্রবল ভাবে যদি এসব বাগানের হুড়া থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি প্রদান করা হয়। তাই আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, এসব এলাকায় বালু উত্তোলন করা হলে ভূমিধ্বসের কারণে পরিবেশের যে ক্ষতি হবে সেই ক্ষতি কোনভাবেই পুষিয়ে উঠা সম্ভব হবে না। এবং এর বিরূপ প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি চা-শিল্পে। বাংলাদেশ সরকার প্রনীত বালু মহাল ও মাটি ১. ব্যবস্থাপনা জাইন/২০১০ সালের ৪ নম্বর অনুচ্ছেদে বালু মহাল ইজারা প্রদান বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। আইনের ৪নম্বর অনুচ্ছেদে বালু মহাল ইজারা কোন কোন ক্ষেত্রে দেওয়া যাবে না, তার বর্ণনা দেওয়া আছে। ৪ নম্বর অনুচ্ছেদের (চ) ধারা অনুযায়ী চা বাগান, পাহাড় বা টিলার ক্ষতি হতে পারে এরূপ স্থান হলে ইজারা দেওয়ার বিষয়টি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমাদের চাকলাপুঞ্জি, রামগঙ্গা ও চন্ডিছড় বাগানের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত হুড়াগুলোতে বালু উত্তোলনের অনুমতি প্রদান করা হলে উপরে বর্ণিত আইন। লংঘিত হবে। এলাকা থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি বা ইজারা না দেওয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও চা বাগানের সম্পদ সহ আমাদের আবাসস্থল ও জীবন রক্ষায় আপনার সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি।