হবিগঞ্জ ০২:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের দামী সেগুন গাছ চুরি Logo চুনারুঘাটে দোকানের কর্মচারীকে মারধর ও লুটপাট: মামলা Logo ইসলামী আন্দোলনের মিরাশী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড শাখার সম্মেলন ও ঈদ পুনর্মিলনী Logo যুবলীগ নেতা ভূমিখেকো নাসিরের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ Logo চুনারুঘাট উপজেলা ছাত্র জমিয়তের কর্মী সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন Logo ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ, ভিড় বাস-ট্রেন-লঞ্চে Logo শেকড় সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে ৩শ’ রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ বিতরণ Logo হবিগঞ্জে বিআরটিএ অভিযানে ৬ যানবাহন চালকে জরিমানা Logo ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ মিরাশী ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে ঈদ পূণর্মিলনী Logo ঈদযাত্রায় মহাসড়কে পুলিশের টহল জোরদার, সিলেটবাসীর নির্বিঘ্ন ঘরে ফেরা

বানিয়াচংয়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি! বিপাকে রয়েছেন সাধারণ মানুষ

বানিয়াচং উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও কুশিয়ারা নদীর বাধ ভেঙ্গে এবং অতিবৃষ্টির কারণে বানিয়াচং উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন‘ই বন্যা কবলিত হয়ে পড়ছে। প্রতিদিনই পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

ইতিমধ্যে বানিয়াচং উপজেলার সাথে পাশর্^বর্তী আজমিরীগঞ্জ উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বানিয়াচং ভায়া নবীগঞ্জ সিলেট সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বানিয়াচংয়ের সাথে হবিগঞ্জ জেলা সহ সারাদেশের সঙ্গে যে কোন মূহুর্তে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা দূর্যোগ ও ত্রান শাখা (পিআইও অফিস) সূত্রে জানা যায়, ১১২টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১১ হাজার পরিবার আশ্রয় গ্রহণ করেছে। পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে ৩০ হাজার পরিবার। ক্ষতিগ্রস্থ লোকসংখ্যা ৪৫ হাজার।
এ পর্যন্ত সরকারিভাবে বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে ৪৫ মেট্রিক টন চাল ও নগদ দুইলক্ষ টাকা।
এছাড়া ৩শ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
দূর্গত এলাকার মানুষজনের সাথে আলাপকালে জানা যায়, গ্রামের মানুষজন ধান ও গবাদি পশু নিয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। যে কারণে অনেকেই ঘরে পানি উঠা স্বত্তে¡ও বাড়ি ছেড়ে কোন আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে পারতেছেন না। অনেকেই বাধ্য হয়ে কম মূল্যে ধান ও গবাদি পশু বিক্রয় করে দিচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,৫ হাজার ৯শ হেক্টর রোপা আমন ও ১ হাজার ৬শ ৪০ হেক্টর আউশ ও ৫ হাজার ৬শ হেক্টর বোনা আমনের জমি সম্পূর্ণভাবে তলিয়ে গেছে। যার ক্ষতির পরিমাণ ৬১ কোটি টাকা।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়,উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ৮শ পুকুর সম্পূর্ণভাবে ডুবে গেছে। যার ক্ষতির পরিমাণ ৫০ লক্ষ টাকা।
তবে মৎস্য চাষীরা মৎস্য অফিসের এই হিসাব মানতে নারাজ।
বন্যা পরিস্থিতির অবনতিতে সাধারণ মানষজন আতংকিত হয়ে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ বলেন, আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত মানুষজনদের শুকনো খাবার সহ অন্যান্য ত্রান সামগ্রী বিতরণ করছি।
এবং এই ত্রান তৎপরতা আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে অব্যাহত থাকবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের দামী সেগুন গাছ চুরি

বানিয়াচংয়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি! বিপাকে রয়েছেন সাধারণ মানুষ

আপডেট সময় ০৯:৩০:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২

বানিয়াচং উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও কুশিয়ারা নদীর বাধ ভেঙ্গে এবং অতিবৃষ্টির কারণে বানিয়াচং উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন‘ই বন্যা কবলিত হয়ে পড়ছে। প্রতিদিনই পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

ইতিমধ্যে বানিয়াচং উপজেলার সাথে পাশর্^বর্তী আজমিরীগঞ্জ উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বানিয়াচং ভায়া নবীগঞ্জ সিলেট সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বানিয়াচংয়ের সাথে হবিগঞ্জ জেলা সহ সারাদেশের সঙ্গে যে কোন মূহুর্তে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা দূর্যোগ ও ত্রান শাখা (পিআইও অফিস) সূত্রে জানা যায়, ১১২টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১১ হাজার পরিবার আশ্রয় গ্রহণ করেছে। পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে ৩০ হাজার পরিবার। ক্ষতিগ্রস্থ লোকসংখ্যা ৪৫ হাজার।
এ পর্যন্ত সরকারিভাবে বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে ৪৫ মেট্রিক টন চাল ও নগদ দুইলক্ষ টাকা।
এছাড়া ৩শ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
দূর্গত এলাকার মানুষজনের সাথে আলাপকালে জানা যায়, গ্রামের মানুষজন ধান ও গবাদি পশু নিয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। যে কারণে অনেকেই ঘরে পানি উঠা স্বত্তে¡ও বাড়ি ছেড়ে কোন আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে পারতেছেন না। অনেকেই বাধ্য হয়ে কম মূল্যে ধান ও গবাদি পশু বিক্রয় করে দিচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,৫ হাজার ৯শ হেক্টর রোপা আমন ও ১ হাজার ৬শ ৪০ হেক্টর আউশ ও ৫ হাজার ৬শ হেক্টর বোনা আমনের জমি সম্পূর্ণভাবে তলিয়ে গেছে। যার ক্ষতির পরিমাণ ৬১ কোটি টাকা।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়,উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ৮শ পুকুর সম্পূর্ণভাবে ডুবে গেছে। যার ক্ষতির পরিমাণ ৫০ লক্ষ টাকা।
তবে মৎস্য চাষীরা মৎস্য অফিসের এই হিসাব মানতে নারাজ।
বন্যা পরিস্থিতির অবনতিতে সাধারণ মানষজন আতংকিত হয়ে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ বলেন, আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত মানুষজনদের শুকনো খাবার সহ অন্যান্য ত্রান সামগ্রী বিতরণ করছি।
এবং এই ত্রান তৎপরতা আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে অব্যাহত থাকবে।