মাধবপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন।
বাজারের সবচেয়ে বড় দোকানে তেল নেই, সেটা কেমনে হয়! লোকজন সয়াবিন তেল কিনতে গেলে দোকানদার বলছিলেন তেল নেই। খোলা তেল নিতে হবে। বোতলের চেয়ে খোলা তেলের দাম বেশি। এত বড় দোকানে তেল থাকবে না এটা ভোক্তাদের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছিল। পরে ভোক্তারাই জানতে পারেন ওই মুদি দোকানির গোডাউনে বিপুল পরিমাণ তেল মজুদ রয়েছে। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন।পরে ওই মুদি দোকানির গোডাউন থেকে থেকে বের করা হয় বিপুল পরিমাণ তীর তেলের কার্টুন সয়াবিন তেল।
মেসার্স অজিত কুমার পাল নামে দোকানটির অবস্থান মাধবপুর বাজারে কালি মন্দির এলাকায়। এটি ওই এলাকার বড় মুদি দোকান ও তীর সোয়াবিন তেলের ডিলার । তেল লুকিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করার অপরাধে দোকানটির মালিক অজিত কুমার পালকে কৃষি কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ আইনে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মজুতকৃত তেল ভোক্তাদের কাছে বাজার মূল্য বিক্রি করার নির্দেশ দেন। । এ ছাড়াও আরও একটি দোকানিকে ২০ হাজারটাকা জরিমানা করা হয় ও মেসার্স শংকর পাল, মেসার্স স্বপন রায়, সুনিল স্টোর,নিলয় স্টোর, রবীন্দ্র স্টোর ,কাজল ঠাকুরসহ বাজারে দোকানিদের বাজার মূল্য তেল বিক্রি করার নির্দেশ দেন ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন জানান, দোকানিরা তেল মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। জানতে পেরে আমরা মেসার্স অজিত কুমার পালের দোকানে গিয়ে দেখি বোতালজাত করা কোনো তেল নেই। পরে তার গুদামে গিয়ে প্রচুর পরিমাণ তেল পাওয়া যায়। তেল লুকিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করার অপরাধে দোকানের মালিককে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়াও আরও ১টি দোকানের মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মাধবপুর থানার এসআই হুমায়ূন কবির নেতৃত্বে একদল পুলিশ ও স্থানীয় কাউন্সিলর পিন্টু পাঠান, কাউন্সিলর শেখ জহিরসহ প্রমূখ।