হবিগঞ্জ ০৭:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মুড়ারবন্দ তাজদারে মাদীনা সুন্নী যুব সংঘের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত Logo জুলাই শহীদ স্মৃতি গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে চুনারুঘাট ফুটবল একাদশের জার্সি উন্মোচন Logo ‘বিউটিফুল চুনারুঘাট’ এর ব্যতিক্রমি উদ্যোগ সৌন্দর্য বর্ধনে একহাজার বৃক্ষরোপণের পরিকল্পনা Logo মাধবপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার, দুই কারবারি গ্রেফতার Logo চুনারুঘাটে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান Logo আইএফআইসি ব্যাংক এবং শক্তি ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে “হার পাওয়ার” শীর্ষক স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মশালা Logo চুনারুঘাটে দিনে-দুপুরে সাদাবালু চুরির সময় জনতার হাতে আটক-১ Logo বাহুবল নবীগঞ্জের পর এবার চুনারুঘাটে বিএনপির ঝাড়ু মিছিল Logo নির্মাণ শেষের আগেই ২ বার ধসে পড়লো মডেল মসজিদের ছাদ Logo চুনারুঘাটে চুরি হওয়া কাঠ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ

পাহাড়ি ঢলের পানিতে ৫০০ একর জমির বোরো ধানঃ মাথায় হাত কৃষকের

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বিভিন্ন হাওরের প্রায় ৫০০ একর জমির ধান তলিয়ে গেছে। এসব পানি উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি। আরও কয়েকশ একর জমির ধান তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আছেন কৃষকেরা। ফলে তড়িঘড়ি করে আধাপাকা ধান কেটে নিতে হচ্ছে তাদের। কিন্তু দ্রুত ধান কাটার জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।

যে জমির ধান আগে এক হাজার টাকায় কাটানো যেত, পানি বেড়ে যাওয়ায় সেই জমির ধান এখন তিন হাজার টাকা দিয়ে কাটাতে হচ্ছে। এ অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক।

প্রায় ৫০০ একর জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কিছু জমির ধান এখনো পানির ওপরে আছে। তবে যেভাবে পানি বাড়ছে, মনে হয় তাও তলিয়ে যাবে। আমরা কোনো উপায় দেখছি না।
স্থানীয় কৃষক, হবিগঞ্জ

স্থানীয়রা জানান, গত দুই দিন ধরে হঠাৎ করে উজান থেকে পানি আসতে শুরু করেছে হবিগঞ্জের হাওরগুলোতে। দুই দিনে লাখাই উপজেলার স্বজন হাওরে অব্যাহত পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সোমবার বিকেল পর্যন্ত ৫০০ একর জমির ধান তলিয়ে গেছে। আরও কয়েকশ একর জমির ধান রাতের মধ্যেই তলিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় স্থানীয় কৃষকরা জমির আধাপাকা ধান তড়িঘড়ি করে কেটে নিতে কাটতে বাধ্য হচ্ছেন।

স্থানীয় স্বজন গ্রামের কৃষক নিশিকান্ত রায় বলেন, আমাদের এলাকায় কোনো বৃষ্টি নেই। হঠাৎ করে উজান থেকে পানি আসতে শুরু করেছে। গত দুই দিনে আমাদের হাওরের প্রায় ৫০০ একর জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কিছু জমির ধান এখনো পানির ওপরে আছে। তবে যেভাবে পানি বাড়ছে, মনে হয় তাও তলিয়ে যাবে। আমরা কোনো উপায় দেখছি না।

তিনি বলেন, দ্বিগুণ মূল্য দিয়ে শ্রমিক জোগাড় করে কোনো রকমে ধান কেটে আনা হচ্ছে। তবে এতে শ্রমিকের মজুরির দামও উঠবে না।

একই গ্রামের কৃষক ইউনুছ আলী জানান, উজানের পাহাড়ি ঢল আমাদের সর্বস্বান্ত করছে। আর অল্পদিনের মধ্যেই ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে আসা যেত। কিন্তু উজান থেকে নেমে আসা পানি আমাদের সব কিছু নিয়ে গেছে। এখন যা আছে তাও তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছি। কী করব বুঝতে পারছি না।

স্থানীয় কৃষক দেবাশীষ দাশ বলেন, লাখাই উপজেলার শিবপুর, স্বজনগ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৫ শতাধিক একর জমির ধান একেবারে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে যাওয়া ধান কাটার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। কোথাও কোথাও কোমর সমান পানি উঠে গেছে। তাই পানির নিচ থেকে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে না।

একই এলাকার হরিদাশ নামে এক কৃষক জানান, এখনো যে জমিগুলো পানির নিচে তলিয়ে যায়নি, সেগুলো কেটে নিয়ে আসলেও ধান একেবারে কম পাওয়া যাবে। আধাপাকা ধান কেটে আনার পর শ্রমিকের খরচও উঠবে না।
পাহাড়ি ঢল আমাদের সর্বস্বান্ত করছে। আর অল্পদিনের মধ্যেই ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে আসা যেত।
স্থানীয় কৃষক, হবিগঞ্জ

লাখাই উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অমিত ভট্টাচার্য্য জানান, উপজেলার শিবপুর, স্বজনগ্রাম, বেজুরাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৭০ হেক্টর জমির ধান সম্পূর্ণরূপে পানিতে নিমজ্জিত। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ধান কাটার জন্য কৃষকদের তাগিদ দিয়েছি। এছাড়া এলাকায় মাইকিং করে দ্রুত ধান কাটার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

মুড়ারবন্দ তাজদারে মাদীনা সুন্নী যুব সংঘের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত

পাহাড়ি ঢলের পানিতে ৫০০ একর জমির বোরো ধানঃ মাথায় হাত কৃষকের

আপডেট সময় ০৫:৫৫:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বিভিন্ন হাওরের প্রায় ৫০০ একর জমির ধান তলিয়ে গেছে। এসব পানি উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি। আরও কয়েকশ একর জমির ধান তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আছেন কৃষকেরা। ফলে তড়িঘড়ি করে আধাপাকা ধান কেটে নিতে হচ্ছে তাদের। কিন্তু দ্রুত ধান কাটার জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।

যে জমির ধান আগে এক হাজার টাকায় কাটানো যেত, পানি বেড়ে যাওয়ায় সেই জমির ধান এখন তিন হাজার টাকা দিয়ে কাটাতে হচ্ছে। এ অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক।

প্রায় ৫০০ একর জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কিছু জমির ধান এখনো পানির ওপরে আছে। তবে যেভাবে পানি বাড়ছে, মনে হয় তাও তলিয়ে যাবে। আমরা কোনো উপায় দেখছি না।
স্থানীয় কৃষক, হবিগঞ্জ

স্থানীয়রা জানান, গত দুই দিন ধরে হঠাৎ করে উজান থেকে পানি আসতে শুরু করেছে হবিগঞ্জের হাওরগুলোতে। দুই দিনে লাখাই উপজেলার স্বজন হাওরে অব্যাহত পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সোমবার বিকেল পর্যন্ত ৫০০ একর জমির ধান তলিয়ে গেছে। আরও কয়েকশ একর জমির ধান রাতের মধ্যেই তলিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় স্থানীয় কৃষকরা জমির আধাপাকা ধান তড়িঘড়ি করে কেটে নিতে কাটতে বাধ্য হচ্ছেন।

স্থানীয় স্বজন গ্রামের কৃষক নিশিকান্ত রায় বলেন, আমাদের এলাকায় কোনো বৃষ্টি নেই। হঠাৎ করে উজান থেকে পানি আসতে শুরু করেছে। গত দুই দিনে আমাদের হাওরের প্রায় ৫০০ একর জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কিছু জমির ধান এখনো পানির ওপরে আছে। তবে যেভাবে পানি বাড়ছে, মনে হয় তাও তলিয়ে যাবে। আমরা কোনো উপায় দেখছি না।

তিনি বলেন, দ্বিগুণ মূল্য দিয়ে শ্রমিক জোগাড় করে কোনো রকমে ধান কেটে আনা হচ্ছে। তবে এতে শ্রমিকের মজুরির দামও উঠবে না।

একই গ্রামের কৃষক ইউনুছ আলী জানান, উজানের পাহাড়ি ঢল আমাদের সর্বস্বান্ত করছে। আর অল্পদিনের মধ্যেই ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে আসা যেত। কিন্তু উজান থেকে নেমে আসা পানি আমাদের সব কিছু নিয়ে গেছে। এখন যা আছে তাও তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছি। কী করব বুঝতে পারছি না।

স্থানীয় কৃষক দেবাশীষ দাশ বলেন, লাখাই উপজেলার শিবপুর, স্বজনগ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৫ শতাধিক একর জমির ধান একেবারে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে যাওয়া ধান কাটার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। কোথাও কোথাও কোমর সমান পানি উঠে গেছে। তাই পানির নিচ থেকে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে না।

একই এলাকার হরিদাশ নামে এক কৃষক জানান, এখনো যে জমিগুলো পানির নিচে তলিয়ে যায়নি, সেগুলো কেটে নিয়ে আসলেও ধান একেবারে কম পাওয়া যাবে। আধাপাকা ধান কেটে আনার পর শ্রমিকের খরচও উঠবে না।
পাহাড়ি ঢল আমাদের সর্বস্বান্ত করছে। আর অল্পদিনের মধ্যেই ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে আসা যেত।
স্থানীয় কৃষক, হবিগঞ্জ

লাখাই উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অমিত ভট্টাচার্য্য জানান, উপজেলার শিবপুর, স্বজনগ্রাম, বেজুরাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৭০ হেক্টর জমির ধান সম্পূর্ণরূপে পানিতে নিমজ্জিত। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ধান কাটার জন্য কৃষকদের তাগিদ দিয়েছি। এছাড়া এলাকায় মাইকিং করে দ্রুত ধান কাটার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।