হবিগঞ্জ ০৩:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ঈদযাত্রায় মহাসড়কে পুলিশের টহল জোরদার, সিলেটবাসীর নির্বিঘ্ন ঘরে ফেরা Logo ঈদে অর্ধশতাধিক এতিমদের মুখে হাসি ফোটালেন ছাত্রদল নেতা আল সাইমুম আহাদ Logo চুনারুঘাটে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালন Logo মাধবপুরে ‎হাত ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে Logo মাধবপুরে বেড়েছে, মাদক ও ছিনতাইয়ের সন্ত্রাসে জনজীবন অতিষ্ঠ Logo টানা বৃষ্টিপাতে মাধবপুরে মহাসড়কসহ বিভিন্ন জায়গা প্লাবিত Logo চুনারুঘাটে পানিতে ডুবে ভাইবোনের এক সাথে মৃত্যু Logo চুনারুঘাটে তহশিলদার মইনুল ইসলামে সততার ঈর্ষান্বিত হয়ে সংবাদ প্রকাশ Logo চুনারুঘাটে ফের ২২ বাংলাদেশীকে পুশইন করেছে বিএসএফ Logo মাধবপুরে ৪টি লাইসেন্স বিহীন করাতকল উচ্ছেদ অভিযান”

অযত্নে -অবহেলায় পড়ে রয়েছে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দীর পৈতৃক ভিটা

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে অযত্নে -অবহেলায় পড়ে রয়েছে বিখ্যাত সংগীতশিল্পী বানিয়াচংয়ের কৃতি সন্তান সুবীর নন্দীর পৈতৃক ভিটা।বাড়িটিতে রয়েছে সুবিশাল পুকুর। রয়েছে ভূমি অফিস ও কোর্ট বিল্ডিং। তবে দিন যত যাচ্ছে ততই জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত বরেণ্য কণ্ঠশিল্পীর পৈতৃক ভিটাগুলো বেদখল হয়ে যাচ্ছে। পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে প্রাচীন এই ঐতিহাসিক বাড়িটি। তাঁদের এই জমিদার বাড়িটিতে রাত্রি হলেই চলে বখাটেদের আড্ডা।রাতের আঁধারে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। একজন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পীর বাড়িতে বখাটেদের আড্ডা এবং অসামাজিক কার্যকলাপ মেনে নিতে পারছেন না স্হানীয়রা। যার ফলশ্রুতিতে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভের দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন বাড়িটি অযত্ন- অবহেলায় থাকার কারনে বাড়িটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে। শিল্পীর স্মৃতি ধরে রাখতে বাড়িটি উদ্ধার করে বাড়িটিতে পাঠাগার অথবা জাদুঘর হিসেবে তৈরির জন্য দাবি জানিয়েছেন স্হানীয়রা।শিল্পকলায় একুশে পদকপ্রাপ্ত জনপ্রিয় এই কণ্ঠশিল্পী ১৯ নভেম্বর ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈত্রিক নিবাস হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলা সদরের অন্তর্ভুক্ত নন্দীপাড়া গ্রামে। তাঁর পিতা সুধাংশু নন্দী ও ছিলেন একজন সংগীত প্রেমী।কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সংগীতে তাঁর হাতেখড়ি মা পুতুল রাণীর কাছেই। জনপ্রিয় এই কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। যার ফলে ২০১৯ সালের ৭ই মে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন। বিখ্যাত এই সংগীতশিল্পীর বাড়িটি সংরক্ষণ করার ব্যাপারে স্হানীয় পুরোহিত বিপুল ভট্টাচার্য বলেন,বানিয়াচংয়ের কৃতি সন্তান এবং প্রখ্যাত সংগীতশিল্পীর বাড়িটি বেদখল হওয়া থেকে উদ্ধার করে সংস্কৃতি চর্চার জন্য সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।এ নিয়ে বানিয়াচং প্রেসক্লাবের সভাপতি কবি ও সাংবাদিক মোশাহেদ মিয়া বলেন, উপমহাদেশের এই প্রখ্যাত সংগীতশিল্পীর স্মৃতি ধরে রাখতে হলে প্রশাসনের উদ্যোগে উনার পৈতৃক ভিটা উদ্ধার করে গণপাঠাগার তৈরি করা উচিত। এবং সেখানে সংস্কৃতি চর্চা করার জন্য বাড়িটি সংরক্ষণ করার জন্য দাবি জানাই ।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ জানান,আমি এখানে যোগদান করার পর থেকেই বাড়িটি অযত্ন- অবহেলায় পড়ে রয়েছে লক্ষ্য করেছি। বেদখল এই জমিদার বাড়িটি রক্ষা করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

ঈদযাত্রায় মহাসড়কে পুলিশের টহল জোরদার, সিলেটবাসীর নির্বিঘ্ন ঘরে ফেরা

অযত্নে -অবহেলায় পড়ে রয়েছে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দীর পৈতৃক ভিটা

আপডেট সময় ১২:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে অযত্নে -অবহেলায় পড়ে রয়েছে বিখ্যাত সংগীতশিল্পী বানিয়াচংয়ের কৃতি সন্তান সুবীর নন্দীর পৈতৃক ভিটা।বাড়িটিতে রয়েছে সুবিশাল পুকুর। রয়েছে ভূমি অফিস ও কোর্ট বিল্ডিং। তবে দিন যত যাচ্ছে ততই জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত বরেণ্য কণ্ঠশিল্পীর পৈতৃক ভিটাগুলো বেদখল হয়ে যাচ্ছে। পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে প্রাচীন এই ঐতিহাসিক বাড়িটি। তাঁদের এই জমিদার বাড়িটিতে রাত্রি হলেই চলে বখাটেদের আড্ডা।রাতের আঁধারে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। একজন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পীর বাড়িতে বখাটেদের আড্ডা এবং অসামাজিক কার্যকলাপ মেনে নিতে পারছেন না স্হানীয়রা। যার ফলশ্রুতিতে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভের দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন বাড়িটি অযত্ন- অবহেলায় থাকার কারনে বাড়িটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে। শিল্পীর স্মৃতি ধরে রাখতে বাড়িটি উদ্ধার করে বাড়িটিতে পাঠাগার অথবা জাদুঘর হিসেবে তৈরির জন্য দাবি জানিয়েছেন স্হানীয়রা।শিল্পকলায় একুশে পদকপ্রাপ্ত জনপ্রিয় এই কণ্ঠশিল্পী ১৯ নভেম্বর ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈত্রিক নিবাস হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলা সদরের অন্তর্ভুক্ত নন্দীপাড়া গ্রামে। তাঁর পিতা সুধাংশু নন্দী ও ছিলেন একজন সংগীত প্রেমী।কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সংগীতে তাঁর হাতেখড়ি মা পুতুল রাণীর কাছেই। জনপ্রিয় এই কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। যার ফলে ২০১৯ সালের ৭ই মে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন। বিখ্যাত এই সংগীতশিল্পীর বাড়িটি সংরক্ষণ করার ব্যাপারে স্হানীয় পুরোহিত বিপুল ভট্টাচার্য বলেন,বানিয়াচংয়ের কৃতি সন্তান এবং প্রখ্যাত সংগীতশিল্পীর বাড়িটি বেদখল হওয়া থেকে উদ্ধার করে সংস্কৃতি চর্চার জন্য সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।এ নিয়ে বানিয়াচং প্রেসক্লাবের সভাপতি কবি ও সাংবাদিক মোশাহেদ মিয়া বলেন, উপমহাদেশের এই প্রখ্যাত সংগীতশিল্পীর স্মৃতি ধরে রাখতে হলে প্রশাসনের উদ্যোগে উনার পৈতৃক ভিটা উদ্ধার করে গণপাঠাগার তৈরি করা উচিত। এবং সেখানে সংস্কৃতি চর্চা করার জন্য বাড়িটি সংরক্ষণ করার জন্য দাবি জানাই ।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ জানান,আমি এখানে যোগদান করার পর থেকেই বাড়িটি অযত্ন- অবহেলায় পড়ে রয়েছে লক্ষ্য করেছি। বেদখল এই জমিদার বাড়িটি রক্ষা করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।