হবিগঞ্জ ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সহকারি অধ্যাপক ডাঃ হিরন্ময় দাশ লন্ডন থেকে এম,আর,সি,পি ডিগ্রি অর্জন Logo বাহুবলে গাজাবাসীর উপর ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে মিরপুর ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল Logo বাহুবলে গাজাবাসীদের উপর ইসরায়েলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo গরিব কেন সারাজীবন গরিব থাকে? জীবন বদলে যাওয়া ঘটনা Logo মসজিদুল আকসার ইতিহাস: মুসলমানদের প্রথম কিবলা Logo চুনারুঘাটে ফিতরার টাকা দেয়ার কথা বলে মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণী ছাত্রীকে ধর্ষণ Logo দেশে ৯০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ, যাচাই-বাছাই চলছে Logo বাহুবলে পুলিশ ফাঁড়ির নিকটে ডাকাতির কবলে পড়েন চুনারুঘাটের এক ব্যবসায়ীসহ শতাধিক মানুষ Logo ঈদ ফিরতি যাত্রা নিরাপদ করতে হবিগঞ্জে ভিজিলেন্স টিমের অভিযান Logo চুনারুঘাটে ইজারা বহিঃর্ভূত স্থানে বালু উত্তোলন: মেশিন, পাইপ ও বালুবাহী ট্রাক আটক

চুনারুঘাটেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গোলগাঁও স: প্রা: বি: সহকারী শিক্ষক বশীর আহমেদ সাময়িক বরখাস্ত

চুনারুঘাট সদর ইউনিয়নের গোলগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাবেক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা বশীর আহমেদকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বিষয়টি গতকাল (২০ মার্চ) বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: শাহ আলম। তিনি জানান, বশীর আহমেদের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সদরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার উপর হামলা মামলায় গ্রেপ্তারের পর ১৯ মার্চ চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

মামলা চলাকালীন তিনি শুধু খোরাকি ভাতা পাবেন। বশীর আহমেদ চুনারুঘাট উপজেলার আদমপুর গ্রামের বাসিন্দা।

জানা গেছে বশীর আহমেদ স্কুল ফাঁকি দিয়ে আওয়ামী লীগের সভা মঞ্চ, মিটিং, মিছিল সহ বিভিন্ন প্রোগ্রামে ব্যস্ত থাকেন। নিয়মিত স্কুলে না আসলেও মাঝেমধ্যে স্কুলে আসেন দুপুরে কিংবা স্কুল ছুটির সময়। কেউ প্রতিবাদ করার সুযোগ নেই। যদি কেউ প্রতিবাদ করতো তাহলে তাকে বদলি ও দেখে নেওয়ার হুমকি দিতেন।

তার এই রাজত্ব কায়েমের খুঁটির জোর ছিলেন কতিপয় নেতা। রাজনীতিতে রং না বদলালেও নেতা বদলাতে পারদর্শী তিনি।

আওয়ামী লীগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, হবিগঞ্জ জেলা অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির, জেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী, চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুল আলম রুবেল, মানিক সরকার সহ বিভিন্ন নেতাকর্মীর ঘনিষ্ঠ সহচর বলে বলে দাবী করতেন। এছাড়াও আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে উল্লেখিত নেতাদের নাম জঙ্গিয়ে দেড় যুগেরও বেশি সময় রাজত্ব আলীর নাম চষে বেড়ানোর পর যখন তিনি ফেইল করেন এর পর সাবেক এমপি এমপি ব্যারিস্ট ব্যারিস্টার সুমনের সাথে ছবি তুলে ফেইসবুকে পোস্ট করে নিজের বন্ধু দাবী করেন বশীর।

এমকি ব্যারিস্টার সুমনের হুমকি দিয়েও বিভিন্ন অফিসে গিয়ে করতেন তদবির বাণিজ্য। আওয়ামীলীগ ও জেলার নেতার প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষা অফিসারদের সাথে করতেন অসদাচরণ।

অবৈধ চাহিদা পূরণ না করলে দেয়া হতো বদলির হুমকি। প্রায় সময় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে থেকে ফেইসবুকে ছাড়তেন ছবি। যাহা সংশ্লিষ্টদের নজরে আসলে তাকে নিয়মিত নিয়মিত স্কুলে যেতে বলা হয়। কিন্তু তিনি এমন অনুরোধের তোয়াক্কা না করে বেপরোয়া হয়ে উঠতেন।

অভিযোগ ছাত্র আন্দোলনের সময় বশীর মিয়ার নেতৃত্বে হবিগঞ্জ শহরে হামলা চালানো হয়। চুনারুঘাটে চাকুরী করলেও রাজনীতি কারার কারণে জেলায় থাকেন তিনি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সহকারি অধ্যাপক ডাঃ হিরন্ময় দাশ লন্ডন থেকে এম,আর,সি,পি ডিগ্রি অর্জন

চুনারুঘাটেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গোলগাঁও স: প্রা: বি: সহকারী শিক্ষক বশীর আহমেদ সাময়িক বরখাস্ত

আপডেট সময় ০৪:১৮:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

চুনারুঘাট সদর ইউনিয়নের গোলগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাবেক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা বশীর আহমেদকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বিষয়টি গতকাল (২০ মার্চ) বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: শাহ আলম। তিনি জানান, বশীর আহমেদের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সদরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার উপর হামলা মামলায় গ্রেপ্তারের পর ১৯ মার্চ চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

মামলা চলাকালীন তিনি শুধু খোরাকি ভাতা পাবেন। বশীর আহমেদ চুনারুঘাট উপজেলার আদমপুর গ্রামের বাসিন্দা।

জানা গেছে বশীর আহমেদ স্কুল ফাঁকি দিয়ে আওয়ামী লীগের সভা মঞ্চ, মিটিং, মিছিল সহ বিভিন্ন প্রোগ্রামে ব্যস্ত থাকেন। নিয়মিত স্কুলে না আসলেও মাঝেমধ্যে স্কুলে আসেন দুপুরে কিংবা স্কুল ছুটির সময়। কেউ প্রতিবাদ করার সুযোগ নেই। যদি কেউ প্রতিবাদ করতো তাহলে তাকে বদলি ও দেখে নেওয়ার হুমকি দিতেন।

তার এই রাজত্ব কায়েমের খুঁটির জোর ছিলেন কতিপয় নেতা। রাজনীতিতে রং না বদলালেও নেতা বদলাতে পারদর্শী তিনি।

আওয়ামী লীগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, হবিগঞ্জ জেলা অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির, জেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী, চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুল আলম রুবেল, মানিক সরকার সহ বিভিন্ন নেতাকর্মীর ঘনিষ্ঠ সহচর বলে বলে দাবী করতেন। এছাড়াও আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে উল্লেখিত নেতাদের নাম জঙ্গিয়ে দেড় যুগেরও বেশি সময় রাজত্ব আলীর নাম চষে বেড়ানোর পর যখন তিনি ফেইল করেন এর পর সাবেক এমপি এমপি ব্যারিস্ট ব্যারিস্টার সুমনের সাথে ছবি তুলে ফেইসবুকে পোস্ট করে নিজের বন্ধু দাবী করেন বশীর।

এমকি ব্যারিস্টার সুমনের হুমকি দিয়েও বিভিন্ন অফিসে গিয়ে করতেন তদবির বাণিজ্য। আওয়ামীলীগ ও জেলার নেতার প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষা অফিসারদের সাথে করতেন অসদাচরণ।

অবৈধ চাহিদা পূরণ না করলে দেয়া হতো বদলির হুমকি। প্রায় সময় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে থেকে ফেইসবুকে ছাড়তেন ছবি। যাহা সংশ্লিষ্টদের নজরে আসলে তাকে নিয়মিত নিয়মিত স্কুলে যেতে বলা হয়। কিন্তু তিনি এমন অনুরোধের তোয়াক্কা না করে বেপরোয়া হয়ে উঠতেন।

অভিযোগ ছাত্র আন্দোলনের সময় বশীর মিয়ার নেতৃত্বে হবিগঞ্জ শহরে হামলা চালানো হয়। চুনারুঘাটে চাকুরী করলেও রাজনীতি কারার কারণে জেলায় থাকেন তিনি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ