হবিগঞ্জ ০৬:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চুনারুঘাটে আইএফআইসি ব্যাংকের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ Logo চুনারুঘাটে হাজী মোহাম্মদ হাজির উদ্দিন ও আরব বাংলা গ্রুপের অর্থায়নে মাও: আব্দুল ওয়াব মসজিদের উদ্বোধন Logo চুনারুঘাটে লাভজনক পদ্ধতিতে সুগারক্রপ চাষাবাদ শীর্ষক কৃষক/কৃষাণী প্রশিক্ষণ Logo ক্লিন ফাউন্ডেশন চুনারুঘাট এর কমিটি, গঠন সভাপতি হাবিব ও সেক্রেটারী সাহেদ Logo চুনারুঘাটের আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সালেহ উদ্দিন বাবরুর ৬০তম জন্মদিন পালন Logo চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের কমিটি বিলুপ্ত: আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আহবায়ক কমিটি Logo চুনারুঘাটে বাড়ি রাস্তার বিরোধ নিয়ে একই পরিবারের বৃদ্ধসহ ৭ জনকে কুপিয়ে জখম Logo চুনারুঘাটে ইউপি সদস্যসহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের উপর মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে ওয়ার্ডবাসীর মানববন্ধন Logo মাধবপুরে মাজার ওরসের জেরে সংঘর্ষ, আহত ৪ Logo চুনারুঘাটে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা নব অভিযাত্রা উপলক্ষে পাঠক ফোরামের আলোচনা সভা

হবিগঞ্জে ডাক্তার এস,কে ঘোষের অপচিকিৎসায় গৃহবধুর মৃত্যু, মামলা

  • মোঃ এরশাদ আলী :
  • আপডেট সময় ১১:২৬:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
  • ১০৫ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জ জেলা সদর ২৫০ শয্যা আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রহিমা আক্তার (৪০) নামে এক গৃহবধুকে দালাল চক্র স্বল্প খরচে উন্নতমাতের চিকিৎসার আশ্বাস দিয়ে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে অপচিকিৎসার শিকার হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন।

এই ঘটনায় ওই গৃহবধুর ভাতিজা রহমত আলী গতকাল (২৩ অক্টোবর) সোমবার হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন এর আদালতে ডাক্তার ও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

বিজ্ঞ আদালত শুনানী শেষে মামলাটি এফআইআর গন্যে রুজু করার জন্য হবিগঞ্জ সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলা গ্রামের রহিমা আক্তার টিউমার এর চিকিৎসা নিতে গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে আসেন।

এ সময় ওই গৃহবধুকে স্বল্প খরচে উন্নতমানের চিকিৎসার কথা বলে ভুল বুঝিয়ে দালালরা সরকারী হাসপাতাল থেকে হবিগঞ্জ শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যায়।

সেখানে ভর্তি করানোর পর ওই দিন রাত ১১টা ৫০ মিনিটে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের সাবেক গাইনী চিকিৎসক ডা. এস কে ঘোষ রহিমা বেগমের পেটের টিউমারের অপারেশন করেন।

১২ সেপ্টেম্বর রোগীকে জোরকরে ছাড়পত্র দিয়ে বের করে দেয়া হয়। বাড়ীতে আসার পর রহিমা বেগমের অবস্থার অবনতি ঘটলে ১ অক্টোবর পুনরায় এস কে ঘোষকে দেখানো হয়।

এরপরও তার অবস্থার অবনতি ঘটলে ২ অক্টোবর রহিমা বেগমকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

সেখানে পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান, হবিগঞ্জে চিকিৎসা করার সময় রহিমা বেগমের খাদ্য নালী, জরায়ু এবং বামপাশের কিডনী কেটে ফেলা হয়েছে। পেটে থাকা টিউমারও যথাযথভাবে অপারেশন করা হয়নি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৫ অক্টোবর রহিমা বেগম মারা যায়।

এ ব্যাপারে রহিমা বেগমের ভাতিজা বহুলা গ্রামের মৃত ইউনুছ মিয়ার ছেলে রহমত আলী সোমবার ডা. এস কে ঘোষ, হসপিটালটির পরিচালক আরিফুল ইসলাম ও তাবির হোসাইন এবং জনি আহমেদকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট আব্দুল হাই বলেন, অপচিকিৎসার বিরুদ্ধে মামলাটি একটি মাইলফলক। এই মামলার মাধ্যমে সাধারন মানুষের চিকিৎসা সেবা নিয়ে যে হয়রানী সেটি বন্ধ হতে পারে। হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান বলেন, মামলা দায়েরের খবর পেয়েছি। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

চুনারুঘাটে আইএফআইসি ব্যাংকের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

হবিগঞ্জে ডাক্তার এস,কে ঘোষের অপচিকিৎসায় গৃহবধুর মৃত্যু, মামলা

আপডেট সময় ১১:২৬:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

হবিগঞ্জ জেলা সদর ২৫০ শয্যা আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রহিমা আক্তার (৪০) নামে এক গৃহবধুকে দালাল চক্র স্বল্প খরচে উন্নতমাতের চিকিৎসার আশ্বাস দিয়ে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে অপচিকিৎসার শিকার হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন।

এই ঘটনায় ওই গৃহবধুর ভাতিজা রহমত আলী গতকাল (২৩ অক্টোবর) সোমবার হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন এর আদালতে ডাক্তার ও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

বিজ্ঞ আদালত শুনানী শেষে মামলাটি এফআইআর গন্যে রুজু করার জন্য হবিগঞ্জ সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলা গ্রামের রহিমা আক্তার টিউমার এর চিকিৎসা নিতে গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে আসেন।

এ সময় ওই গৃহবধুকে স্বল্প খরচে উন্নতমানের চিকিৎসার কথা বলে ভুল বুঝিয়ে দালালরা সরকারী হাসপাতাল থেকে হবিগঞ্জ শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যায়।

সেখানে ভর্তি করানোর পর ওই দিন রাত ১১টা ৫০ মিনিটে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের সাবেক গাইনী চিকিৎসক ডা. এস কে ঘোষ রহিমা বেগমের পেটের টিউমারের অপারেশন করেন।

১২ সেপ্টেম্বর রোগীকে জোরকরে ছাড়পত্র দিয়ে বের করে দেয়া হয়। বাড়ীতে আসার পর রহিমা বেগমের অবস্থার অবনতি ঘটলে ১ অক্টোবর পুনরায় এস কে ঘোষকে দেখানো হয়।

এরপরও তার অবস্থার অবনতি ঘটলে ২ অক্টোবর রহিমা বেগমকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

সেখানে পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান, হবিগঞ্জে চিকিৎসা করার সময় রহিমা বেগমের খাদ্য নালী, জরায়ু এবং বামপাশের কিডনী কেটে ফেলা হয়েছে। পেটে থাকা টিউমারও যথাযথভাবে অপারেশন করা হয়নি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৫ অক্টোবর রহিমা বেগম মারা যায়।

এ ব্যাপারে রহিমা বেগমের ভাতিজা বহুলা গ্রামের মৃত ইউনুছ মিয়ার ছেলে রহমত আলী সোমবার ডা. এস কে ঘোষ, হসপিটালটির পরিচালক আরিফুল ইসলাম ও তাবির হোসাইন এবং জনি আহমেদকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট আব্দুল হাই বলেন, অপচিকিৎসার বিরুদ্ধে মামলাটি একটি মাইলফলক। এই মামলার মাধ্যমে সাধারন মানুষের চিকিৎসা সেবা নিয়ে যে হয়রানী সেটি বন্ধ হতে পারে। হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান বলেন, মামলা দায়েরের খবর পেয়েছি। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।