হবিগঞ্জ ০৬:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo দৈনিক আমাদের দেশ পাঠক ফোরামের পক্ষে নির্বাসিত সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান কে সংবর্ধনা Logo সাংবাদিকতায় যদি সফলতা চান, তাহলে দিন শেষে ভাবেন-সিনিয়র সাংবাদিক আলমগীর হোসেন Logo গণবিপ্লবের মাধ্যমে আমরা মুক্ত হয়েছি- নির্বাসিত সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান Logo সহকারি শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার মাধবপুর উপজেলা শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচিত Logo ডাক্তারের ছেলে শ্রেণির ছাত্র জিয়াদ নিখোঁজ Logo একটি অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ও হবিগঞ্জ-৪ এর রাজনৈতিক ঐতিহ্য Logo চুনারুঘাটে সাংবাদিক নোমান কে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি Logo চুনারুঘাটে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি ও হত্যা মামলার আসামি আব্দুল হক কুটি র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার Logo ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার সময়ে প্রতিটি খুন-গুমের বিচার বাংলার মাটিতে হবে-মামুনুল হক Logo দেশকে অস্থির করার জন্য স্বৈরাচারের দোসরা নানামুখী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, সৈয়দ মোঃ শাহজাহান
নিহতের পরিবারের দাবী তারা পরকল্পিতভাবে নুরেছাকে হত্যা করেছর।

নবীগঞ্জে ৪ মাসের অন্তসত্ত্বা গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৪৩:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ অগাস্ট ২০২২
  • ১৫৬ বার পড়া হয়েছে

নবীগঞ্জের কায়স্থগ্রামে স্বামীর পরকীয়ায় যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে মারা গেলেন ৪ মাসের অন্তসত্বা স্ত্রী নুরেছা বেগম (২০) নামের এক গৃহবধু। খবর পেয়ে গোপলার বাজার পুলিশ মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে মৃতের ছুরতহাল শেষে লাশ উদ্ধার করেন। পরে জিডি মুলে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছেন।
মৃতের স্বামীর পরিবার নুরেছা বেগমের মৃত্যুকে আত্মহত্যা দাবী করলেও মৃতের পিতার পরিবার তা মানতে নারাজ। তারা পরকল্পিতভাবে নুরেছাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। ঘটনার পর পর নিহতের ভাসুরের স্ত্রী পলাতক বলে স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে।
সুত্রে জানাযায়, উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাশডর (দেবপাড়া) গ্রামের আব্দুস সত্তারের মেয়ে নুরেছা বেগম (২০) কে প্রায় ১০ মাস পুর্বে একই উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের কায়স্থগ্রামের এশাক আলীর ছেলে আবেদ আলীর (২৬) নিকট পারিবারিকভাবে বিয়ে দেয়া হয়। ইতিপুর্বে নুরেছা বেগম ৪ মাসের অন্তসত্বা। বিয়ের কিছু দিন পরই নুরেছা বেগম জানতে পারেন স্বামী আবেদ আলী তার ভাবীর সাথে পরকীয়া রয়েছে। প্রায়ই ভাবীর সাথে অন্তরঙ্গ মুহুর্ত দেখে নুরেছা বেগম তার পিত্রালয়ে জানান। এনিয়ে একাধিক বিচার শালিসও হয়। এনিয়ে স্বামীর স্ত্রীর মধ্যে প্রায় ঝগড়া হতো। নুরেছা বেগমকে মারপিটও করতো তার স্বামী। গত
মঙ্গলবার (২ আগষ্ট) দিবাগত রাতে স্বামী আবেদ আলী শয়ন কক্ষে থাকা অবস্থায় নুরেছা বেগমের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে বাড়ির লোকজন ওড়না কেটে নিথড় দেহ মাটিতে নামায়। রাত ১ টার দিকে নুরেছার পিত্রালয়ে মৃত্যুর খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে নুরেছার মা-বাবা, আত্মীয় স্বজন কায়স্থগ্রামে ছুটে যান। এ সময় স্বামীর বাড়ির লোকজন নুরেছা গলায় ওড়না দিয়ে ফাশঁ লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানান। কিন্তু নুরেছার পিতা-মাতা তা মানতে নারাজ। তাদের দাবী তাদের গর্ভবতী মেয়েকে স্বামীর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলামসহ গোপলার বাজার ফাড়িঁ পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় লাশের ছুরতহাল তৈরী করে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। বুধবার সকালে জিডি মুলে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহত নুরেছা বেগমের পিতা আব্দুস সত্তার বলেন, মেয়ে বিয়ে দেয়ার পর থেকেই স্বামী ও তার পরিবার জ¦ালা যন্ত্রনা করতো। আবেদ মিয়া তার ভাবীর সাথে পরকীয়ায় জড়িত। এনিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। মৃত্যুর আগ মুহুর্তে তাদের মেয়ে নুরেছা ফোনে জানায়, তার স্বামী আবেদ আলী ভাবীর সাথে ফষ্টিনষ্টি করে। আমাকে নিয়ে যাও, না হয় তারা মেরে ফেলবে। এই কথা বলেই পিতা আব্দুস সত্তার কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
স্বামী আবেদ আলী বলেন, তিনি ঘরে ঘুমে ছিলেন, হঠাৎ দেখেন স্ত্রী নুরেছা বেগম ওড়না দিয়ে ঘরের তীরের সাথে গলায় ফাসঁ লাগানো। তার চিৎকার শুনে বাড়ির ও আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং ঝুলন্ত লাশকে নামানো হয়। ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি তদন্তক্রমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

দৈনিক আমাদের দেশ পাঠক ফোরামের পক্ষে নির্বাসিত সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান কে সংবর্ধনা

নিহতের পরিবারের দাবী তারা পরকল্পিতভাবে নুরেছাকে হত্যা করেছর।

নবীগঞ্জে ৪ মাসের অন্তসত্ত্বা গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি

আপডেট সময় ০৫:৪৩:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ অগাস্ট ২০২২

নবীগঞ্জের কায়স্থগ্রামে স্বামীর পরকীয়ায় যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে মারা গেলেন ৪ মাসের অন্তসত্বা স্ত্রী নুরেছা বেগম (২০) নামের এক গৃহবধু। খবর পেয়ে গোপলার বাজার পুলিশ মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে মৃতের ছুরতহাল শেষে লাশ উদ্ধার করেন। পরে জিডি মুলে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছেন।
মৃতের স্বামীর পরিবার নুরেছা বেগমের মৃত্যুকে আত্মহত্যা দাবী করলেও মৃতের পিতার পরিবার তা মানতে নারাজ। তারা পরকল্পিতভাবে নুরেছাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। ঘটনার পর পর নিহতের ভাসুরের স্ত্রী পলাতক বলে স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে।
সুত্রে জানাযায়, উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাশডর (দেবপাড়া) গ্রামের আব্দুস সত্তারের মেয়ে নুরেছা বেগম (২০) কে প্রায় ১০ মাস পুর্বে একই উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের কায়স্থগ্রামের এশাক আলীর ছেলে আবেদ আলীর (২৬) নিকট পারিবারিকভাবে বিয়ে দেয়া হয়। ইতিপুর্বে নুরেছা বেগম ৪ মাসের অন্তসত্বা। বিয়ের কিছু দিন পরই নুরেছা বেগম জানতে পারেন স্বামী আবেদ আলী তার ভাবীর সাথে পরকীয়া রয়েছে। প্রায়ই ভাবীর সাথে অন্তরঙ্গ মুহুর্ত দেখে নুরেছা বেগম তার পিত্রালয়ে জানান। এনিয়ে একাধিক বিচার শালিসও হয়। এনিয়ে স্বামীর স্ত্রীর মধ্যে প্রায় ঝগড়া হতো। নুরেছা বেগমকে মারপিটও করতো তার স্বামী। গত
মঙ্গলবার (২ আগষ্ট) দিবাগত রাতে স্বামী আবেদ আলী শয়ন কক্ষে থাকা অবস্থায় নুরেছা বেগমের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে বাড়ির লোকজন ওড়না কেটে নিথড় দেহ মাটিতে নামায়। রাত ১ টার দিকে নুরেছার পিত্রালয়ে মৃত্যুর খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে নুরেছার মা-বাবা, আত্মীয় স্বজন কায়স্থগ্রামে ছুটে যান। এ সময় স্বামীর বাড়ির লোকজন নুরেছা গলায় ওড়না দিয়ে ফাশঁ লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানান। কিন্তু নুরেছার পিতা-মাতা তা মানতে নারাজ। তাদের দাবী তাদের গর্ভবতী মেয়েকে স্বামীর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলামসহ গোপলার বাজার ফাড়িঁ পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় লাশের ছুরতহাল তৈরী করে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। বুধবার সকালে জিডি মুলে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহত নুরেছা বেগমের পিতা আব্দুস সত্তার বলেন, মেয়ে বিয়ে দেয়ার পর থেকেই স্বামী ও তার পরিবার জ¦ালা যন্ত্রনা করতো। আবেদ মিয়া তার ভাবীর সাথে পরকীয়ায় জড়িত। এনিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। মৃত্যুর আগ মুহুর্তে তাদের মেয়ে নুরেছা ফোনে জানায়, তার স্বামী আবেদ আলী ভাবীর সাথে ফষ্টিনষ্টি করে। আমাকে নিয়ে যাও, না হয় তারা মেরে ফেলবে। এই কথা বলেই পিতা আব্দুস সত্তার কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
স্বামী আবেদ আলী বলেন, তিনি ঘরে ঘুমে ছিলেন, হঠাৎ দেখেন স্ত্রী নুরেছা বেগম ওড়না দিয়ে ঘরের তীরের সাথে গলায় ফাসঁ লাগানো। তার চিৎকার শুনে বাড়ির ও আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং ঝুলন্ত লাশকে নামানো হয়। ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি তদন্তক্রমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।