হবিগঞ্জ ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo “যারা জাতি গড়েন, তারাই সবচেয়ে বঞ্চিত” সাখাওয়াত হোসেন Logo নিশানের নিবার্হী পরিচালক মঈনউদ্দিন বেলালসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে ৩৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা! Logo বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়ন কল্পে গ্রামীণ শিক্ষার্থীদের যে বিষয়ের উপর জোর দেওয়া উচিত-সাখাওয়াত হোসেন  Logo চুনারুঘাটে প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ, গ্রেফতার-২ Logo মা—আমার জীবনের প্রথম পাঠশালা, আমার শিক্ষা-সাখাওয়াত হোসেন Logo চুনারুঘাটে ন্যাশনাল ট্রাভেলস্ ও আশরাফ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরসের উদ্যোগে পবিত্র হজ্ব সেমিনার Logo চুনারুঘাটে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ও হাসনাত আব্দুল্লাহ’র উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo মাধবপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন আনসার ও ভিডিপির সদস্যরা Logo মাওলানা রইসের হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে চুনারুঘাটে ছাত্রসেনার প্রতিবাদ সভা ও ভিক্ষোভ মিছিল Logo মাধবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী আতিক চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

ভাঙ্গা ঘরে রোদ-বৃষ্টিতে কষ্টে দিন কাটছে মাধবপুরে শাহানা বেগমের পরিবার

ভাঙ্গা ঘরে কষ্টে দিন কাটছে মাধবপুরে শাহানা বেগম পরিবারের। 

ঘরের চালের টিনের ফোটো দিয়ে বৃষ্টির দিনে মেঝেতে পানি পড়ে। বাশ বেতের মাটির বেড়া ভেঙ্গে হেলে পড়েছে। বেড়ার ফাক ফোকর দিয়ে এখন প্রতিনিয়তই ঠান্ডা বাতাস আসা যাওয়া করে ঘরের ভেতরে। ঘরটিও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় ধসে পড়ে বড় ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এই ভাঙ্গা ঘরটিতে অসুস্থ স্বামী ও ৩মেয়ে সহ পরিবারের ৫ জন সদস্য বসবাস করে আসছে।

মাটিতে হাস-মুরগিসহ কোনোরকমে গাদাগাদি করে থাকছেন হবিগঞ্জে মাধবপুরে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা অসহায় শাহানা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা। স্বামী ও তিন মেয়েকে নিয়ে থাকছেন এক চালার একটা ভাঙ্গা ঘরে। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে মাথাগোঁজার ঠাঁই একমাত্র এই ঘরটি মেরামত করতে পারছেন না তিনি। নতুন ঘর নির্মাণের সামর্থ্যও নেই তার। নিরুপায় হয়েই ভাঙ্গা ঘরে রোদ বৃষ্টি ঠান্ডায় কষ্টে দিন কাটছে এই পরিবারটির।

অসুস্থ হওয়ায় কোনো ধরনের কাজ করতে পারেন না উনার স্বামী নানু মিয়া।নানু মিয়া টাকার অভাবে চিকিৎসাও করাতে পারেননি। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এখনোব্দি অসুস্থতা নিয়ে ভাঙ্গা ঘরে বসেই বেকার সময় কাটছে তার। তিন মেয়ে সন্তানের বিয়ে খরচসহ সাংসারিক খরচ চালানো ও স্বামীর চিকিৎসা খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি। শাহানা বেগম জানান, নিজেই খেতে পারিনা। সন্তানদেরকেও খাওয়াতে পারিনা। স্বামীর চিকিৎসা খরচ চালাবো কিভা‌বে আর ভাঙ্গা ঘর মেরামতইবা করব কিভাবে? আল্লাহ ছাড়া আমার আর কেউ নাই। ভাগ্যে যা আছে তাই হবে।

তার স্বামী নানু মিয়া জানান, আমি অসুস্থ মানুষ, সারাদিন পরে থাকি বিছানায়, মানুষের সাহায্য যা পাই তা দিয়ে কোনো রকমে খেয়ে না খেয়ে আছি। নিজে ও আমার স্ত্রী সন্তানদের মুখে খাবার দিতে পারিনা। ঘরে থাকার জায়গা নেই। ভাঙ্গা ঘর মেরামত করাও সম্ভব হচ্ছেননা। অন্তত মাথাগোঁজার ঠাঁই টুকু পেলে খেয়ে না খেয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বাকিদিনগুলো কাটিয়ে দিতে পারতাম।

প্রতিবেশী মোঃ জহির জানান, শাহানা বেগম ও তার পরিবার একদম অসহায় অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। সরকার পরিবারটি কে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিতে পারলে অসহায় এই পরিবারটি অন্তত মাথাগোঁজার ঠাঁই পেতো। প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের সকল সুহৃদয়বান ব্যক্তিদেরকে এই পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানাই।

স্থানীয় কাউন্সিলর আফজাল পাঠান জানান, পরিবারটির একদম গরীব ও অসহায়। আমি তাদেরকে সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সাহায্য করে যাচ্ছি । এছাড়াও তাদের খোঁজখবর নিচ্ছি। সরকারি ভাবে এই অসহায় পরিবারটিকে একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার দাবি জানাই।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

“যারা জাতি গড়েন, তারাই সবচেয়ে বঞ্চিত” সাখাওয়াত হোসেন

ভাঙ্গা ঘরে রোদ-বৃষ্টিতে কষ্টে দিন কাটছে মাধবপুরে শাহানা বেগমের পরিবার

আপডেট সময় ০১:৩১:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২

ভাঙ্গা ঘরে কষ্টে দিন কাটছে মাধবপুরে শাহানা বেগম পরিবারের। 

ঘরের চালের টিনের ফোটো দিয়ে বৃষ্টির দিনে মেঝেতে পানি পড়ে। বাশ বেতের মাটির বেড়া ভেঙ্গে হেলে পড়েছে। বেড়ার ফাক ফোকর দিয়ে এখন প্রতিনিয়তই ঠান্ডা বাতাস আসা যাওয়া করে ঘরের ভেতরে। ঘরটিও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় ধসে পড়ে বড় ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এই ভাঙ্গা ঘরটিতে অসুস্থ স্বামী ও ৩মেয়ে সহ পরিবারের ৫ জন সদস্য বসবাস করে আসছে।

মাটিতে হাস-মুরগিসহ কোনোরকমে গাদাগাদি করে থাকছেন হবিগঞ্জে মাধবপুরে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা অসহায় শাহানা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা। স্বামী ও তিন মেয়েকে নিয়ে থাকছেন এক চালার একটা ভাঙ্গা ঘরে। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে মাথাগোঁজার ঠাঁই একমাত্র এই ঘরটি মেরামত করতে পারছেন না তিনি। নতুন ঘর নির্মাণের সামর্থ্যও নেই তার। নিরুপায় হয়েই ভাঙ্গা ঘরে রোদ বৃষ্টি ঠান্ডায় কষ্টে দিন কাটছে এই পরিবারটির।

অসুস্থ হওয়ায় কোনো ধরনের কাজ করতে পারেন না উনার স্বামী নানু মিয়া।নানু মিয়া টাকার অভাবে চিকিৎসাও করাতে পারেননি। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এখনোব্দি অসুস্থতা নিয়ে ভাঙ্গা ঘরে বসেই বেকার সময় কাটছে তার। তিন মেয়ে সন্তানের বিয়ে খরচসহ সাংসারিক খরচ চালানো ও স্বামীর চিকিৎসা খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি। শাহানা বেগম জানান, নিজেই খেতে পারিনা। সন্তানদেরকেও খাওয়াতে পারিনা। স্বামীর চিকিৎসা খরচ চালাবো কিভা‌বে আর ভাঙ্গা ঘর মেরামতইবা করব কিভাবে? আল্লাহ ছাড়া আমার আর কেউ নাই। ভাগ্যে যা আছে তাই হবে।

তার স্বামী নানু মিয়া জানান, আমি অসুস্থ মানুষ, সারাদিন পরে থাকি বিছানায়, মানুষের সাহায্য যা পাই তা দিয়ে কোনো রকমে খেয়ে না খেয়ে আছি। নিজে ও আমার স্ত্রী সন্তানদের মুখে খাবার দিতে পারিনা। ঘরে থাকার জায়গা নেই। ভাঙ্গা ঘর মেরামত করাও সম্ভব হচ্ছেননা। অন্তত মাথাগোঁজার ঠাঁই টুকু পেলে খেয়ে না খেয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বাকিদিনগুলো কাটিয়ে দিতে পারতাম।

প্রতিবেশী মোঃ জহির জানান, শাহানা বেগম ও তার পরিবার একদম অসহায় অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। সরকার পরিবারটি কে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিতে পারলে অসহায় এই পরিবারটি অন্তত মাথাগোঁজার ঠাঁই পেতো। প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের সকল সুহৃদয়বান ব্যক্তিদেরকে এই পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানাই।

স্থানীয় কাউন্সিলর আফজাল পাঠান জানান, পরিবারটির একদম গরীব ও অসহায়। আমি তাদেরকে সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সাহায্য করে যাচ্ছি । এছাড়াও তাদের খোঁজখবর নিচ্ছি। সরকারি ভাবে এই অসহায় পরিবারটিকে একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার দাবি জানাই।