হবিগঞ্জ ০৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চুনারুঘাটে ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী পর্যটকের মৃত্যু Logo অসুস্থ সাবেক কৃতি ফুটবলার আকছিরের পাশে চুনারুঘাট উপজেলা ফুটবল একাডেমি  Logo আহম্মদাবাদ ইউনিয়নে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন Logo শহীদ মিনারে আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের শ্রদ্ধা নিবেদন Logo সীমান্তের ত্রাস গণধর্ষণ মামলার আসামী আবুল গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাটে  স্ত্রীর যৌতুক মামলায় বিয়ে পাগল স্বামী গ্রেপ্তার Logo নবাগত ইউএনওর সাথে চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের পরিচিত সভা ও মতবিনিময় Logo মাধবপুরে বিএনপির কর্মী সভা Logo ইউএনও’র পরিচিতি সভা বর্জন করলেন চুনারুঘাটে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ Logo শায়েস্তাগঞ্জে অর্থনৈতিক শুমারির কাজে জনপ্রতিনিধি ও আ’লীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মী!

ভাঙ্গা ঘরে রোদ-বৃষ্টিতে কষ্টে দিন কাটছে মাধবপুরে শাহানা বেগমের পরিবার

ভাঙ্গা ঘরে কষ্টে দিন কাটছে মাধবপুরে শাহানা বেগম পরিবারের। 

ঘরের চালের টিনের ফোটো দিয়ে বৃষ্টির দিনে মেঝেতে পানি পড়ে। বাশ বেতের মাটির বেড়া ভেঙ্গে হেলে পড়েছে। বেড়ার ফাক ফোকর দিয়ে এখন প্রতিনিয়তই ঠান্ডা বাতাস আসা যাওয়া করে ঘরের ভেতরে। ঘরটিও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় ধসে পড়ে বড় ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এই ভাঙ্গা ঘরটিতে অসুস্থ স্বামী ও ৩মেয়ে সহ পরিবারের ৫ জন সদস্য বসবাস করে আসছে।

মাটিতে হাস-মুরগিসহ কোনোরকমে গাদাগাদি করে থাকছেন হবিগঞ্জে মাধবপুরে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা অসহায় শাহানা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা। স্বামী ও তিন মেয়েকে নিয়ে থাকছেন এক চালার একটা ভাঙ্গা ঘরে। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে মাথাগোঁজার ঠাঁই একমাত্র এই ঘরটি মেরামত করতে পারছেন না তিনি। নতুন ঘর নির্মাণের সামর্থ্যও নেই তার। নিরুপায় হয়েই ভাঙ্গা ঘরে রোদ বৃষ্টি ঠান্ডায় কষ্টে দিন কাটছে এই পরিবারটির।

অসুস্থ হওয়ায় কোনো ধরনের কাজ করতে পারেন না উনার স্বামী নানু মিয়া।নানু মিয়া টাকার অভাবে চিকিৎসাও করাতে পারেননি। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এখনোব্দি অসুস্থতা নিয়ে ভাঙ্গা ঘরে বসেই বেকার সময় কাটছে তার। তিন মেয়ে সন্তানের বিয়ে খরচসহ সাংসারিক খরচ চালানো ও স্বামীর চিকিৎসা খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি। শাহানা বেগম জানান, নিজেই খেতে পারিনা। সন্তানদেরকেও খাওয়াতে পারিনা। স্বামীর চিকিৎসা খরচ চালাবো কিভা‌বে আর ভাঙ্গা ঘর মেরামতইবা করব কিভাবে? আল্লাহ ছাড়া আমার আর কেউ নাই। ভাগ্যে যা আছে তাই হবে।

তার স্বামী নানু মিয়া জানান, আমি অসুস্থ মানুষ, সারাদিন পরে থাকি বিছানায়, মানুষের সাহায্য যা পাই তা দিয়ে কোনো রকমে খেয়ে না খেয়ে আছি। নিজে ও আমার স্ত্রী সন্তানদের মুখে খাবার দিতে পারিনা। ঘরে থাকার জায়গা নেই। ভাঙ্গা ঘর মেরামত করাও সম্ভব হচ্ছেননা। অন্তত মাথাগোঁজার ঠাঁই টুকু পেলে খেয়ে না খেয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বাকিদিনগুলো কাটিয়ে দিতে পারতাম।

প্রতিবেশী মোঃ জহির জানান, শাহানা বেগম ও তার পরিবার একদম অসহায় অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। সরকার পরিবারটি কে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিতে পারলে অসহায় এই পরিবারটি অন্তত মাথাগোঁজার ঠাঁই পেতো। প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের সকল সুহৃদয়বান ব্যক্তিদেরকে এই পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানাই।

স্থানীয় কাউন্সিলর আফজাল পাঠান জানান, পরিবারটির একদম গরীব ও অসহায়। আমি তাদেরকে সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সাহায্য করে যাচ্ছি । এছাড়াও তাদের খোঁজখবর নিচ্ছি। সরকারি ভাবে এই অসহায় পরিবারটিকে একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার দাবি জানাই।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

চুনারুঘাটে ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী পর্যটকের মৃত্যু

ভাঙ্গা ঘরে রোদ-বৃষ্টিতে কষ্টে দিন কাটছে মাধবপুরে শাহানা বেগমের পরিবার

আপডেট সময় ০১:৩১:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২

ভাঙ্গা ঘরে কষ্টে দিন কাটছে মাধবপুরে শাহানা বেগম পরিবারের। 

ঘরের চালের টিনের ফোটো দিয়ে বৃষ্টির দিনে মেঝেতে পানি পড়ে। বাশ বেতের মাটির বেড়া ভেঙ্গে হেলে পড়েছে। বেড়ার ফাক ফোকর দিয়ে এখন প্রতিনিয়তই ঠান্ডা বাতাস আসা যাওয়া করে ঘরের ভেতরে। ঘরটিও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় ধসে পড়ে বড় ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এই ভাঙ্গা ঘরটিতে অসুস্থ স্বামী ও ৩মেয়ে সহ পরিবারের ৫ জন সদস্য বসবাস করে আসছে।

মাটিতে হাস-মুরগিসহ কোনোরকমে গাদাগাদি করে থাকছেন হবিগঞ্জে মাধবপুরে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা অসহায় শাহানা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা। স্বামী ও তিন মেয়েকে নিয়ে থাকছেন এক চালার একটা ভাঙ্গা ঘরে। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে মাথাগোঁজার ঠাঁই একমাত্র এই ঘরটি মেরামত করতে পারছেন না তিনি। নতুন ঘর নির্মাণের সামর্থ্যও নেই তার। নিরুপায় হয়েই ভাঙ্গা ঘরে রোদ বৃষ্টি ঠান্ডায় কষ্টে দিন কাটছে এই পরিবারটির।

অসুস্থ হওয়ায় কোনো ধরনের কাজ করতে পারেন না উনার স্বামী নানু মিয়া।নানু মিয়া টাকার অভাবে চিকিৎসাও করাতে পারেননি। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এখনোব্দি অসুস্থতা নিয়ে ভাঙ্গা ঘরে বসেই বেকার সময় কাটছে তার। তিন মেয়ে সন্তানের বিয়ে খরচসহ সাংসারিক খরচ চালানো ও স্বামীর চিকিৎসা খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি। শাহানা বেগম জানান, নিজেই খেতে পারিনা। সন্তানদেরকেও খাওয়াতে পারিনা। স্বামীর চিকিৎসা খরচ চালাবো কিভা‌বে আর ভাঙ্গা ঘর মেরামতইবা করব কিভাবে? আল্লাহ ছাড়া আমার আর কেউ নাই। ভাগ্যে যা আছে তাই হবে।

তার স্বামী নানু মিয়া জানান, আমি অসুস্থ মানুষ, সারাদিন পরে থাকি বিছানায়, মানুষের সাহায্য যা পাই তা দিয়ে কোনো রকমে খেয়ে না খেয়ে আছি। নিজে ও আমার স্ত্রী সন্তানদের মুখে খাবার দিতে পারিনা। ঘরে থাকার জায়গা নেই। ভাঙ্গা ঘর মেরামত করাও সম্ভব হচ্ছেননা। অন্তত মাথাগোঁজার ঠাঁই টুকু পেলে খেয়ে না খেয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বাকিদিনগুলো কাটিয়ে দিতে পারতাম।

প্রতিবেশী মোঃ জহির জানান, শাহানা বেগম ও তার পরিবার একদম অসহায় অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। সরকার পরিবারটি কে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিতে পারলে অসহায় এই পরিবারটি অন্তত মাথাগোঁজার ঠাঁই পেতো। প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের সকল সুহৃদয়বান ব্যক্তিদেরকে এই পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানাই।

স্থানীয় কাউন্সিলর আফজাল পাঠান জানান, পরিবারটির একদম গরীব ও অসহায়। আমি তাদেরকে সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সাহায্য করে যাচ্ছি । এছাড়াও তাদের খোঁজখবর নিচ্ছি। সরকারি ভাবে এই অসহায় পরিবারটিকে একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার দাবি জানাই।